শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চলে যাক কাপড়ের দাগ

রঙ বেরঙ ডেস্ক
  ২৫ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

সুতি হোক বা রেশমি, সাদা বা রঙিন হোক, কিছু মূলনীতি খেয়াল রাখতে হবে। যত দ্রম্নত সম্ভব, দাগ ওঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে দাগ গাঢ় হয়ে বা বসে যেতে পারে। প্রথমে সাধারণ ও সহজ পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করুন। আগেই জটিল রাসায়নিক ব্যবহার করা ঠিক নয়, এতে সহজেই কাপড়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রাসায়নিকের মাধ্যমে দাগ তোলার চেষ্টা করার সময় বেশিক্ষণ কাপড়টিকে রাসায়নিকের সংস্পর্শে রাখা উচিত নয়। রাসায়নিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে দাগটা ছোট হলে ড্রপারের সাহায্যে রাসায়নিকটি কাপড়ে ব্যবহার করতে পারেন। দাগটা বিস্তৃত হলে হাতে গস্নাভস পরে রাসায়নিক ব্যবহার করুন। কাপড়ের দাগযুক্ত অংশটুকু রাসায়নিকে ডুবিয়েও নিতে পারেন, আবার ক্যাটলি বা এধরনের কোনো কিছুর সাহায্যে খানিকটা ওপর থেকে রাসায়নিক প্রয়োগ করতে পারেন। ত্বকেও রাসায়নিক লাগতে দেবেন না, কাপড়ের দাগহীন অংশেও রাসায়নিক লাগতে দেবেন না। অবশ্য সাধারণত লঘু রাসায়নিক হাতের ত্বকের কোনো ক্ষতি করে না। আবার অতিরিক্ত সংবেদনশীল ত্বকে সমস্যা হতেও পারে।

যে কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করতে হবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো। আর ব্যবহারের পর অবশ্যই তা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

চা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাপড়টা বদলে ফেলে দাগ ওঠানোর চেষ্টা করুন। পানি সবচেয়ে ভালো দ্রাবক। দাগ তুলতে এর কোনো বিকল্প নেই। কাপড় বদলানোর সুযোগ না পেলেও দাগের অংশটা অন্তত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পরে যখন সুযোগ পাবেন, তখন ভালোভাবে ধোয়া এবং ভিজিয়ে রাখার কাজগুলো করে নিন। পানি দিয়ে কয়েকবার ধোয়ার পর বা ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে গড়ে নেয়ার পরে কিছুটা হলেও দাগ হালকা হবে। তবে এরপরে দাগ একেবারে না গেলে কাপড়ের রং ও তন্তুর ধরন অনুযায়ী পরবর্তী ধাপগুলোতে যেতে পারেন।

সুতি ও লিনেনের কাপড়ের বৈশিষ্ট্য কাছাকাছি ধরনের। কাপড়টা সুতি বা লিনেনের হলে লেবুর রস কিংবা বোরাক্স দ্রবণে অল্প সময় ভিজিয়ে রেখে উঠিয়ে নিন। দেখুন দাগ চলে গিয়েছে কিনা। না গিয়ে থাকলে আরেকবার একই পদ্ধতিতে চেষ্টা করুন। দাগ চলে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর সূর্যের আলোতে রেখে দিন।

কাপড়টি রেশমি বা পশমি হলে লঘু পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটে ভিজিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এতে কাজ না হলে আরও বার দুয়েক এই একই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। এরপরেও দাগ না গেলে একটু গাঢ় দ্রবণ ব্যবহার করতে পারেন।

সুতি কাপড় অধিক ক্ষারীয় সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে কাজ না হলে মৃদু মাত্রার বিস্নচিং পাউডার ব্যবহার করুন (যা কাপড়ে ব্যবহারের উপযোগী) খুব অল্প সময়ের জন্য।

কাপড়টি রেশমি বা পশমি হলে দাগের অংশে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ব্যবহার করতে পারেন। কয়েকবার ব্যবহারে ধীরে ধীরে দাগ ফিকে হয়ে আসে।

গাঢ় বা ভারী রাসায়নিক ব্যবহারের অসাবধানতায় কাপড়ের দাগমুক্ত অংশ মলিন হয়ে যেতে পারে। তাই বিকল্প বুদ্ধিও কাজে লাগাতে পারেন। বাচ্চাদের অনেক সময় প্যান্টের হাঁটুর অংশে কিংবা জামার কনুইয়ের অংশে চা-কফির দাগ লেগে যায়। এসব অংশের জন্য বিশেষ ধরনের 'স্টিকার' কিনে নিয়ে লাগাতে পারেন, যা ইস্ত্রি করে বা সেলাই করে লাগিয়ে নেয়া যায়। ফলে দাগটা আর দেখা যায় না। কার্টুন বা সুন্দর কোনো নকশার হতে পারে স্টিকারটি। শিশুর পোশাকের অন্য অংশে এ রকম দাগ হলে সেখানে মানানসই জমিন ও বুননের কাপড় লাগিয়ে নেয়া যায়, পকেটও বানিয়ে নেয়া যেতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<63764 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1