বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নারী যখন শাড়িতে

রঙ বেরঙ ডেস্ক
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

শাড়িতে নারীর সৌন্দর্য বেড়ে যায়। এখনো তাই শাড়ির আবেদন সামাজিক উৎসবে, বিভিন্ন পার্বণে। রং বাহারি শাড়ির সঙ্গে বস্নাউজে নিত্যনতুন ডিজাইন সেই সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। বিভিন্ন রঙের বাহারই শুধু নয়- ডিজাইনের ভিন্নতাও বস্নাউজের সঙ্গী হয়েছে। এখন আবার ফিরে এসেছে গোল গলা, লেইস বসানো থ্রি-কোয়ার্টার হাতার বস্নাউজ, কলারওয়ালা ফুলস্স্নিভ বস্নাউজ, ঘটিহাতা, চুড়িহাতা বস্নাউজ। শাড়ির ডিজাইন যাই হোক না কেন- বস্নাউজের রংটা হবে কন্ট্রাস্ট। যেহেতু শাড়িটি সুতির, বস্নাউজটা হবে একটু বাহারি ধাঁচের। কম বয়সীরা বস্নাউজের গলাটা একটু বড় রাখতে পারেন। আবার স্স্নিভলেসও পরতে পারেন। তবে শীতের বিষয়টি মাথায় রেখে পরলে ভালো হয়। ঘটিহাতা অথবা খাটো হাতাও পরা যেতে পারে। একটু বৈচিত্র্য আনতে বস্নাউজে ছোট ঘণ্টা ব্যবহার করতে পারেন। হাই কলার দেয়া পাঞ্জাবির মতো বা বোতাম দেয়া বস্নাউজও এ ধরনের শাড়িতে বেশ মানানসই। দাওয়াতে বা রাতের অনুষ্ঠানে একটু জমকালো বস্নাউজ বেছে নিতে পারেন। এজন্য গলাবন্ধ বস্নাউজের গলাজুড়ে পাথর, চুমকি বা পুঁতির কাজ করাতে পারেন। মোটকথা বস্নাউজ হবে উৎসব ও পরিবেশের উপযোগী।

শাড়িটা এক রঙের হলে বস্নাউজটা যেন বেশ বাহারি হয়। এই যেমন- হালকা হলুদ জমিন ও কমলা পাড়ের শাড়ির সঙ্গে লাল বস্নাউজ মানানসই। কমলা রঙের বস্নাউজ পরতে পারেন হালকা সবুজ জমিন হলুদ পাড়ের শাড়ির সঙ্গে। স্স্নিভলেস বস্নাউজ পরলে শাড়িটা এক পঁ্যাচে না পরাই ভালো। অল্টারনেক বা পেছনে কয়েক রঙের ফিতা দেয়া স্স্নিভলেস বস্নাউজও পরা যেতে পারে। থ্রি কোয়ার্টার হাতায় অথবা গলায় কুচি দিয়ে বস্নাউজ তৈরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শাড়ি এক পঁ্যাচেতেই বেশ ভালো মানাবে। এছাড়া গড়ন বুঝে স্স্নিভলেস বস্নাউজও বানাতে পারেন। সব হাতে স্স্নিভলেস বস্নাউজ মানায় না। লম্বা, মেদবর্জিত, লোমহীন, পরিষ্কার নরম কনুইয়ের সুডৌল হাতের অধিকারী যে কেউ পরতে পারেন স্স্নিভলেস। স্স্নিভলেস বস্নাউজের জন্য হাতের গড়ন বড় বিষয়। অতিরিক্ত মোটা বা চিকন হাতে স্স্নিভলেস ভালো মানায় না। তবে শখ তো ধরাবাঁধা নিয়ম মানে না। যারা একটু মোটা, তারাও স্স্নিভলেস বস্নাউজ পরতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে কাঁধের অংশ একটু চওড়া, আর পেছনে ওঠানো গলা ভালো মানাবে। এছাড়া যে পোশাকে আপনি অস্বস্তি বোধ করবেন; সে পোশাক যতই সুন্দর হোক না কেন, তা আপনাকে মোটেও মানাবে না। সময়ের পরিবর্তনে তৈরি হচ্ছে নানা ঢঙের স্স্নিভলেস বস্নাউজ। কখনো কাঁধ চওড়া, কখনো আবার ফিতার মতো সরু। পিঠ খোলা কি গলা বন্ধ, চায়নিজ কলার কি ব্যান্ড গলা, পেছনে ফিতা বা জুড়িতে ফিতার সঙ্গে গলার কাটিং বৈচিত্র্য তো রয়েছেই।

জনপ্রিয় কিছু বস্নাউজের মধ্যে রয়েছে :

হল্টারনেক : হাতাছাড়া এ ধরনের বস্নাউজে শুধু কলার থাকে। দুই কাঁধের ফিতা ঘাড়ের পেছনে কলারের মতো জুড়ে থাকে। যাদের দৈহিক গড়ন সুন্দর, তারা গলা, কাঁধ ও পিঠের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে এ বস্নাউজ পরতে পারেন।

টিউব চোলি : এই বস্নাউজে কোনো শোল্ডার বা স্স্নিভ থাকে না। মাপজোখ হতে হবে নিখুঁত। এর প্রধান অংশ বস্নাউজের। সেটা পেছনে বা সামনেও হতে পারে। গলার মাপ খানিকটা বড় হবে।

কলার স্টাইল : এ বস্নাউজে হাতা থাকে না, তবে কাঁধের অংশ খানিকটা চওড়া হয় আর কলার থাকে। সবাইকেই এ বস্নাউজে ভালো মানাবে।

সিঙ্গল শোল্ডার : যাদের কাঁধ বড়, এ বস্নাউজ তার জন্য উপযোগী। এতে একটি মাত্র শোল্ডার বা ফিতা থাকে, আর কাঁধ কিছুটা খোলা রাখা থাকে। শারীরিক গঠন বেশ ভালো হলে এ ধরনের বস্নাউজ বেশ আকর্ষণীয় লাগে।

করসেট : এ বস্নাউজের কাঁধে সরু স্ট্রাইপ থাকে এবং নিচের অংশ ফিটিং থাকে। যাদের দেহের গড়ন চ্যাপ্টা, তারা করসেট পরতে পারেন। করসেট বানাতে হয় ঠিক মাপে। সঠিক মাপেই এ বস্নাউজের সৌন্দর্য।

বিকিনি : অনেকটা বিকিনির মতো এ বস্নাউজ। গলার ফিতায় বা কাটে পাথর ও মুক্তা বসিয়ে ডিজাইন করা হয়। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য এর দুই জোড়া ফিতা। এক জোড়া গলায় এবং অন্য জোড়া থাকে কোমরে।

শাড়ির সঙ্গে বস্নাউজ তাই গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে পরিপূর্ণ সাজে। সামাজিক উৎসবে, বিভিন্ন পার্বণে বাহারি শাড়ির সঙ্গে এখন বাঙালি নারীর পছন্দ হাল ফ্যাশনের রঙিন বস্নাউজ। এই বস্নাউজে রঙের যেমন বাহার রয়েছে, তেমনি বিভিন্ন ডিজাইনও মন কেড়ে নেবে। সময়ের বিবর্তনে বস্নাউজের এই নানারকম ডিজাইন শাড়ির সঙ্গে মানিয়ে নিলে পরিপূর্ণ এক সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<67761 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1