শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যালাক্সির বাইরে অনুসন্ধান

ছবি ঘোষ
  ৩০ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্রথমবারের মতো আমাদের সৌরজগৎ তথা গ্যালাক্সির বাইরে পৃথিবীর আকারের এমন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যাকে নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই আশাবাদী হওয়া যায়। গ্রহটির অবস্থা তার কেন্দ্রীয় নক্ষত্রের বসবাসযোগ্য অঞ্চল অর্থাৎ হেবিটেবল জোনে।

বিগত এক-দুই বছরে এই টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে উলিস্নখিত নক্ষত্রের চারপাশে আবর্তিত চারটি গ্রহের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। নক্ষত্রটির নাম কেপলার-১৮৬ এবং এটি পৃথিবী থেকে ৫০০ আলোকবর্ষ দূরে কনেসটিলিশন সিগনাসে অবস্থিত। টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত নতুন তথ্যের ভিত্তিতে এই নক্ষত্রের যে পঞ্চম গ্রহটির সন্ধান পেয়েছেন তার নামকরণ করা হয়েছে কেপলার-১৮৬এফ। এটি কেপলার-১৮৬-এর পাঁচটি গ্রহের সবচেয়ে বাইরের অরবিটে অবস্থিত। নক্ষত্র থেকে আগত আলোর উজ্জ্বলতা কমে যাওয়ার মাত্রা পরিমাণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা গ্রহটির আকার নির্ণয় করে দেখেছেন এটি পৃথিবীর চেয়ে মাত্র ১.১ গুণ বড়।

উলেস্নখ্য, এর আগে প্রাপ্ত তথ্যমতে অন্যান্য নক্ষত্রের পরিবারে বসবাসযোগ্য এলাকায় (হেবিটেবল জোন) পৃথিবীর সঙ্গে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ গ্রহটি ছিল পৃথিবীর প্রায় ৪০ গুণ বড় যার কেপলার-৬২ নক্ষত্রের চারপাশে আবর্তিত।

সূর্য থেকে পৃথিবী যে পরিমাণ তাপ ও আলো পায়, নতুন সন্ধানপ্রাপ্ত গ্রহটি তার নক্ষত্র থেকে পায় তার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তাপ ও আলো। যে কারণে এখানে তরল পানির অস্তিত্ব আছে বলে তাত্ত্বিকভাবে ধরে নেযা হচ্ছে। উষ্ণ থাকার জন্য পানির প্রয়োজন হয় ঘন কার্বন ডাইঅক্সাইডের বায়ুমন্ডল, যা সম্ভবত আগ্নেয়গিরির অগ্নু্যৎপাত থেকে বায়ুতে আসে।

গ্রহটি সম্পর্কে সায়েন্স জার্নালে লেখা প্রবন্ধের মূল লেখক এবং একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী লিসা কুইনটানা গ্রহটি সম্পর্কে আরো বলেছেন, 'গ্রহটির ক্ষুদ্র আকৃতি জানান দিচ্ছে যে গ্রহটি পৃথিবীর মতোই নুড়ি পাথরময়।' কিন্তু তারা এটা নিশ্চিত করতে পারেননি এখনো, কারণ এখন পর্যন্ত তারা কেবল গ্রহটির আকৃতি জানেন, ভর নয়।

কেপলার-১৮৬ নক্ষত্র হলো একধরনের এম-ড্রফ নক্ষত্র, যা সূর্য থেকে ঠান্ডা এবং অনুজ্জ্বল। মিল্কিওয়ের প্রায় ৭০% নক্ষত্রই এ ধরনের এম-ড্রফ শ্রেণির। কুইনটানা ধারণা করেন, ভবিষ্যতে কখনো যদি মহাবিশ্বে কোনো জীবনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তবে তা কোনো একটি এম-ড্রফ নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত কোনো হেবিটেবল জোনের কোনো গ্রহেই পাওয়া যাবে।

অবশ্য কুইনটানা ও তার সহকর্মীরা ভাবছেন, যেহেতু গ্রহটির নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়ে ঠান্ডা এবং অনুজ্জ্বল তাই কেপলা-১৮৬এফ গ্রহটি অনেকটা পৃথিবীর কাজিন হতে পারে, যমজ মোটেও নয়।

গ্রহটির অস্তিত্বের বাস্তবতা সম্পর্কে কেপলারের অন্যতম বিজ্ঞানী থমাস বারকলে বলেছেন, 'কেক এক জেমিনির পর্যববেক্ষণ এবং অন্যান্য তথ্য ও গাণিতিক ক্যালকুলেশন কেপলার-১৬৮এফ গ্রহের অস্তিত্বের বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের ৯৯.৯৮% ভাগ আত্মবিশ্বাসী করেছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<43126 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1