বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মহাজাগতিক বিস্ফোরণের গভীরে

পাবর্নী দাস
  ০৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
পৃথিবী, চঁাদ ও সূযের্র যে অঞ্চলে মহাকষর্ টানের ভারসাম্য রয়েছে সে অঞ্চলে জ্বালানি ডিপো তৈরি করা যেতে পারে ছবি : ইন্টারনেট

মহাকাশ অভিযানের সময় যাতে খরচ, পরিশ্রম ও ওজন কমানো যায়, তার জন্য সেখানকার উপাদান কাজে লাগিয়ে প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা তৈরি করে নিতে পারলে ভালো। এ ধরনের উদ্যোগের ফলে অদূর ভবিষ্যতে মহাকাশ যাত্রায় সুফল পাবেন নভোচারীরা। তাদের মতে পৃথিবী থেকে জ্বালানি, পানিসহ অন্যান্য উপকরণ বয়ে নেয়া মানে অতিরিক্ত ভার বহন করা। এসব উপাদানের বদলে যদি বাড়তি কম্পিউটার কিংবা অন্যান্য গবেষণার উপাদান পাঠানো সম্ভব হয়, তবে মহাকাশ মিশন বেশি কাযর্কর হতে পারে।

চিন্তার কারণÑ ময়লার মধ্যে স্ক্রু, বল্টু থেকে শুরু করে রয়েছে রকেটের ভেঙে যাওয়া বড় বড় টুকরা?বিজ্ঞানীদের হিসাবে সংখ্যাটা হবে প্রায় তিন লাখ?আর কক্ষপথে সেগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে দ্রæতগতিতে?ফলে মহাকাশে থেকে স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে ওই জঞ্জালগুলোর যে কোনো সময় সংঘষর্ বাধার আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা আর সে কারণেই যত দ্রæত সম্ভব আবজর্না পরিষ্কারের দাবি উঠেছে।?

মহাকাশে এবার গ্যাস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) গবেষকরা। পরিকল্পনা সফল হলে নভোযানে আর অতিরিক্ত জ্বালানি বহন করার প্রয়োজন পড়বে না। মহাকাশ অভিযানে বা চঁাদ ভ্রমণের পথে অতিরিক্ত জ্বালানি এখান থেকেই সংগ্রহ করা যাবে। তখন জ্বালানির পরিবতের্ প্রয়োজনীয় গবেষণা যন্ত্রপাতি বহন করতে পারবে নভোযান। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

গবেষকদের মতে, পৃথিবী, চঁাদ ও সূযের্র যে অঞ্চলে মহাকষর্ টানের ভারসাম্য রয়েছে সে অঞ্চলে এ জ্বালানি ডিপো তৈরি করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে আরও একটা সুবিধার সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। গ্যাস স্টেশনটি তৈরি করা গেলে এবং সফলভাবে স্থাপন করা গেলে মহাকাশযানগুলোকে আর অপ্রয়োজনে আন্তজাির্তক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার ঝক্কি পোহাতে হবে না। তারা চাইলে গ্যাস স্টেশন হয়েই নিজ গন্তব্যে চলে যেতে পারবে।

জামার্ন বিজ্ঞানীরা মহাকাশের ময়লা সরাতে লেজার রশ্মিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন?একই বিষয়ে গবেষণা করছেন অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানীও।?

অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভাসিির্টর ‘রিসাচর্ স্কুল অব অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের পরিচালক ম্যাথু কোলেস মনে করছেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে লেজার রশ্মি দিয়ে মহাকাশের আবজর্না পরিষ্কার সম্ভব হতে পারে?

তিনি বলেন, ‘এটা সম্ভব হওয়া গুরুত্বপূণর্, কেননা তা না হলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ময়লার সঙ্গে স্যাটেলাইটের সংঘষর্ লাগার ঘটনা ঘটা শুরু হবে’।

ইতিমধ্যে মাকির্ন মহাকাশ সংস্থা নাসার সঙ্গে চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়ার আওতায় ‘মাউন্ট স্ট্রমলো অবজারভেটরি’-তে ইনফ্রা-রেড লেজার সংবলিত টেলিস্কোপ দিয়ে আবজর্নার অবস্থান নিধার্রণের কাজ চলছে?

এ ছাড়া বিজ্ঞানী দল অস্ট্রেলিয়া সরকার থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগ থেকে আরও ৪০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে?এ অথর্ দিয়ে লেজারের ক্ষমতা বাড়ানোর গবেষণা করা হবে, যেন সেই লেজার দিয়ে মহাকাশের আবজর্না শনাক্ত করে সেগুলো পুড়িয়ে ফেলা যায়।?

কিন্তু জঞ্জাল সরাতে গিয়ে এ লেজার কি স্যাটেলাইটকে আক্রমণ করে ফেলতে পারে না? এমন আশঙ্কার উত্তরে কোলেস বলেন, ‘চালু স্যাটেলাইটে আঘাত করার কোনো ঝুঁকি নেই আমরা ময়লাকে নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করতে পারি’।

নাসার কেপলার মিশন জানিয়েছে, তারা আরো ৭১৫টি নতুন গ্রহের সন্ধান পেয়েছে। আর এ গ্রহগুলো আমাদের সূযের্র মতো ৩০৫টি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। অথার্ৎ আমাদের সূযের্ক কেন্দ্র করে যেমন অনেক গ্রহ ঘুরছে ঠিক একইভাবে এ নক্ষত্রগুলোকে কেন্দ্র করেও ঘুরছে একাধিক গ্রহ। এ গ্রহগুলো শতকরা ৯৫ ভাগ গ্রহই নেপচুনের চেয়ে আকারে ছোট। নেপচুনের আকৃতি পৃথিবীর প্রায় চারগুণ। নতুন এ গ্রহগুলোর আবিষ্কারের ফলে পৃথিবীর সঙ্গে দৃশ্যত মিল আছে এরকম জানা গ্রহের সংখ্যা আরো বেড়ে গেল। ঘঅঝঅ’ং ঝপরবহপব গরংংরড়হ উরৎবপঃড়ৎধঃব.

ওয়াশিংটন ডিসির জন গ্রæন্সফিল্ড বলেন, ‘কেপলার ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কমীর্ দলের নিরলস পরিশ্রমের ফলে অল্প সময়েই আমরা গ্রহদের অনুসন্ধান সংক্রান্ত বিষয়ে চমৎকার ফল পেয়েছি।’ আর এর ফলে মানুষের এ মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ পদচারণা কেমন হবে তারই ধারণা পাওয়া যাবে। আর সে লক্ষ্যেই তৈরির অপেক্ষায় রয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। এটার কাজ হবে এই ‘নতুন বিশ্বগুলো’কে নিয়ে গবেষণা করা।

আজ থেকে ২০ বছর আগে সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহটি আবিষ্কৃৃত হয়েছিল। এত মহাজাগতিক বস্তুর মধ্যে গ্রহগুলোকে আলাদাভাবে নিণর্য় করা ছিল বেশ সময়সাপেক্ষ। তবে এখন বিজ্ঞানীদের কাছে রয়েছে, একটি পরিসংখ্যানভিত্তিক প্রযুক্তি, যার ফলে নতুন গ্রহগুলো নিণর্য় করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ক্যালিফোনির্য়ায় অবস্থিত নাসার অসবং জবংবধৎপয ঈবহঃবৎ এর গ্রহবিজ্ঞানী জ্যাক লিসাওর একটি গবেষণা পরিচালনা করেন, যার ফলে ২০০৯-১১, এ দুই বছরে অনেক গ্রহ ও নক্ষত্র আবিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।

কেপলার প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার নক্ষত্র পযের্বক্ষণ করেছে। এর মধ্যে হাজারের মতো নক্ষত্রকে বিবেচনায় আনা হয়। যাদের মধ্যে ৭১৫টি গ্রহ বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ গ্রহগুলোর মধ্যে অন্তত চারটির আকার পৃথিবীর চেয়েও ২.৫ গুণ বড়। এ আবিষ্কারের ফলে আমাদের সৌরজগতের বাইরে জানা গ্রহের সংখ্যা দঁাড়াল ১৭০০টি।

নাসার ‘ওহঃবৎভধপব জবমরড়হ ওসধমরহম ঝঢ়বপঃৎড়মৎধঢ়য’ (ওজওঝ) মহাশূন্যযানকে উৎক্ষেপণ করা হয় বেশ কিছুদিন আগে। এই মহাশূন্যযানকে সূযের্র কাছ থেকে একটি নিদির্ষ্ট দূরত্বে পরিভ্রমণ করতে পাঠানো হয়েছে। এর মূল কাজ এটা দেখা, কীভাবে বিভিন্ন সৌরপদাথর্ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় স্থানান্তরিত হয় ও শক্তি সঞ্চয় করে।

এ মিশনের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমাদের পৃথিবীর নিকটবতীর্ নক্ষত্রের জন্ম রহস্য অনুসন্ধান, আর সেখান থেকে উৎসারিত প্রবল মহাজাগতিক বল বা সৌরঝড় নিয়ে অনুসন্ধান করা। সৌরঝড়ের কারণে একটি নক্ষত্র থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো বিস্ফোরণের মাধ্যমে এর ভেতরের গলিত উত্তপ্ত পদাথর্গুলো নিঃসরিত হয়।

সৌরজগতের এ ঘটনাটি ঠিক তখনই ঘটে যখন সূযের্র বঁাকানো চৌম্বক ক্ষেত্রগুলো একটি আরেকটিকে অতিক্রম করে ও আবার যুক্ত হয়। এর ফলে যে বিস্ফোরণ ঘটে তার শক্তিমত্তা প্রায় কয়েক লাখ হাইড্রোজেন বোমার সমান। এ বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট এক্স-রে ছড়িয়ে পড়ে মহাবিশ্বের সবর্ত্র। আর সৃষ্ট এ তেজস্ক্রিয় ঝড়ের ফলে পৃথিবীতে মাঝেমধ্যে বেতার সংকেত মারাত্মকভাবে বিঘিœত হয়।

গত জানুয়ারি মাসে বেশ কয়েকটি সৌরঝড়ের ঘটনা পযের্বক্ষণ করেছে ওজওঝ মহাশূন্যযান। যেমন জানুয়ারি মাসের ৭ ও ২৮ তারিখে। এর মধ্যে ৭ জানুয়ারিতে ঢ১.২ নামের একটি সৌরঝড়ের কারণে আন্তজাির্তক মহাশূন্য স্টেশনে মালামাল বোঝাই একটি কাগোর্ মহাশূন্যযানের যাত্রা বিলম্ব ঘটে।

ওজওঝ মহাশূন্যযান একবারে সূযের্র মাত্র ১ ভাগ অংশের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারে। তবে এটা সূযের্র নিম্নাংশের বায়ু স্তরের বেশ নিখুঁত ছবি পাঠাতে সক্ষম হয়েছে, যে স্তরটি ক্রোমোস্ফিয়ার নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীদের মতে, সৌরঝড়ের মাধ্যমে যে পদাথর্ ও শক্তি সূযর্ থেকে বের হয়, তার নিঃসরণ ঘটে এ ক্রোমোস্ফিয়ার দিয়ে।

ওজওঝ মহাশূন্যযান যে স্পেক্ট্রোগ্রাফ পাঠিয়েছে সেখানে স্পষ্টতই সৌরঝড়ের সময় সৃষ্ট আলোকে তার বিভিন্ন বণাির্ল দৈঘের্্যর ভিত্তিতে ভাগ করা সম্ভব হয়েছে। আর এর ফলে তাপমাত্রা, গতি ও সৌর পদাথের্র ঘনত্ব সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও পাওয়া গেছে। আর এর মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সৌরঝড়ের উৎপত্তি সংক্রান্ত অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।

পৃথিবী নামের আমাদের এই গ্রহের অনেক গভীরে একটি প্রকাÐ গলন্ত শঁাস বা পড়ৎব (গোলাকার মূল অংশ) রয়েছে। এটা থেকে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে চৌম্বক ক্ষেত্র যা আমাদের পৃথিবীতে সুরক্ষিত রাখছে মহাশূন্যের সৌরঝড় থেকে। আর পৃথিবীকে সুরক্ষা প্রদানকারী এ চৌম্বক ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়ে আছে ভ‚-পৃষ্ঠ থেকে মহাশূন্য পযর্ন্ত কয়েক হাজার মাইলব্যাপী। আর পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিভিন্ন প্রাণীর স্থানান্তর ও আবহাওয়ার ধরনÑ সব কিছুই এ চৌম্বক ক্ষেত্রের ওপর নিভর্রশীল। কিন্তু আশঙ্কার কথা হচ্ছে, গত ২০০ বছরে এ চৌম্বক ক্ষেত্র ১৫% পরিবতির্ত হয়ে গেছে। আর বিজ্ঞানীদের মতে এ কারণে পৃথিবীর চৌম্বক মেরু সম্পূণর্ উল্টো দিকে ঘুরে যাচ্ছে!

এর অথর্ হচ্ছে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরু তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্থানচ্যুত হয়ে সম্পূণর্ বিপরীত দিকে অবস্থান নেবে। বিজ্ঞানীদের মতে, এ ঘটনাটি ইতোমধ্যেই ঘটা শুরু হয়ে গেছে, কিন্তু প্রকৃত ঘটনাটি কখন ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত নন। আর এরকম ঘটলে পৃথিবীর বাইরে যে ওজোন স্তর আছে, সৌরঝড় তা ভেদ করে পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসবে। আর মানবজাতির জন্য এর ফলাফল হবে চরমভাবে বিপযর্য় সৃষ্টিকারী। শক্তি উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থা বা পাওয়ার গ্রিডগুলো ভেঙে পড়বে। পরিবতর্ন ঘটাবে পৃথিবীর আবহাওয়ার, বাড়িয়ে দেবে ক্যান্সারের ঝুঁকি। সম্প্রতি ডেনমাকের্র এক গবেষণা বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য কাবর্ন ডাইঅক্সাইড গ্যাসের নিঃসরণ যতটা না দায়ী, তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ী হচ্ছে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবতর্ন।

মহাজাগতিক বিস্ফোরণ বা সুপারনোভার রহস্যাবৃত সৌন্দযর্ উন্মোচনের জন্য বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এবার নাসা তার শক্তিশালী টেলিস্কোপের মাধ্যমে এ মহাজাগতিক বিস্ফোরণের মূল বিষয়গুলো অনুসন্ধানের চেষ্টা শুরু করেছে। এ টেলিস্কোপের নাম ঞযব ঘঁপষবধৎ ঝঢ়বপঃৎড়ংপড়ঢ়রপ ঞবষবংপড়ঢ়ব অৎৎধু বা ঘঁঝঞঅজ।

এ টেলিস্কোপের কিছু পযের্বক্ষণে দেখা গেছে, কোনো নক্ষত্র বিস্ফোরিত হওয়ার ঠিক পূবর্ মুহূতের্ এর ভেতরে তেজস্ক্রিয় গ্যাস ও পদাথর্গুলো জমা হতে শুরু করে। ঠিক যেমন পানি ফুটতে শুরু করলে যেমন বুদবুদ জমা হতে থাকে সেরকম। নাসা ও ক্যালিফোনির্য়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির গবেষকরা মিলে এবার ঈধংংরড়ঢ়বরধ অ নামে একটি নক্ষত্রের ওপর তাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। এ নক্ষত্রটি আজ থেকে ১১ হাজার বছর আগে বিস্ফোরণের মাধ্যমে সুপারনোভাতে পরিণত হয়। এর আগে বিজ্ঞানীরা ধরতে পারছিলেন না, কেন কম্পিউটারে সিমুলেশনে তৈরি সুপারনোভার সঙ্গে বাস্তবের সুপারনোভা বিস্ফোরণের কিছুটা পাথর্ক্য আছে। পরে দেখা গেল, টাইটেনিয়াম-৪৪ এ পাথের্ক্যর জন্য দায়ী। আর এটাই ধরা পড়ে ঘঁঝঞঅজ টেলিস্কোপের লেন্সে। ২০১২ সালে এ টেলিস্কোপটি তার কাজ শুরু করার পর থেকে এটাই তার সবচেয়ে বড় আবিষ্কার। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, অচিরেই সুপারনোভা বিস্ফোরণের রহস্য উন্মোচন করা যাবে, যেটা কিনা মহাবিশ্বে প্রাণের স্পন্দন সৃষ্টির জন্য দায়ী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<6350 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1