প্রস্তুতি প্রায় শেষ...
প্রস্তুতি অনেকটাই শেষ। নিজের ও সন্তানদের জন্য প্রধান কেনাকাটাগুলো করে ফেলেছি। বাচ্চাদের জন্য পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে আনুষঙ্গিক কিছু কেনাকাটা বাকি আছে। আজকালের মধ্যেই তা সেরে ফেলব। এ ছাড়া ইলিশ মাছ কিনেও ফ্রিজে ভরে রেখেছি। বাদ আছে ভর্তার উপকরণগুলো কেনা। এগুলো বৈশাখের আগেরদিন কিনব।
ব্যতিক্রম হবে না এবারও...
কনসার্টে কনসার্টেই কেটে যাবে পহেলা বৈশাখের শেষ প্রহর। বলা চলে, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যস্ত থাকব পরিবার নিয়ে। প্রতি বছরই আমি বিকেলের আগে কোনো কাজ রাখি না। এবারও ইচ্ছে করেই বিকেলের পরে রেখেছি সব কাজ। দুপুর পর্যন্ত সন্তান ও পরিবারের সঙ্গেই কাটাই। এবারো ব্যতিক্রম হবে না। পরিবারের সঙ্গে আড্ডা-খাওয়া-দাওয়া- বেড়ানো সব শেষ করেই বিকেলে কনসার্টে গাইতে যাব। প্রতি বছরই পহেলা বৈশাখে আমাকে কোনো না কোনো কনসার্টে অংশ নিতেই হয়। তবে চেষ্টা করি সেগুলো যেন আমার বাচ্চাদের সময় দেয়ার পরেই অংশ নিতে।
পান্তা-ইলিশ অবশ্যই থাকবে...
খাবারের মেনু্যতে পান্তা-ইলিশ অবশ্যই থাকবে। ইলিশ মাছ ভাজির সঙ্গে থাকবে নানারকম ভর্তা। এ ছাড়াও তরকারিরও বিশেষ পদের আয়োজন রব। থাকবে মিষ্টি জাতীয় খাবারও। তবে রান্নাবান্নার তদারকি করলেও নিজ হাতে কিছুই রান্না করছি না এবার বরং নিজ হাতে খাব।
লালেরই আধিক্য থাকবে...
বৈশাখে আমি তেমন সাজি না। আমার মেয়েদের সাজাতে সাজাতেই অনেকটা সময় পার হয়ে যায়। তাদের শাড়ি পরিয়ে দেয়া, কাজল পরিয়ে দেয়া, ফুল দিয়ে সাজানো- এসব বায়না তো আমাকেই পূরণ করতে হয়। এ ছাড়া থাকে তাদের আলতা, নেইলপলিশ, মেহেদি পরানোর কাজ। আমি সকালে শুভ্র শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ পরব। তবে লাল শাড়ির সঙ্গে কপালে লাল টিপ পরে কনসার্টে গাইব। থাকবে লাল রঙের চুড়ি। গলায় সোনালি রংয়ের মালা অথাবা গহনা থাকবে। কানে ঝুমকো পরতে পারি।
ফোক গানই গাইব...
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এবার দুটো কনসার্টে গাইব। একটি ধামরাই আরেকটি রূপগঞ্জে। বাঙালিদের আনন্দে মাতাতে সব ধরনের গানই আমি শোনাব। তবে বৈশাখী আমেজ বজায় রাখতে ফোক ধাঁচের গানকে প্রাধান্য দেব। এর পাশাপাশি থাকবে আমার গাওয়া জনপ্রিয় কয়েকটি গানেরও পরিবেশনা।
তেমন কোনো স্মৃতি নেই...
শৈশবের তেমন কোনো বৈশাখের স্মৃতি নেই। এখন যেমন জাতি-ধর্ম-ধনী-গরিব নির্বিশেষে বর্ষবরণ উৎসবে মেতে ওঠে তখন তেমনটি ছিল না। বাসায় বিশেষ কিছু রান্নাবান্না হতো। আর একটু বড় হওয়ার পর এ দিন নতুন জামা-কাপড় পরতাম। কোনো কোনোবার বান্ধবীরা আমাদের বাড়িতে আসত, আমিও তাদের বাড়িতে নেমতন্ন খেতে যেতাম। বর্ষবরণ উৎসব, মঙ্গল শোভাযাত্রা কিংবা বিশেষ সাজগোজের বিষয়গুলো তখনো সেভাবে আসেনি। তবে বড় বেলার বেশ কিছু স্মৃতি আছে। যেগুলো সবার জন্য আহামরি না হলেও আমার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো অনেক তুচ্ছ বিষয়। পাঠক কিংবা ভক্তদের না বললেও চলবে।
শ্রম্নতিলিখন