তারার মেলা রিপোর্ট

ছোট পর্দার অভিনেত্রী হলেও বড় পর্দায় প্রথম 'দেবী' চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই বাজিমাত করেছেন শবনম ফারিয়া। 'নিলু' চরিত্রটি করে দারুণ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সেই প্রশংসার জের কাটতে না কাটতেই ফারিয়া ভক্ত-দর্শকদের বিয়ের খবরও দিয়েছিলেন। পরে ঈদের নাটক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র 'মাসুদ রানা'র বির্তকে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয় সেই রিয়েলিটি শো-এর একাধিক ক্লিপ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এসব বিষয় নিয়ে শবনম ফারিয়া নানা ধরনের হেনস্তার শিকার হন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন শবনম ফারিয়া। তিনি বলেছেন, 'এ মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। মাসুদ রানা ইভেন্টের সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। তারপর বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাব। কিছু না বুঝে অনেকেই আমাদের ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করছেন। এটি দুঃখজনক।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাকে নিয়ে এক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ভিডিও এডিট করে নানা ধরনের ট্রল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমি ইতোমধ্যে থানায় তার নামে একটি ডায়েরি করেছি। কিন্তু অন্যদিকে কিছু কিছু অনলাইন পোর্টাল আমাকে নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক নিউজ করছে। তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে নানা ধরনের সমস্যার তৈরি হচ্ছে। যে কোনো নিউজ করলে তো আমাকে একটা ফোন করে জেনে নিতে পারে। আমি কি বিনোদন সাংবাদিক ভাইদের কাছ থেকে এতটুকু আশা করতে পারি না। এ বিষয়গুলো নিয়েও নতুন বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। আশা করব নিউজ করার আগে আমাকে যেন একটা ফোন করে নেন।'

উলেস্নখ্য, শবনম ফারিয়া মুখ খুললেও রিয়েলিটি শো'টির অন্য বিচারক সাফায়েত মনসুর রানা, ইফতেখার আহমেদ ফাহমি, জাকিয়া বারী মম ও মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেননি। দর্শকদের অভিযোগ, বিচারকরা প্রতিযোগীদের প্রতিনিয়ত অপমান করছেন। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন প্রতিযোগীর চুলের কাটিং নিয়ে ঠাট্টা করছেন বিচারকের আসনে বসা পরিচালক ইফতেখার আহমেদ ফাহমি। বিচারকরা প্রতিযোগীদের স্টাইল-ফ্যাশনসহ নানা বিষয়ে কটূূক্তি ও তামাশা করেছেন, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো চলছে নিন্দার ঝড়।

কাজলরেখা'র মন্দিরা