কল্যাণ কোরাইয়া : দ্বিতীয়বারের মতো বাবাকে ছাড়া বড়দিন পালন করবেন অভিনেতা কল্যাণ কোরাইয়া। বছর দুই আগে না ফেরার দেশে চলে যান তার বাবা পিটার কোরাইয়া। এ জন্য তার মনটা খুব খারাপ। এদিকে তার স্ত্রী গ্রেইস ভায়োলেট ডি'কস্তা রয়েছেন আমেরিকায়। ছুটি না পাওয়ায় এবার দেশে আসতে পারছেন না। বড়দিনে মা শান্তি কোরাইয়াইকে নিয়ে ঢাকায় থাকলেও পরের দিন যাবেন গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহরে। ছোটবেলায় পাবনা ও গাজীপুরে মামার বাবাড়িতে বড়দিন কাটলেও অনেকদিন পর যাচ্ছেন নিজ গ্রামে। কল্যাণ বলেন, 'রাতে আমাদের এলাকায় (ফার্মগেট) খুব জমজমাট পরিবেশ তৈরি হয়। প্রতি বছর আমাদের বিল্ডিংয়ে বসবাসরত লোকদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আমি এ অনুষ্ঠান পুরোটা সাজিয়ে দিই। এবারও হবে। কেক কেটে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে উপহার ভাগাভাগিও করা হবে। বড়দিনে চার্চে যাব। সবার সঙ্গে দেখা হবে। আমার বড় দুই বোন তারা ঢাকাতেই থাকেন; তাদের সঙ্গেও সময় কাটবে। পরের দিন সবাই মিলে পাবনায় যাব। সেখানে এক আত্মীয়ের বিয়ে আছে। বিয়েতে অনেক মজা করব। অনেকদিন পর পাবনায় যাওয়া হচ্ছে। সেখানে ৩/৪ দিন থেকে তারপর যাব নেপালে। সেখানে ৫টি নাটকের শুটিং আছে।'
দীপান্বিতা হালদার : ছোটপর্দার অভিনেত্রী দীপান্বিতা হালদার। বাবাকে হারিয়েছেন ২০০৩ সালে। মা থাকেন আমেরিকা। ঢাকাতেই কাটবে তার বড়দিন। তবে দিনটি নিয়ে এখনো তেমন কোনো পরিকল্পনা সাজাননি তিনি। দীপান্বিতা বলেন, 'মা আমেরিকায় চাকরি করেন। তিনি বড়দিন ওখানেই পালন করবেন। আমরা মোট চারবোন। তিন বোনই আমার বড়। একবোন ঢাকায় আছেন। রাতে গির্জায় গেলে হয়তো ওর সঙ্গে দেখা হবে। নয়তো পরে দিন ওর সঙ্গে দেখা করব। আমি যেহেতু একা থাকি তাই নিজের মতই চলার চেষ্টা করি। বড়দিনে একটি বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। সেদিন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কুকুর, বিড়াল কিংবা অন্য কোনো পশুপাখিদের খাওয়াব। এটা আমি সময় পেলেই করে থাকি। ছোটবেলা থেকেই এটা আমার অভ্যাস। এ জন্য অনেক সময় আমার বাসার গেটের সামনে কুকুর বিড়ালের ভিড় করতে দেখা গেছে। আমি যেহেতু বাসায় একা থাকি শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়, তাই বাসায় পশুপাশি পালন না করলেও বিভিন্ন জনের বাসায় কিছু কুকুর-বিড়াল পালনের খরচ দিই। সুযোগ পেলে তাদের দেখতেও যাই। এ ছাড়া বড়দিনে কিছু অসহায় ব্যক্তিদের মাঝে অর্থ ও খাবার বিতরণ করব।
অ্যালেন শুভ্র : এবারের বড়দিনটি ঢাকার বাইরে কাটতে পারে বলে জানান তিনি। অ্যালন বলেন, 'পরিবারের সবাই মিলে এবার কুষ্টিয়ায় যেতে পারি। পরিবার থেকে তেমনই একটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যদিও বিষয়ট চূড়ান্ত হয়নি। অনেক বছর আগে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজন আছেন। আবার সেখানে যেতেও মন চাইছে। তবে যেখানেই হোক বড়দিনে আমি গির্জায় যাই। পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হয়। অনেক ভালোলাগে। তবে আমার কাছের বন্ধুদের প্রায় জনই অন্য ধর্মের। তাই সেভাবে কাটে না, তারপরও দিনটা উপভোগ করি। বাসায় কেক কাটাকাটি ও পরিচিত আপনজনদের সঙ্গে উপহার দেওয়া-নেওয়ার বিষয়টি তো থাকেই। এবার ঢাকার বাইরে কুষ্টিয়ায় থাকলে সেখানে ঘোরে বেড়াব।
জয়ন্ত রোজারিও : গত অক্টোবর বিয়ের করেছেন এ নির্মাতা। তাই বিশেষ পরিকল্পনা সাজিয়েছেন এবারের বড়দিন নিয়ে। ২৪ ডিসেম্বর রাতে যাবেন গ্রামের বাড়ি পাবনা চাটমোহরে। সেখানে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে কাটবে দিনের অর্ধেক সময়। আর বাকিটা কেটে যাবে শ্বশুরবাড়িতে। জয়ন্ত বলেন, 'বিয়ের পর প্রথম বড়দিন। দিনটি দুই ভাগে ভাগ করেছি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত থাকব গ্রামে। গির্জায় যাব, বন্ধুদের সঙ্গ দেব। তবে দুপুরে খেয়ে রওনা দেব শ্বশুরবাড়ি নাটোরের বনপাড়ায়।'
জয়ন্ত বলেন, 'প্রতি বছর স্থানীয় গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করি। সবার সঙ্গে দেখা হয়। কেক কাটি, উপহার দেই আবার নিজেও উপহার পাই। চাটমোহরে বড়দিনে এক ধরনের কিত্তন বা সাংস্কৃতিক হয় তা উপভোগ করি। এবার একটু ব্যতিক্রম হবে এখানেও। ২৭ ডিসেম্বর 'কাঠবিড়ালী' সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। ছবিটি নির্মাণ করেছেন আমাদের কাছের এক বন্ধু নিয়ামুল। সবাই মিলে চাটমোহরে ছবিটি উপভোগ করব। ধারাবাহিক নাটকের শুটিং থাকায় কয়েকদিন পরেই চলে আসতে হবে ঢাকায়।'