শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পেস বোলারের অভাবে ভুগেছে বাংলাদেশ

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের পেসাররা যেভাবে সাফল্য পেয়েছেন, টেস্ট ক্রিকেটে সেভাবে সাফল্য পাননি তারা। জাতীয় দলের অনুশীলনে কীভাবে ভালো বোলিং করা যায় তা নিয়েই কথা বলছেন আবু জায়েদ রাহী-মুস্তাফিজুর রহমান ও আল আমিন হোসেন -ফাইল ফটো
ক্রীড়া ডেস্ক
  ১০ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যেকোনো দলের বোলিং আক্রমণের ধার বোঝা যায় পেসারদের দেখলে। ক্রিকেটে একটি প্রবাদ প্রচলিত আছে যে টেস্ট ম্যাচ জেতায় বোলাররা, বিশেষভাবে বলা যায় পেসাররা। শুরু থেকেই কোয়ালিটি পেস বোলারের অভাবে ভুগেছে বাংলাদেশ, টেস্ট ম্যাচের ফলাফলেও দেখা গেছে এর প্রভাব। সবশেষ আড়াই বছরের পরিসংখ্যানও সাক্ষ্য দিচ্ছে, টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মাঝে সবচেয়ে খারাপ পেস এটাক টাইগারদেরই। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত টেস্টর্ যাংকিংয়ের সেরা নয় দলের বোলিং বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে বাংলাদেশের বোলারদের ভঙ্গুর অবস্থা। এ সময় সব মিলিয়ে ১৫টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা। পেসাররা সর্বসাকুল্যে উইকেট পেয়েছেন মাত্র ৪৮টি। উইকেটপ্রতি খরচ করেছেন সবচেয়ে বেশি ৫০.০৬ রান। বাংলাদেশের সমান ১৫টি ম্যাচ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজও। তবে ক্যারিবীয় পেসাররা এ সময় মুস্তাফিজ-রাহীদের চেয়ে সাড়ে তিন গুণ বেশি উইকেট শিকার করেছেন। গ্যাব্রিয়েল-রোচরা গত আড়াই বছরে শিকার করেছেন ১৭৭ উইকেট। প্রতি ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরাতে তারা খরচ করেছেন মাত্র ২১.৭৮ রান। দলটির ফাস্ট বোলাররা আছেন দ্বিতীয় স্থানে। তালিকার শীর্ষে আছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। মাত্র কয়েকবছর আগেও স্পিন ছিল যাদের প্রধান ভরসা সেই দেশটিই এখন পেস বোলিং দিয়ে বিশ্ব কাঁপিয়ে দিচ্ছে। ২০১৮ সাল থেকে খেলা ২৪ টেস্টে ২৯২টি উইকেট নিয়েছেন শামী-যাদবরা। প্রতি উইকেটের জন্য খরচ করেছেন মাত্র ২১.৩৩ রান। পেস বোলিং আক্রমণে তালিকার তৃতীয় থেকে পঞ্চম দলগুলো যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। প্রোটিয়ারা ২১ ম্যাচে ২৪.৮১ গড়ে ২৭৮টি, অজিরা ২৩ ম্যাচে ২৫.৪৫ গড়ে ২৮৫টি ও কিউইরা ১৮ ম্যাচে ২৬.০২ গড়ে ২৪৬টি উইকেট শিকার করেছে। গত আড়াই বছরে পেস বোলিংয়ে সফল দলগুলোর তালিকার ষষ্ঠ দল পাকিস্তান। এ সময়ের মাঝে ১৬টি ম্যাচে ২৬.৭৭ গড়ে ১৬০ উইকেট শিকার করেছে দলটির পেসাররা। তালিকার সপ্তম ও অষ্টম দল যথাক্রমে ইংল্যান্ড ও শ্রীলংকা। বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ডের পেসাররা ২৮ ম্যাচে সর্বাধিক ৩৩২ উইকেট শিকার করলেও রান খরচ করেছে ২৬.০৮। বাংলাদেশের উপরে থাকা শ্রীলংকা ২২ ম্যাচে ৩২.১০ গড়ে ১৪৮ জন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়েছে। মাত্র এক ধাপ উপরে থাকা লংকানদের চেয়ে উইকেটপ্রতি ১৮ রান বেশি খরচ করেছে টাইগাররা। মূলত এখান থেকেই বোঝা যায় কতটা অসহায় পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশের বোলাররা। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২০ বছর পার হয়ে গেলেও হাতে-গোনা কয়েকটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মাঝে অধিকাংশই দুর্বল জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে টেস্টে হারালেও সেটা ছিল একদম স্পিন ট্র্যাক। এমতাবস্থায় পেস বোলারদের কাছ থেকে ভালো ফলাফল আশা করতে চাইলে ঘরোয়া ক্রিকেটে পেস বোলিংবান্ধব পিচ তৈরির কোনো বিকল্প নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে