শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘সংবিধান পরিবতর্ন মিনিটের ব্যাপার’

বিবিসিকে ড. কামাল
যাযাদি ডেস্ক
  ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ০০:৫৮

প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংলাপের আমন্ত্রণের চিঠি পাওয়ার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন বিবিসিকে বলেছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে বলবেন, তারা খোলা মন নিয়ে কথা বলতে এসেছেন, কোনো দলীয় স্বাথর্ সিদ্ধির জন্য নয়। ‘তিনি বলেন, আমি বলব জাতীয় স্বাথের্ একটা গ্রহণযোগ্য নিবার্চন আমরা যেমন চাই, আপনিও চান... আমরা উভয়ে সেটাই চাই, তাহলে কেন উপায় বের করা যাবে না’। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে রাজনৈতিক সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে যে চিঠি শেখ হাসিনা ড. কামাল হোসেনকে পাঠিয়েছেন, এতে নিবার্চন নিয়ে সরকারের মৌলিক অবস্থানের ইঙ্গিত স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘সংবিধানসম্মত সব বিষয়ে আলোচনার জন্য তার দ্বার সবর্দা উন্মুক্ত।’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবি নিয়ে সরকারের নেতা-মন্ত্রীরাও গত বেশ কিছুদিন ধরে ক্রমাগত বললেন, এসব দাবির অনেকগুলোই মানার প্রশ্নই ওঠে না, কারণ, বতর্মান সংবিধানে এ রকম কিছুর কোনো সুযোগ নেই। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান যে দাবি, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবার্চন - সেটিকে এই যুক্তিতেই দিনের পর দিন সরকারের পক্ষ থেকে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এখন তার চিঠিতে ‘সংবিধানসম্মত’ শব্দটি জুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি তাহলে তাদের সেই অবস্থানেই অনড় থাকার বাতার্ দিয়ে দিলেন? এই প্রশ্নে ড. কামাল হোসেন বলেন, আলোচনার মাধ্যমেই বোঝা যাবে সরকার কতটা করার জন্য প্রস্তুত, কোন কোন ইস্যুতে তাদের দ্বিধা আছে। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘কিছুটা তো বুঝতে পারছি, তারা সংবিধানের বিষয়গুলোকে তুলতে চাইবেন, কিন্তু এই সংবিধানকে তো তারাই সংশোধন করেছেন, সংকীণর্ স্বাথের্ ব্যাপারগুলো যোগ করেছেন।’ ‘আমরা তদের বলব, এটা তো সংবিধান নয়, এটা তো সংশোধনী... অবশ্যই নিবার্চন সংবিধানসম্মত হবে, অসাংবিধানিকভাবে তো নিবার্চন করা যায় না, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে সংশোধনী থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।’ ‘লক্ষ্য তো একটা যে, সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নিবার্চন। সংবিধান এবং আইন পরিবতর্ন তো কোন ব্যাপারই না, এক মিনিটেই তা হতে পারে।’ ড. কামাল হোসেন বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবার্চন করার যে দাবি তারা দিয়েছেন, সেটা একবারেই নতুন কিছু নয়। ‘২০০৭ সালে শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলে ছিলেন, সেই একই কথা বলে ২০০৮ এর নিবার্চন হয়েছে।’ তবে সংলাপে তাদের সুনিদির্ষ্ট কৌশল নিয়ে বেশি কথা বলতে রাজি হননি ড. হোসেন। তিনি বলেন ‘যেহেতু আলোচনা, সুতরাং বেশি কিছু বলতে চাই না। আমরা আশা করব, সরকার আমাদের সাত দফা দাবি মেনে নিক।’ বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে