শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের পদত্যাগ নিয়ে মুখোমুখি দুই প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী

যাযাদি ডেস্ক
  ১৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
কিম ডেরক

ই-মেইল ফাঁসের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ডেরকের পদত্যাগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী জেরেমি হান্ট। একইসঙ্গে এ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে আরও সহযোগিতা পাওয়া উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সংবাদসূত্র : রয়টার্স, গার্ডিয়ান ডেরককে পুরোপুরি সমর্থন না দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে যুত্তরাজ্যের আরেক প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী বরিস জনসন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে নিজেদের সব কূটনীতিকের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত থাকবে। কিন্তু, তিনি চান না ব্রিটিশ কূটনীতিকরা কোনো দেশের রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হোক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে লন্ডনে পাঠানো ই-মেইল ফাঁসের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যেই হত বুধবার পদত্যাগ করেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ডেরক। তার এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে গত দুইদিন ধরেই নানা মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ডেরককে পর্যাপ্ত সমর্থন না দেয়ারও অভিযোগ তোলেন অনেকে। এর মধ্যেই কিম ডেরকের পদত্যাগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী জেরেমি হান্ট। বৃহস্পতিবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন পাননি ডেরক। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, একজন রাষ্ট্রদূত হলো আমাদের সর্বোচ্চ কূটনীতিক পদ, এই পদে থেকে কেউ যদি কোনো ব্যক্তি বা দেশ সম্পর্কে সত্য বলার সৎ সাহস দেখায়, তবে আমাদের সবার উচিত তাকে সমর্থন করা।' এদিকে, ডেরককে পর্যাপ্ত সমর্থন না দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরেক প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ও সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। বৃহস্পতিবার, সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শুধু ডেরক নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত সব ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের প্রতি তার সমর্থন অব্যাহত রয়েছে। বরিস বলেন, 'তার পদত্যাগ আমাকেও মর্মাহত করেছে। আমি এখনো মনে করি, তিনি একজন অসাধারণ কূটনীতিক।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে