শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা সংকট মানুষকে অস্থির করে তুলছে!

যাযাদি ডেস্ক
  ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

করোনাভাইরাসের কুপ্রভাব যে শুধু স্বাস্থ্য পরিষেবা অবকাঠামোর ওপর পড়ছে না, সে বিষয়ে আর কোনো সন্দেহ নেই। কোটি কোটি মানুষের উপার্জন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে এবং অসংখ্য ছোটবড় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। বিভিন্ন দেশের সরকার বিপুল অঙ্কের অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছে। সংবাদসূত্র : এএফপি, রয়টার্স, ডয়চে ভেলে

কিন্তু লকডাউন, কারফিউ ইত্যাদি কড়া পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষের মনে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে, তার মাত্রা ও পরিণাম সম্পর্কে এখনো কোনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কিছু ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। যেমন, যুক্তরাষ্ট্রে গত দুই সপ্তাহে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাগুলি বিক্রির প্রবণতা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। একটি বন্দুক প্রস্তুতকারক কোম্পানি এমনকি ৮০০ শতাংশ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। অনেকে জানিয়েছেন, করোনা সংকটের ফলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং আত্মরক্ষার বাড়তি তাগিদ অনুভব করছেন। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী করোনা সংকট সামলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লে চুরি-ডাকাতির মতো অপরাধ মোকাবিলা করতে তাদের হাতে সময় থাকবে না বলেও অনেকে আশঙ্কা করছেন।

করোনা সংকটের ফলে বিশ্বের অনেক দেশে কারাবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘও করোনার সংক্রমণ কমাতে এমন আবেদন করছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, ইরানসহ বেশ কিছু দেশে হাজার হাজার মানুষকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা অবকাঠামোর পক্ষে তাদের সামলানো কঠিন হয়ে উঠছে। যেসব কয়েদির মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এবং যাদের অপরাধের মাত্রা তেমন গুরুতর নয়, মূলত তাদেরই মুক্ত করছে অনেক দেশ। সেক্ষেত্রে বাকি বন্দিদের মধ্যে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখা কিছুটা সহজ হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছে। কিন্তু আচমকা বন্দিদের মুক্তির ফলে সমাজে অস্থিরতা বাড়বে কিনা, সে বিষয়ে অনেকের মনে সংশয় রয়েছে।

পরিস্থিতি সামলাতে প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ঘাটতিও অস্থিরতার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। লকডাউন বা কারফিউ সত্ত্বেও খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান নিশ্চিত করতে না পারলে মানুষের ক্ষোভের মাত্রা বাড়তে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে