সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকান্ডের বিচার শুরু করেছে তুরস্ক। হত্যাকান্ডে জড়িত বলে দাবি করা ২০ সৌদি নাগরিকের অনুপস্থিতিতেই শুক্রবার এই বিচার শুরু হয়েছে। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। সংবাদসূত্র : বিবিসি
২০১৮ সালের অক্টোবরে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনসু্যলেটের ভেতরে খুন হন খাশোগি। হত্যাকান্ডে সংশ্লিষ্টতায় নাম আসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগীর। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং কয়েকটি পশ্চিমা দেশের বিশ্বাস, যুবরাজ সালমান খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
তুরস্কের সরকারি কৌঁসুলিদের দাবি, খাশোগি হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক উপ-প্রধান আহমেদ আল-আসিরি এবং রাজকীয় আদালতের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা সোউদ আল-কাহতানি। এই দুজনই সৌদি হত্যাকারী দলটিকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। দলটিতে থাকা বাকি ১৮ আসামি শ্বাসরুদ্ধ করে খাশোগিকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের পর খাশোগির লাশ গুম করে ফেলা হয়।
ব্যাপক সমালোচনার পর গত বছর ডিসেম্বরে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, হত্যাকান্ডে জড়িত পাঁচ জনকে মৃতু্যদন্ড এবং তিন জনকে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সৌদির দাবি করা এই বিচার কার্যক্রম ছিল অত্যন্ত গোপনীয় এবং দন্ডিতদের নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করেনি দেশটি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের আদালতে শুক্রবার শুরু হয় তাদের বিচার। খাশোগি হত্যাকান্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী তোলপাড়ের পর তুরস্কে এ বিচার শুরু হলো।
তুর্কি কৌঁসুলিরা খাশোগি হত্যা অভিযান পরিচালনা করা এবং নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন আহমেদ আল-আসিরি এবং সোউদ আল-কাহতানির বিরুদ্ধে। অন্য ১৮ সৌদি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খাশোগিকে শ্বাসরোধ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।