শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

লাদাখের আকাশে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের মহড়া

যাযাদি ডেস্ক
  ০৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ০৬ জুলাই ২০২০, ১০:৪৭
লাদাখের আকাশে বিমান-হেলিকপ্টার

হিমালয় বেষ্টিত লাদাখের পরিস্থিতি দিন দিন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একদিকে সাম্প্রতিক স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়ছে গালওয়ান উপত্যকায় নিজেদের গতিবিধি বাড়াচ্ছে চীন। অন্যদিকে, সেখানে প্রস্তুতি শেষ করে ফেলেছে ভারতও। রোববারও লাদাখের আকাশে ভারতীয় যুদ্ধবিমানের মহড়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত হয়তো চীনকে এই বার্তা দিতে যাচ্ছে যে, তারা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ রাশিয়ায় তৈরি 'সুখোই-৩০ এমকেআই' ও 'মিগ-২৯' বিমানের গতিবিধি দেখা গেছে লাদাখের আকাশে। এছাড়া মালবাহী বিমান 'সি-১৭' ও 'সি-১৩০ জে' এবং রাশিয়ায় তৈরি 'ইউশিন-৭৬' ও 'আন্তোনভ-৩২' প্রতিদিনই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সরঞ্জাম পৌঁছে দিচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। প্রয়োজন হলে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর সেনা মোতায়েনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারবে এসব বিমান। ভারতীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় হামলা হলে সীমান্তসংলগ্ন ছাউনিগুলোর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। তাই তাদের ওপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ধাক্কাটা তাদেরই সামলাতে হবে। এরপরই পেছনে ছাউনি থেকে সহায়তা পাবে তারা। এক উইং কমান্ডার জানিয়েছেন, সব ধরনের প্রতিকূল অবস্থার জন্য ভারতীয় বিমানবাহিনী তৈরি আছে। সব ধরনের প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন তারা। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বিমানবাহিনী। তাই তাদের শতভাগ তৈরি থাকতে হচ্ছে। বিমানবাহিনীর অপর এক কর্মকর্তা বলেন, গালওয়ান উপত্যকায় যদি সংঘর্ষ হয়, তাহলে বিমানবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। একদিকে তারা আক্রমণ করতে পারে, অন্যদিকে সাহায্যও করতে পারে। প্রয়োজনে রসদ ও সেনা সরবরাহ করতে হবে। তাই সব রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হচ্ছে। এদিকে, লাদাখে ভারত-চীন সংঘাত নিয়ে ফের মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, চীনের আগ্রাসী নীতিই লাদাখে উত্তেজনার জন্য দায়ী। ট্রাম্প আরও বলেন, ''লাদাখ সীমান্তে চীন যে 'আগ্রাসী' মনোভাব দেখাচ্ছে, গোটা বিশ্বে সেটাই চীনা কমিউনিস্ট পার্টির 'আসল চেহারা।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে