ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনা কমাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার অনুরোধ করেছে ইসলামাবাদ। মঙ্গলবার অনলাইনে এক বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সোহেইল মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিষয়ক দূতের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড হেলকে এ অনুরোধ করেন। সংবাদসূত্র : ডন, এনডিটিভি
গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মিরের সাংবিধানিক মর্যাদা রদ করার পর থেকে দিলিস্ন ও ইসলামাবাদের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বাড়তে শুরু করে। বৈঠকে পাক পররাষ্ট্র সচিব সোহেইল মাহমুদ বলেন, 'উত্তেজনা বৃদ্ধি রোধ করতে এবং জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসার সুবিধার্থে পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। অবৈধভাবে দখল করে রাখা জম্মু ও কাশ্মিরে ভারতের ধারাবাহিক সেনা অভিযান এবং পাকিস্তানের প্রতি তাদের আগ্রাসী ভঙ্গি শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।'
বৈঠকে পাকিস্তানি এ সচিব জনমিতি বদলে দেওয়ার চেষ্টাসহ ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দিলিস্নর ব্যাপক মানবাধিকার লংঘন এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) ঘিরে ভারতের ধারাবাহিক যুদ্ধবিরতি লংঘনের দিকেও ইঙ্গিত করেছেন।
মঙ্গলবারের বৈঠকে দুই পক্ষ আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেছেন। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে লাভজনক ও দৃঢ় অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নিশ্চিতে পাকিস্তানের আকাঙ্খার কথাও পররাষ্ট্র সচিব ব্যক্ত করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
ইমরান খান ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাওয়া অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যকার বিস্তৃত ও স্থায়ী অংশীদারিত্বই এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, বলেছেন মাহমুদ।
উত্তেজনার মধ্যেই বৈঠকে বসছে ভারত-নেপাল
এদিকে, কালাপানি সীমান্ত বিতর্কের মধ্যেই ৯ মাস পর আবারও বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ভারত ও নেপালের কূটনীতিকরা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামী ১৮ আগস্ট ওই বৈঠক হতে পারে। নেপালের যে সব পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে ভারত সরকার মূলধন বিনিয়োগ করেছে মূলত সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করবেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
সম্প্রতি ভারতের কিছু অংশ যুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে নেপাল। এটি দেশটির পার্লামেন্টে অনুমোদনও পায়। ওই নতুন মানচিত্রে ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার অঞ্চলগুলোকে নেপালি ভূখন্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি দুইদেশের মধ্য উত্তেজনা বেড়েছে। তবে সে উত্তেজনা চলার মধ্যেই বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও নেপাল। বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কাবাত্রাসহ অন্য কর্মকর্তারা এবং আর নেপালের তরফে প্রতিনিধিত্ব করবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব শাঙ্কর দাস বৈরাগী।
ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত নেপালের তরাই অঞ্চলে রেল পথ পাতা, তেলের পাইপ বসানো, পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, পলিটেকনিক কলেজ তৈরিসহ পরিকাঠামো উন্নয়নের একাধিক ক্ষেত্রে ভারত সরকার বিনিয়োগ করেছে। সেই কাজ কতদূর এগুলো তা বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে। নেপালের উন্নয়নের জন্য গত বছর বাজেট ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার।