শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ১৬ জুলাই

জ্জ স্থান ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি জ্জ দুই নেতার সম্মেলনের পর উত্তেজনার অবসান ঘটতে পারে
নতুনধারা
  ২৯ জুন ২০১৮, ০০:০০
ডোনাল্ড ট্রাম্প ভøাদিমির পুতিন

যাযাদি ডেস্ক

আগামী ১৬ জুলাই ফিনল্যান্ডে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এর আগে বুধবার দীঘির্দন ধরে আটকে থাকা দুই নেতার শীষর্ সম্মেলনটি আয়োজনে রাজি হয় মস্কো ও ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর বুধবার ট্রাম্প-পুতিন সম্মেলন বিষয়ে এ ঘোষণা আসে। আর বৃহস্পতিবার জানানো হয়, বৈঠকটি হতে যাচ্ছে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, সিএনএন

মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই বৈঠকে সিরিয়ার যুদ্ধ এবং ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। গত বছরের নভেম্বরে ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনের ফঁাকে দুই নেতার মধ্যে সবের্শষ কথা হয়েছিল।

ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রথম জানান ক্রেমলিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে দুই দেশের জন্য সুবিধাজনক তৃতীয় আরেকটি দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীষর্ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর সুনিদির্ষ্ট তারিখ ও স্থান বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেয়া হবে বলেও বুধবার জানিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সেই ঘোষণাই আসে।

এর আগে বুধবার রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে মাকির্ন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাও জন বোল্টন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে রুশ কতৃর্পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে ও এখানে আসতে বলেছেন আমাকে।’

দুই দেশের মধ্যে সম্পকের্র উন্নয়নে উভয় নেতাই শীষর্ সম্মেলনকে ব্যবহার করতে আগ্রহী বলেও জানিয়েছেন তিনি। বোল্টন বলেন, ‘ট্রাম্প ও পুতিন, দুই প্রেসিডেন্টই তাদের অতি গুরুত্বপূণর্ দেশ দুটির একত্রিত হওয়া, পারস্পরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও সহযোগিতার ক্ষেত্র নিধার্রণের গুরুত্ব অনুধাবন করছেন। তারা দু’জনই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পকের্র উন্নয়ন এবং বিশ্বের স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অবদান রাখার কথা ভাবছেন বলেও মনে হয় আমার।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেন, বোল্টনের সঙ্গে বৈঠক দুই দেশের সম্পকর্ ‘সম্পূণর্ পুনরুদ্ধারে’ আশা জাগিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পকর্ ‘ভালো অবস্থায় নেই’ বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। মস্কো কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থান চায়নি বলেও এ সময় দাবি করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। মাকির্ন রাজনীতির ভেতরকার দ্ব›দ্ব-সংঘাতই দুই দেশের মধ্যে সম্পকের্র অবনতির জন্য দায়ী বলেও মন্তব্য তার।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া আত্মীকরণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পকর্ শীতল হতে শুরু করে। ইউক্রেনের পূবার্ঞ্চলে রুশ উপস্থিতিও দুই দেশের মধ্যে সম্পকর্ অবনতিতে যথেষ্ট ভ‚মিকা রেখেছে। এ ছাড়া সিরিয়া ইস্যুতে দুই দেশের স্পষ্ট মতপাথর্ক্য আছে। পাশাপাশি ২০১৬ সালে মাকির্ন প্রেসিডেন্ট নিবার্চনে কথিত রুশ হস্তক্ষেপ নিয়েও পরিস্থিতি জটিল হয়। যার ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একে অপরের বেশ কয়েকজন ক‚টনীতিককে বহিষ্কার করে। এ ঘটনা দুই দেশের সম্পকের্ক স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে নিয়ে গিয়েছিল। এখন দুই নেতার বৈঠকের পর সেই সব সমস্যার অবসান ঘটতে পারে বলে মনে করছেন পযের্বক্ষকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে