বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনের মৃতদেহ দিল্লিতে

যাযাদি ডেস্ক
  ০২ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে উত্তর দিল্লির বুরারি এলাকার একটি বাড়িতে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১০ জনের দেহ সিলিংয়ের লোহার গ্রিল থেকে ঝুলে থাকা অবস্থায় ও বৃদ্ধ এক নারীর মৃতদেহ মেঝেতে শায়িত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের অধিকাংশেরই চোখ ও হাত-পা পেছন দিকে বঁাধা ছিল। এ ঘটনায় সারা ভারতে তোলপাড় পড়ে গেছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, আইএএনএস

পুলিশের ধারণা, তারা আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে সাতজন নারী, তাদের একজনের বয়স ৭৫ বছর। মৃতদের মধ্যে দুইজন কিশোর বয়সী।

বুরারির সান্ত নগরের দোতলা ওই বাড়িটির ওপর তলায় পরিবারটি বসবাস করতো। নিচের তলায় তাদের মুদির দোকান ও প্লাইউডের ব্যবসা ছিল। গত ২০ বছর ধরে তারা এই এলাকাটিতে বসবাস করতো। দিল্লির মধ্যবিত্ত এলাকার এই পরিবারটি প্রতিদিন সকাল ৬টায় দোকান খুলতো। কিন্তু রোববার সকাল সাড়ে ৭টা পযর্ন্ত দোকান না খোলায় খেঁাজ নেয়ার জন্য এক প্রতিবেশী ওপর তলায় গিয়ে প্রবেশপথ খোলা দেখতে পান। ভেতরে প্রবেশ করে পরিবারটির অধিকাংশ সদস্যকে ফঁাস লাগানো অবস্থায় গ্রিলে ঝুলতে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। তিনি পুলিশকে খবর দেয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে এসে জায়গাটি ঘিরে ফেলে।

ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, মৃতদের সবার চোখ বঁাধা ও মুখ টেপ দিয়ে আটকানো ছিল এবং তারা প্রায় সবাই গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল। তদন্তের প্রাথমিক পযাের্য় ‘ক্লু’র খেঁাজে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।

ওই প্রতিবেশী জানিয়েছেন, বাড়িটিতে ভুপিন্দর ও লালিত সিং নামের দুই ভাই ও তাদের পরিবার বসবাস করতো, তারা খুব বন্ধুসুলভ ছিলেন। তিনি বলেন, তারা আত্মহত্যা করতে পারেন না। গত রাতেও ভুপিন্দরের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে খুব সুখী ছিল এবং তার মধ্যে কোনো মানসিক চাপের লক্ষণ ছিল না।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘটনাস্থল পরিদশর্ন করে ঘটনার বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। দিল্লি বিজেপিপ্রধান মনোজ তিওয়ারিও বুরারি এলাকা পরিদশর্ন করেছেন।

দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পাটির্র (আপ) পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ওই এলাকার প্রতিবেশীদের কেজরিওয়ালের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। তারা কেজরিওয়ালকে জানিয়েছেন, একটি বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে পরিবারটি ব্যস্ত ছিল। ঘটনাস্থলে কোনো সুইসাইড নোট ছিল না বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে