বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
দিল্লির ১১ মৃত্যুর রহস্য

হাতে লেখা ‘নোট’ পেয়ে তদন্তে নতুন মোড়

যাযাদি ডেস্ক
  ০৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

দুটি খাতায় পাওয়া একগুচ্ছ হাতে লেখা নোটের সূত্র ধরে ভারতের দিল্লির বুরারি এলাকার এক পরিবারের ১১ জনের মৃত্যুর তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে। ওই নোটগুলোতে এমন কিছু অতীন্দ্রিয় বিশ্বাসের কথা বলা আছে, যা থেকে এ ঘটনার উদ্দেশ্য সম্পকের্ একটি আভাস জোরালো হচ্ছে বলে মনে করছে পুলিশ। ওই বাড়িতে পাওয়া একটি নোটে লেখা ছিল, ‘মানবদেহ অস্থায়ী। চোখ ও মুখ ঢেকে রাখার মাধ্যমে একজন তার ভয়কে জয় করতে পারে।’ সংবাদসূত্র : এনডিটিভি

পুলিশ প্রথমে ঘটনাটিকে গণআত্মহত্যা বলে মনে করেছিল। কিন্তু লাশগুলো যেভাবে ছিল, তাতে পরে ধারণা হয়, পরিবারের এক সদস্য ১০ জনকে হত্যা করে পরে নিজে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু নোটগুলো দেখার পর তদন্তকারীরা এখন বলছেন, এর পেছনে তারা কোনো ধরনের অতীন্দ্রিয় বিশ্বাসের ইঙ্গিত পাচ্ছেন।

ওই ১১ জনের মধ্যে ১০ জনকে বাড়ির আঙ্গিনায় লোহার গ্রিলের সঙ্গে ফঁাসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ, ছয়জন নারী এবং দুজন কিশোর বয়সী। মৃতদেহগুলোর মুখমÐলে চোখ ও মুখ চারদিক থেকে পেঁচিয়ে ব্যান্ডেজের মতো মোড়ানো ছিল। কয়েকটি মৃতদেহের হাত-পাও বঁাধা ছিল। ওই পরিবারের ৭৭ বছর বয়সী নারায়ণ দেবীকে অন্য একটি ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। শ্বাসরোধে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তদন্তকারীদের ধারণা।

এক পুলিশ কমর্কতার্ বলেন, কোন ব্যক্তি কীভাবে ‘পরিত্রাণ লাভ’ করতে পারে এবং ‘মানবদেহ অস্থায়ী কিন্তু আত্মা সব সময় বেঁচে থাকবে’ এমন সব বিষয় লেখা রয়েছে নোটগুলোতে।

তদন্তকারী এক কমর্কতার্ জানান, ‘নোটগুলো বলছে, যদি ১১ জনের একটি দল ওই অনুশাসনগুলো অনুসরণ করে, তবে সব সমস্যা সহজ হয়ে যাবে এবং পরিত্রাণ লাভ হবে। কিছু নোট কবে লেখা হয়েছে, তার তারিখও দেয়া আছে। ...সবগুলো নোটেই চ‚ড়ান্ত গন্তব্যে পেঁৗছানোর মাধ্যমে শান্তি অজের্নর কথা বলা হয়েছে।’

ওই পরিবারটির সঙ্গে কোনো ধমর্গুরু বা গোপন ধমীর্য় সংগঠনের সম্পকর্ ছিল কি-না তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। পরিবারটি ধমর্ভীরু ছিল এবং কখনোই সন্দেহজনক কোনো কিছু তাদের চোখে পড়েনি বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। শ্বাসরোধের চিহ্নের ভিত্তিতে পুলিশ চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে