ভারতে ২০১৯ সালের লোকসভা নিবার্চনের আগে দেশটির পঁাচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট দিয়ে শুরু হয়ে গেছে ‘সেমিফাইনালের’ লড়াই। উত্তপ্ত রাজনৈতিক আবহে শুক্রবার একই সঙ্গে ছত্তিশগড়ে নিবার্চনী প্রচারে ঝড় তুলেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। পরস্পরকে আক্রমণের কোনো ছাড়ই দিচ্ছে না দুই পক্ষ। একদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুনীির্তর অভিযোগে সরব রাহুল। অন্যদিকে, কংগ্রেস শিবিরের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের ইন্ধন দেয়া এবং আগের দুনীির্তর পাল্টা অভিযোগে সরব মোদি। সংবাদসূত্র : ইনডিয়ান এক্সপ্রেস, ওয়ান ইনডিয়া
টানা ১৫ বছর ধরে ছত্তিশগড়ে শাসনে রয়েছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন রমণ সিং। কিন্তু সরকারবিরোধী আবহে এবার সেই রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখা বিজেপির কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দঁাড়িয়েছে। তাই শুক্রবার মাও-অধ্যুষিত বাস্তার জেলায় এক নিবার্চনী প্রচারণায় যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে এক জনসভায় তিনি কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, দলটি শহুরে মাওবাদীদের সমথর্ন জোগাচ্ছে। এই মাওবাদীরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকে, বিদেশে পড়াশোনা করে। বড় গাড়িতে ঘোরে। আর ছত্তিশগড়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করে। এদের কি কোনো ক্ষমা হতে পারে? তাই কংগ্রেসকে শিক্ষা দেয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, কেন্দ্রে ১০ বছর তারা সরকারে ছিল। তখন ছত্তিশগড়ের দিকে তাকায়নি। উন্নয়নের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই উন্নয়নের কাজ বন্ধ করতে মানুষকে কংগ্রেসের সঙ্গে না যাওয়ার পরামশর্ দিয়েছেন তিনি। মোদির কথায় ‘কংগ্রেস আদিবাসীদের নিয়ে হাসাহাসি করে। মশকরা করে। এটা আদিবাসী সংস্কৃতির অপমান। আমি ছত্তিশগড়ের সমস্যাকে জেনেছি। আমি জানি, আদিবাসী ভাই-বোনদের কষ্টটা কোথায়। কংগ্রেস নেতারা রুপার চামচ হাতে জন্মেছেন। তারা কী করে বুঝবেন আদিবাসীদের মন? কয়েকদিন আগেই এখানে দূরদশের্নর ক্যামেরাম্যান খুন হলেন। মাওবাদীরা সেনা-জওয়ানদেরও এখানে খুন করেছে। অথচ কংগ্রেস এদের বিপ্লবী বলে। এটা কি ধরনের বিপ্লব?’
এদিকে, মোদির কংগ্রেসকে আক্রমণের আগেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। শুক্রবার তিনিও ছত্তিশগড়ের কানকের জেলার পাখানজোরে নিবার্চনী প্রচারে যান। সেখানে গিয়ে একাধিক দুনীির্তর অভিযোগে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল তাকে। কংগ্রেস সভাপতির আক্রমণের তালিকায় ঠঁাই পেয়েছে নীরব মোদি থেকে শুরু করে বিজয় মাল্য, রাফায়েল দুনীির্ত, নোট বাতিলসহ একাধিক ইস্যু।
উল্লেখ্য, ১২ নভেম্বর ১৮টি আসনে ভোট ছত্তিশগড়ে। বাকি ৭২টি আসনে ভোট ২০ নভেম্বর। বিগত বেশ কয়েকটি নিবার্চনে জয় পেয়েছে বিরোধী জোট। বহুজন সমাজ পাটির্র (বিএসপি) প্রভাব সত্তে¡ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়নি। কিন্তু মযার্দার লড়াইয়ে জিততে কোমড় বেঁধে ঝঁাপিয়ে পড়েছে হাত শিবির। পযের্বক্ষকরা বলছেন, সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে।