আজকের যায়যায়দিন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে 'হরিদাস' বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তাকে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী বলতেও ছাড়েননি। কোচবিহারের রাসমেলার মাঠ থেকে গতকাল এই ভাষাতেই মোদিকে আক্রমণ করেছেন তিনি। মমতা বলেছেন, মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারীদের কাছ থেকে তিনি গণতন্ত্র শিখবেন না। সংবাদসূত্র : ওয়ান ইনডিয়া, এবিপি নিউজ

রোববার কোচবিহারের এই রাসমেলার মাঠে জনসভা করে গেছেন নরেন্দ্র মোদি। সোমবার সেখানে পাল্টা সভা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার থেকে তৃণমূলের প্রার্থী পরেশ অধিকারী। তার হয়েই এদিন প্রচারে যান মমতা। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।

মমতা অভিযোগ করেন, সাধারণ মানুষকে জনসভায় আসতে বাধা দেয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন মোদি। জবাবে এ দিন তাকে 'অকৃতজ্ঞ' বলে উলেস্নখ করেন মমতা। তার কথায়, রাজ্য সরকারই মোদিকে জনসভা করার জায়গা করে দিয়েছিল। তারপরও মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন মোদি। তিনি 'অকৃতজ্ঞে'র মতো কথা বলছেন।

তৃণমূল নেত্রী বলেন, গত পাঁচ বছরে মোদি সরকার ভারতের জন্য কিছু করেনি। তাই তার (মমতা) কাছ থেকে জবাব চাওয়া সাজে না বলেও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। মমতা এদিন বলেন, পশ্চিমবঙ্গই পরবর্তী কেন্দ্রীয় সরকার গঠনে উলেস্নখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

ইসরাইলি আগ্রাসন / গাজার রাফাহতে হামলার প্রস্তুতি চলছে

মোদিকে এদিন 'হরিদাস' বলে সম্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে ফ্যাসিবাদী এবং স্বৈরাচারীও বলেন তিনি। 'এনআরসি' (জনগণনা) নিয়ে মোদিকে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করতে দেবো না।' তিনি বলেন, 'চা-ওয়ালা এখন ভাঁওতাবাজ। কারণ বছরে দুই কোটি চাকরির প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছিলেন, যা তিনি করেননি। তাই ভোট কেন, একটা কাঁচা কলাও দেবে না মানুষ। রাজনৈতিকভাবে তোমাকে বিদায় দেবে। তিনি বলেন, বিনাশকালে বুদ্ধি নাশ হয়েছে।

জনতার উদ্দেশে মমতা বলেন, যারা গণতন্ত্রকে স্তব্ধ করতে চায়, তাদের আপনারা স্তব্ধ করে দিন। নোটবন্দির বিরুদ্ধে ভোট দিন, দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে ভোট দিন, শান্তির জন্য ভোট দিন, একতার জন্য ভোট দিন। পশ্চিমবঙ্গের মাটির দিকে যেন তাকাতে না পারে, এমন ভাবে ভোট দিন। কারণ বিজেপি ক্ষমতায় এলে ভারতে স্বাধীনতা বলে আর কিছু থাকবে না।

তার অভিযোগ, পাঁচ বছর ধরে শুধু বিদেশ ঘুরেছেন মোদি। দামি জামা-কাপড় পরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি রাফায়েল যুদ্ধবিমান নিয়ে মুখ খুলছেন না কেন? মানুষকে কৈফিয়ত দিতে হবে।