শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
লোকসভা নির্বাচন-২০১৯

প্রথম দফা ভোটের পর চিন্তা বেড়েছে বিজেপির

ম সব চেয়ে বেশি লোকসান হবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মহারাষ্ট্রে
নতুনধারা
  ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:১৪
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

যাযাদি ডেস্ক লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে ভারতের অনেক প্রান্তে তখনো কেন্দ্রের সামনে দীর্ঘ লাইন। হাতে পুরো হিসাব আসেনি। দিলিস্নতে বিজেপির এক নেতা দাবি করে বসলেন, যে ৯১টি আসনে ভোট হয়েছে, তাতে আরও চারটি আসন বাড়িয়ে নিচ্ছে দল। ২০১৪ সালে বিজেপি এই ৯১টি আসনের মধ্যে জিতেছিল ৩২টিতে। এবার দাবি ৩৬টি। এটি গত শুক্রবারের ঘটনা। এর একদিনের মধ্যেই বিজেপি শিবিরের চিত্রপট অনেক পাল্টে গেছে। সংবাদসূত্র: এনডিটিভি, এবিপি এদিন অনেক রাত পর্যন্ত জেগেছেন নেতারা। যে ২০টি রাজ্যে প্রথম দফার ভোট হয়েছে, সব জায়গা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন তারা। তার ভিত্তিতে এখন আর কোনো আসনের দাবি করছে না দল। কিন্তু গেরুয়া শিবির সূত্র বলছে, প্রাথমিক লক্ষণ আদৌ বিজেপির পক্ষে স্বস্তির নয়। বিজেপির এক নেতা বলেন, 'অধিকাংশ রাজ্যে গত লোকসভার থেকে কম ভোট পড়েছে। গত ভোটে মনমোহন সিং সরকারকে সরিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে ক্ষমতায় আনার একটি তাগিদ ছিল মানুষের মধ্যে। মোদি-ঝড় ছিল গোটা দেশে। কিন্তু এবারে তেমন কোনো ঝড় কোথাও দেখা যাচ্ছে না। মোদিকে পরাস্ত করতে হবে, এমন ভাবনাও নেই। কিন্তু দেশজুড়ে মোদির পক্ষে জোরালো হাওয়া না থাকায় স্থানীয় বিষয়গুলো বড় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় জাত-পাতের অঙ্কও বড় ফ্যাক্টর।' 'বিজেপি ইনসাইডার' বলে একটি টুইটার হ্যান্ডেল রয়েছে, যেটি সাধারণত বিজেপির অন্দরের খবর দেয় বলে সবখানে পরিচিত। শনিবার সকালে এই টুইটার থেকেই একটি টুইট করা হয়। যেখানে দলের সাম্প্রতিকতম অভ্যন্তরীণ জরিপ অনুযায়ী বলা হয়, 'গোটা ভারতে বিজেপি ১৫০-১৬০টি আসনে নেমে আসবে। দলের সব চেয়ে বেশি লোকসান হবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও মহারাষ্ট্রে।' কংগ্রেস ঠিক এই ভবিষ্যৎ বাণীটিই অনেক দিন ধরে করে আসছে। তাদের মতে, গত লোকসভা ভোটে বিজেপির একার জোরে পাওয়া ২৮২টি আসন থেকে এক ধাক্কায় শ' খানেক কমে গেলে এনডিএর শরিকদের নিয়েও সরকার গড়তে পারবেন না নরেন্দ্র মোদি। কোনো মতে সরকার গড়ার মতো পরিস্থিতিতে পৌঁছতে পারলেও মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে না এনডিএ শরিকরাই। তবে কংগ্রেস মনে করছে, বিজেপির সংখ্যা আরও কমবে। আর সরকার গড়বে বিরোধীরা মিলেই। বিজেপি মানছে, প্রথম ধাপের ভোটে মায়াবতী-অখিলেশদের জোট অনেকটাই বাজি মেরেছে। অতীতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মেরুকরণ কাজ করত, এবার সেটিও করছে না। ফলে বিজেপিকেও এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে, মেরুকরনের উগ্রতা আরও বাড়ানোর প্রয়োজন আছে কি না। উলেস্নখ্য, প্রথম দফায় সবমিলিয়ে ৬৯.৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ দফায় ১৮টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯১টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। এসব ৯১ কেন্দ্রে মোট প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এক হাজার ২৭৯ জন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে