শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ভারতের গুজরাটের ঘটনা

স্কুল বন্ধ করতে শিক্ষাথীের্ক ছুরিকাঘাতে খুন!

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ জুন ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২৪ জুন ২০১৮, ২৩:৫৭
মন্দিরের কাছে পাওয়া পরিত্যক্ত স্কুল ব্যাগ

স্কুল বন্ধ হোকÑ এমন চাওয়া থেকে স্কুলের নবম শ্রেণির এক শিক্ষাথীের্ক খুন করেছে দশম ক্লাসে পড়া এক শিক্ষাথীর্। শুক্রবার স্কুলটির ‘ওয়াশরুমে’ ওই শিক্ষাথীের্ক মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়; তার পেটে অন্তত ১০ বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রক্ত হিম করা এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যের ভাদোদারা (সাবেক বারোদা) শহরের একটি স্কুলে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি

পুলিশ এ ঘটনায় ভাদোদারা থেকে ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ‘হোমওয়াকর্’ জমা না দেয়ায় গ্রেপ্তার ছাত্রকে তিরস্কার করা হয়েছিল, এর প্রতিক্রিয়ায় স্কুল বন্ধ করতে ‘জুনিয়র’কে খুন করে সে।

নবম শ্রেণির ওই ছাত্রের লাশ পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল, ওয়াশরুমে দুই শিক্ষাথীর্র মারামারির পরিপ্রেক্ষিতে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। পরে স্কুলের সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফুটেজে তাকে জুনিয়র ওই শিক্ষাথীর্র পাশাপাশি ওয়াশরুমে প্রবেশ করতে দেখা যায়। স্কুলের নিকটবতীর্ একটি মন্দিরের কাছ থেকে পরিত্যক্ত একটি স্কুল ব্যাগও খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। ওই ব্যাগে ধারালো অস্ত্র ও মরিচের গুঁড়া মেশানো পানির বোতল পাওয়া গেছে।

সিনিয়র পুলিশ কমর্কতার্ আরএস বাগোরা জানিয়েছেন, হত্যাকাÐের পর খুনি ব্যাগটি সেখানে ফেলে যায় বলে সন্দেহ পুলিশের। গ্রেপ্তার কিশোর ওই স্কুলটির নতুন ছাত্র ছিল। মাত্র এক সপ্তাহ আগে সে স্কুলটিতে ভতির্ হয়েছিল। ভাদোদারায় সে তার মামার বাড়িতে থাকত। তার বাবা-মা গুজরাটের আনন্দ টাউনে বাস করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত বছর ভারতের রাজধানী দিল্লির নিকটবতীর্ গুরগঁাওয়েও একই ধরনের একটি হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটেছিল। সেপ্টেম্বরে ওই এলাকার একটি স্কুলের ওয়াশরুমের বাইরে গলাকাটা অবস্থায় এক শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় এক সিনিয়র শিক্ষাথীের্ক গ্রেপ্তার করে পুলিশ, যে স্কুল বন্ধ করতে ও পরীক্ষা স্থগিত করতে সাত বছর বয়সী ওই শিশুটিকে গলা কেটে হত্যা করেছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে