যাযাদি ডেস্ক
সুপ্রিম কোর্টের আদেশে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাতে তার গ্রেপ্তারির ওপর শুক্রবার অন্তর্র্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশটির শীর্ষ আদালত। আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত এই 'রক্ষা কবচ' পেলেন তিনি। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, এবিপি নিউজ, ওয়ান ইনডিয়া
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবারই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এর আগে 'আইএনএক্স মিডিয়া' মামলায় গত মঙ্গলবার দিলিস্ন হাইকোর্ট চিদাম্বরমের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করে দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ওই দিনই সাবেক এই অর্থমন্ত্রীর হয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংঘভির মতো কংগ্রেস শিবিরের আইনজীবীরা।
কিন্তু মঙ্গলবার শুনানি হয়নি। বুধবার শুনানির জন্য মামলাটি বিচারপতি এনভি রমানার এজলাসে ওঠে। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়েই মামলা পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের কাছে। শুনানির দিন ধার্য হয় শুক্রবার। সেই শুনানিতেই ইডির হাতে চিদাম্বরমের গ্রেপ্তারিতে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি আর ভানুমতি এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চ।
আইনজীবী মহলের ব্যাখ্যা, 'আইএনএক্স মিডিয়া' মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হলেও ওই মামলার তদন্ত করছে ইডি। ফলে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া থেকে 'রক্ষাকবচ' পাওয়ার লড়াই চালিয়ে গেছেন চিদাম্বরম। সেই লড়াইয়ে আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন বরেণ্য এই রাজনীতিক।
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারিতে রক্ষার আবেদনে এদিন আর কোনো ভিত্তি না থাকলেও ইডি যাতে চিদাম্বরমকে গ্রেপ্তার করতে না পারে, সে জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করেন তার আইনজীবীরা। ইডির হয়ে আদালতে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এরপর ইডির হাতে চিদাম্বরমের গ্রেপ্তারিতে অন্তর্র্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় দেশটির শীর্ষ আদালত। সোমবার ফের এই মামলার শুনানি।
চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি রুপির তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি। বিনিময়ে তার ছেলে কার্তিক চিদাম্বরমের সংস্থাকে বড় অঙ্কের ঘুষ দেয় 'আইএনএক্স মিডিয়া'।
চিদাম্বরমের পর নিশানায়
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব!
এদিকে, চিদাম্বরমের গ্রেপ্তার পদ্ধতি মেনে হয়নি কিংবা যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাতে রাজনীতির একটা ছাপ স্পষ্ট ছিল বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। যদিও ভারতের সর্বপ্রাচীন দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই বর্তমানে আইনি বেড়াজালে রয়েছেন এবং এই মুহূর্তে জামিনে রয়েছেন। তারাই এখন বিজেপি সরকারের নিশানায় রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের যারা জামিনে রয়েছেন তাদের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। তবে তালিকার শুরুতেই রয়েছে সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নাম। এরপরই রাহুল গান্ধী। তালিকায় রয়েছেন কেরালার এমপি শশী থারুর। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জামিনে রয়েছেন সোনিয়া ও রাহুল।