বিরামহীন বৃষ্টি থেকে এখনো মুক্তি মেলেনি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি কমে আসবে বলে আশা করছে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে স্বস্তি ফিরছে প্রশাসনে। তাই চ‚ড়ান্ত সতকর্বাতার্ ‘রেড অ্যালাটর্’ তুলে নিয়ে কম পযাের্য়র সতকর্তা জারি করা হয়েছে। কিছু এলাকায় ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে যানবাহন চলাচলও। আর আজ থেকে কোচি নৌঘঁাটি থেকে শুরু হচ্ছে বিমান চলাচল। সব মিলিয়ে শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ দুযোের্গর মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখছে। সংবাদসূত্র : পিটিআই, এনডিটিভি, এবিপি নিউজ
শতাব্দীর ভয়বাহ বন্যা ও ভ‚মিধসে বিপযর্স্ত গোটা রাজ্য। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখন পযর্ন্ত ৩৬৮ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। গৃহহীন প্রায় ছয় লাখ মানুষ। চলছে উদ্ধারকাজ। রোববার সকাল পযর্ন্ত প্রায় ৫৮ হাজার মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সপ্তাহখানেক ধরেই কেরালায় শুরু হয়েছে অঝোর বৃষ্টি। এর মধ্যে হঠাৎ করে ইদুক্কি বঁাধ থেকে পানি ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয় কেরালায়। ভেসে যায় বিস্তীণর্ এলাকা। বিপুলপরিমাণ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এখনো বহু এলাকায় বাড়ির ছাদে, উঁচু জায়গায় বহু মানুষ আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন। তাদের কোথাও হেলিকপ্টারে, কোথাও বা স্পিড বোটে উদ্ধার করা হচ্ছে। কাজ করছে সেনার তিন বাহিনী। অনেক জায়গাতেই এমন অবস্থা যে, সেখানে নৌকা বা হেলিকপ্টার কোনো কিছু নিয়েই পেঁৗছানো যাচ্ছে না। ফলে তাদের যেমন উদ্ধার করা অসম্ভব হয়ে দঁাড়িয়েছে। তেমনই খাবার-পানীয় জলও পেঁৗছনো যাচ্ছে না। তবে এ রকম অনেক জায়গাতেই নৌ-সেনাদের সঁাতরে দুগর্তদের উদ্ধার করে আনতে দেখা গেছে।
রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে জে আলফোন্স জানিয়েছেন, প্রায় ১০ লাখ ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দুযোর্গ কাটিয়ে ওঠা গেছে, এখনই এমনটা বলা যাবে না।’ শনিবারই মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছিলেন, রাতারাতি ত্রাণশিবির যেমন বাড়ছে, তেমনই ত্রাণশিবিরে বাড়ছে দুগের্তর সংখ্যাও। তিনি জানিয়েছিলেন, অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উদ্ধার ও ত্রাণ কাযর্ক্রমে ৬৭টি হেলিকপ্টার, ২৪টি বিমান, ৫৪৮টি স্পিড বোট কাজ করছে। ভারতের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং উপক‚লরক্ষী বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য বন্যা উপদ্রæত এলাকাগুলোর উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে।