শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
মাকির্ন-তুকির্ দ্ব›দ্ব

ফঁাদে আটকে গেছেন ট্রাম্প

যাযাদি ডেস্ক
  ২১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সাবেক মাকির্ন প্রেসিডেন্ট জজর্ ডাবিøউ বুশ যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা নীতির অন্যতম প্রবক্তা। তিনি বলেছিলেন, ুড়ঁ ধৎব বরঃযবৎ রিঃয ঁং ড়ৎ ধমধরহংঃ ঁং. অথার্ৎ, ‘হয় আপনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন, নয়তো বিপক্ষে।’ সেই ২০০০ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্র নানা কৌশলে প্রেসিডেন্ট বুশের এই ‘একলা চলো’ নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছে।

চলমান তুকির্-মাকির্ন সংকট যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক একতরফা দৃষ্টিভঙ্গিরই ফল। তুরস্কের দুইজন মন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং দেশটির অ্যালুমিনিয়াম ও ইস্পাত পণ্যের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ দুই দেশের সম্পকর্ তলানিতে নামিয়েছে। অবস্থার উন্নতির পরিবতের্ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বিবৃতি ও টুইটার পোস্ট পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের ঊধ্বর্তন ব্যক্তি, যারা বিবৃতি দিয়েছেন, তারা বুঝতে পারছেন না; কৌশলগত মিত্র তুরস্কের সঙ্গে সম্পকের্র ক্ষেত্রে এসবের দীঘের্ময়াদী প্রভাব কী হতে পারে। তাদের এই পদক্ষেপ হতাশাজনক এবং এমন কৌশল গ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো জোট থেকে দূরে ঠেলে দেবে। অথচ সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধ ও আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যুতে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা পররাষ্ট্রনীতি অন্যান্য মিত্রদেশকেও হতাশ করছে।

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সিরিয়ায় হামলা যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা মানসিকতার কারণেই সম্ভব হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জজর্ ডাবিøউ বুশ একলা চলো নীতিতেই কাজ করতেন। অতীতেও দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে সবসময় ভিন্নমত পোষণ করেছে। এসব কারণে গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র দ্রæত বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। দেশটি মিত্রদের নিষ্ঠুরভাবে উপেক্ষা করে চলেছে। এমনকি মাকির্ন কিছু নেতা মিত্রদের অপমান ও অবজ্ঞা পযর্ন্ত করছেন।

মিত্রদেশ তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তা বুঝতে ব্যথর্ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এতে দেশটির সঙ্গে মাকির্ন প্রশাসনের বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়ার মতো হয়নি। কারণ দুই দেশের মধ্যে সম্পকর্ অত্যন্ত গভীর। তুকির্ ও মাকির্ন বন্ধুত্ব ভেঙে যাওয়া নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। কিছু হতাশ বিশ্লেষক ন্যাটো কাঠামোর প্রতিও ইঙ্গিত করছেন। যারা এই দুই দেশের সম্পকর্ নিয়ে লিখছেন, তাদের উদ্দেশ্যও হচ্ছে তুকির্র ন্যাটো সদস্যপদ। বিদ্যমান সংকট সত্তে¡ও তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটোর অন্তভুর্ক্ত থাকা তাদেরকে দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ রাখবে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দেশ ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের জোরে বতর্মান অস্বস্তিকর পরিবেশ কাটিয়ে উঠবে।

গত কয়েক বছর পিকেকে এবং ওয়াইপিজেকে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করায় আঙ্কারা বিরক্ত হয়েছে। এছাড়া ২০১৬ সালের সেনা অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ককে সহযোগিতা করতে ব্যথর্ হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এখনো অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িতদের তার দেশে আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে বলে আঙ্কারার অভিযোগ। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কের ওপর মাকির্ন অবরোধ আরোপ আর কোনো মিত্র দেশের ক্ষেত্রে ইতিহাসে ঘটেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের দীঘর্ দিন ‘একলা চলো’ নীতির কারণে দেশটি বহু মিত্র হারিয়েছে। এমনকি অনেক শক্তিশালী দেশের সঙ্গে তাদের শত্রæতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রকে পুনরায় শক্তিশালী রাষ্ট্র (গধশব অসবৎরপধ এৎবধঃ অমধরহ) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রæতি দিয়ে। কিন্তু তিনিও সেই একই নীতি অনুসরণ করায় তা এখনো হয়ে ওঠেনি। সংবাদসূত্র : অ্যারাবিয়ান জানার্ল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<8771 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1