শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
চীনে বিস্তার রোধ

সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৯২ শতাংশের বেশি মানুষ

অবরুদ্ধ দশা প্রত্যাহারের পর হুবেইয়ে সংঘর্ষ
যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ মার্চ ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ২৯ মার্চ ২০২০, ১১:০৩
সাংহাইয়ে ট্রেনের জন্য স্টেশনে মানুষ

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। গত কয়েক মাস ধরে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের সঙ্গে রীতিমত যুদ্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে চীন। দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতু্যর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, নতুন করে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃতু্যর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কম। এ পর্যন্ত চীনে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯২ শতাংশের বেশি মানুষ। সংবাদসূত্র : সিনহুয়া, রয়টার্স হুবেই প্রদেশে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে পৌঁছেছে। কিন্তু চীনে এখন নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করেছে বিদেশফেরত নাগরিকরা। দ্বিতীয় দফায় নতুন করে বিদেশফেরত নাগরিকরাই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে এই বিদেশফেরত নাগরিকদের মাধ্যমেই দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় মহামারি শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে কারণে করোনার সংক্রমণ পুরোপুরি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিদেশিদের প্রবেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে চীন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৯৪। এছাড়া মারা গেছে তিন হাজার ২৯৫ জন। অপরদিকে, এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৪ হাজার ৯৭১ জন। এটাকে ইতিবাচক হিসেবেই ধরা হচ্ছে। অর্থাৎ, এই হিসাবে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মধ্যে অধিকাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। অবরুদ্ধদশা প্রত্যাহারের পর হুবেইয়ে সংঘর্ষ এদিকে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র চীনের হুবেই প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবরুদ্ধদশা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে দেশটির সরকারের নেয়া নজিরবিহীন ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর উদ্যোগ নেয়ার সময় শুক্রবার এই সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার সকালের দিকে হুবেইয়ের সঙ্গে জিয়াংজি প্রদেশের মধ্যে সংযোগকারী একটি সেতু চালু করার সময় স্থানীয়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। জিয়াংজিতে মানুষকে প্রবেশ করতে দেয়া হলে সেটি কিসের ভিত্তিতে দেয়া হবে; এ নিয়ে দুই প্রদেশের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে মাইক হাতে ঘটনাস্থলে দেখা যায় হুবেই প্রদেশের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কর্মকর্তা ম্যা ইয়ানঝুকে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, সকালের দিকে সংঘর্ষ হওয়ার পর শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে সেতুটি পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেন তিনি। এদিকে, শনিবার উভয় প্রদেশের সরকার একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, দুই প্রদেশের মাঝে সংযোগস্থাপনকারী সেতুটির প্রবেশমুখের তলস্নাশি চৌকি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। দীর্ঘদিনের 'লকডাউন' দশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর চলাচলে নতুন বিধিনিষেধের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে হুবেইয়ের বাসিন্দারা। করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ হয়ে যাওয়ার পর এখন হুবেইয়ের বাসিন্দারা সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের শিকার হতে পারে, এমন শঙ্কা থেকে জিয়াংজির প্রবেশমুখের তলস্নাশি চৌকি প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করে তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে