করোনাভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে চলমান লকডাউন নির্দেশনা অমান্য করায় পদ হারালেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডেভিড ক্লার্ক। তবে একেবারে বরখাস্ত নয়, পরিস্থিতি বিবেচনায় তার পদাবনতি করিয়েছেন দেশটির
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
ক্লার্ক স্বীকার করেছেন, নির্দেশনা অমান্য করে তিনি সম্প্রতি মাউন্টেইন বাইকিংয়ে (পাহাড়ে মোটরসাইকেল চালনা) গিয়েছিলেন। এছাড়া পরিবার নিয়ে সমুদ্রসৈকতে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরেও বেড়িয়েছেন। এ ঘটনায় ভুল স্বীকার করে নিজেকে 'ইডিয়ট' (নির্বোধ) বলে মন্তব্য করেছেন নিউজিল্যান্ডের এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব শুধু নিয়ম মেনে চলা না, অন্যদের সামনে দৃষ্টান্ত হিসেবে নিজের ভাবমূর্তিও তৈরি করা। এই সংকটের সময় আমি নির্বোধের মতো কাজ করেছি। আমি বুঝতে পারছি কেন মানুষ আমার ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছে।'
জেসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছেন, সাধারণ সময় হলে এমন কাজের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতেন তিনি। তবে এখন সেটি করলে দেশের করোনা মহামারি মোকাবিলায় নেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে কিছুটা লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ক্লার্ক এখন থেকে সহযোগী অর্থমন্ত্রীর
দায়িত্ব পালন করবেন।
ডেভিড ক্লার্কের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরডার্ন বলেন, 'তার কাছ থেকে আমি আরও ভালো আশা করেছিলাম, তেমনি গোটা নিউজিল্যান্ডও আশা করেছিল।'
লকডাউন নির্দেশনা অমান্য করায় শীর্ষ নেতা-কর্মকর্তার শাস্তি পাওয়ার ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। কিছু দিন আগেই স্কটল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা ক্যাথরিন ক্যাল্ডারউড পদত্যাগ করেছেন। কারণ, লকডাউন চলাকালে এডিনবার্গ থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে নিজের দ্বিতীয় বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। উলেস্নখ্য, গত ২৫ মার্চ থেকে নিউজিল্যান্ডে লকডাউন চলছে। সংবাদসূত্র : বস্নুমবার্গ