শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাতির ক্রান্তিকালে ভরসা দেয় যে নেতৃত্ব

জননেত্রী শেখ হাসিনা বারবার একটি কথা বলেন, আমরা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি, তাই কোনো বিজয়ী জাতি কখনো মাথা নত করে না, হারতে পারে না। এই একটি মন্ত্রই শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র। একুশ শতকে এই মূলমন্ত্রই তাকে বিশ্বনেতা বানিয়েছে। করোনা জয় করে শেখ হাসিনা আরও একবার সেই সাফল্যের ধারা বৈশ্বিক অঙ্গনে সমুন্নত রাখবেন- এ বিশ্বাস আমার মতো আরও বহু কোটি মানুষের। মহান আলস্নাহ আমাদের সহায় হোন, এই মহামারি করোনার তান্ডবলীলা থেকে আমাদের ও বিশ্ববাসীকে রক্ষা করবেন। মানবতার জয় হোক।
Aa¨vcK W. †gv. kvwnbyi ingvb
  ০১ জুন ২০২০, ০০:০০

ঐন্দ্রজালিক কোনো ব্যাপার নয়। নয় অতি বিস্ময়ের কিছু। তিনি এমনই। তার নেতৃত্বের এটিই যেন খুব সাধারণ বৈশিষ্ট্য। বিপর্যয়ে বিজলী চমকানো নেতৃত্বের অধিকারী তিনি। জাতির ক্রান্তিকালেই ভরসার কান্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ মুহূর্তেই তাকে বিশেষভাবে চেনার সুযোগ পায় এদেশের মানুষ। সতের কোটি মানুষের চৌত্রিশ কোটি চোখ তাকিয়ে দেখে কতটা নির্ভীক তিনি। তিনি আশার বাতিঘরও। সব দুর্যোগেই স্পষ্ট হয়েছে তার গৃহীত একেকটি পদক্ষেপ কতটা দৃঢ়। বিরূপ পরিস্থিতিতে লাখো কোটি মানুষকে আশ্বস্ত করে, অভয় দিয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে তুলনা করতে গেলে এই মুহূর্তে দেশে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। অবশ্য বহু আগে থেকেই বিশ্ব গণমাধ্যম এমন বিশ্লেষণ করছে। বিভিন্ন রেটিং এজেন্সিতে তাই বলতে দেখা গেছে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতি সব সময় সহজ-সরল পথে চলেছে এমনটা বোধ করি কোনো গবেষকই জোর গলায় বলতে পারবেন না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশকে পুরনো পাকিস্তানের ধারায় চালিয়েছে সামরিক শাসকরা। জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে একটি পাকিস্তানি আদর্শের রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চেয়েছিলেন। আশির দশকের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ও রাজনীতির উত্তরাধিকার শেখ হাসিনাকে সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দলের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েই জেনারেল জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। অর্থাৎ দুর্যোগের মধ্য দিয়েই জাতির হাল ধরতে আবির্ভূত হওয়াটাই স্বাভাবিক ঘটনা তার জন্য। গ্রেনেডের মুখ থেকে জীবন নিয়ে ফেরা এক বহ্নিশিখার নাম- শেখ হাসিনা। তার জীবন বাংলার মেহনতি দুঃখী মানুষের কল্যাণে উৎসর্গ করেছেন। মানুষের কল্যাণই তার রাজনীতির দর্শন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে যেমন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি উদার গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশেরও প্রতিরূপ তিনি। শেখ হাসিনার রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো 'জনগণের জীবনমান উন্নত করা।' ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ক্লক বলছে, সারা দুনিয়ার প্রায় পৌনে ৮০০ কোটি মানুষ এখন যুদ্ধপরিস্থিতিতে। যেখানে বাঁচা-মরা নিয়ে সংশয় সবার। এটি এমন একটি যুদ্ধ যে সর্বাধুনিক সমর শক্তির দেশ যাদের মাতব্বরিতে গোটা বিশ্বের সমাজব্যবস্থা তছনছ হয়েছে, যারা শত হাজার পারমাণবিক বোমা, ফাইটার জেট, সাবমেরিন, বিভিন্ন রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্রের মালিক তারাও যারপরনাই অসহায় এক অদৃশ্য জীবাণু দানবের কাছে। চারদিকে কেবল লাশের মিছিল। তাদের সব শক্তি-ই আজ অকেজো। ওয়ার্ল্ডো মিটারের তথ্য অনুযায়ী করোনা মহামারিতে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর শক্তিশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই প্রাণ গেছে সবচেয়ে বেশি মানুষের। আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। এরপর স্পেনে করোনা আক্রান্ত ও মৃত মানুষের মিছিল। এর পরপরই ইটালিতে। একইভাবে ফ্রান্সে, জার্মানিতে, এমনকি রাশিয়াতেও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। বিশ্বের প্রায় সব দেশ এবং এলাকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস কাউকেই যেন ছাড় দিচ্ছে না। বৈশ্বিক বিভিন্ন প্রজেকশনে বলা হচ্ছে আফগানিস্তান এবং সিরিয়ার মতো দেশগুলোতে যদি সহযোগিতার হাত না বাড়ানো হয় তবে ১০০ কোটি মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়তে পারে। শুভ সংবাদ এই যে, দীর্ঘ ২-৩ মাস ধরে সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস তান্ডবলীলা চালানোর পর এখন কিছুটা এর সংক্রমনশক্তি হ্রাস পেয়েছে। এই মুহূর্তে অনেক দেশ লকডাউন তুলে নিয়েছে, জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য একটা স্বস্তিদায়ক সুসংবাদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামি-দামি গবেষক ও বিজ্ঞানীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন করোনার প্রতিষেধক টিকা বা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য। কিন্তু তাদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে সফল না হলেও বর্তমানে গবেষণা যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে মনে হয় কিছু দিনের মধ্যেই এ প্রতিষেধক ওষুধ ও টিকা আবিষ্কার হবে। এই রোগের তেমন কোনো চিকিৎসাব্যবস্থা না থাকায় লাগাম টানতে কেবল ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে কয়েক দফায় মানব শরীরে পরীক্ষা চালানো হয়েছে। অবশ্যই সমাজ বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন এই টিকা আবিষ্কারের আগেই প্রকৃতিগতভাবেই করোনার সংক্রমণ হার দুর্বল হয়ে যেতে পারে। গেল ৮ মার্চ থেকে আমাদের দেশে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে। সেই থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আজ পর্যন্ত আমাদের দেশে মৃতু্যর সংখ্যা ও সংক্রমণের খবর জানাচ্ছে রোগতত্ত্ব, রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে সংক্রমণের পর থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাপী যখন ভয়ানক রূপ নিতে শুরু করে করোনাভাইরাস, তখনই চালকের আসনের নিয়ন্ত্রণ নেন বিশ্বের এক দুর্যোগপ্রবণ দেশের অন্যতম দক্ষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপক-প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিলেন, লকডাউনের সিদ্ধান্ত, কেবল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খোলা রেখে সরকারি সব অফিস-আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা, স্কুল-কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি, গার্মেন্ট বন্ধ, নিম্নআয়ের মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান, সামাজিক দূরত্ব কার্যকর করতে বেসামরিক প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাসদস্য মোতায়েন, গরিব, 'দিন এনে দিন খাওয়া' মানুষের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে ত্রাণ সহায়তা জোরদার, করোনা শনাক্তে পরীক্ষা জোরদার, হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন, দুর্যোগে প্রথম সারির যোদ্ধা চিকিৎসক ও নার্সদের অনুপ্রেরণা জোগানো- এসব কাজই তিনি করে যাচ্ছেন- একা। অবশ্যই তার টিম আছে। একা বলছি এই অর্থে যে, যুদ্ধে প্রধান সেনাপতির ভূমিকাই মুখ্য হয়ে থাকে। এটাই নিয়ম। এর আগে প্রধানমন্ত্রী দুই দফায় ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেন উৎপাদনমুখী শিল্পের জন্য। পরে বোধ করি, তা এক লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি করোনা বাজেটে রূপ নেয়। অন্যরা যখন স্বেচ্ছায় নিভৃতবাসে তখন নিজের কার্যালয় খোলা রেখেছেন, করোনা মোকাবিলার কর্মযজ্ঞ নিজে হাতে সমন্বয় করে চলেছেন নির্ঘুম শেখ হাসিনা। অনেকটা নিয়মিতভাবেই সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দেশনা দিতে দেখে আশ্বস্ত হয়েছে দেশের মানুষ। ভিডিও কনফারেন্স চলে এশীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোভিড মোকাবিলা করে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষকে সুরক্ষিত রাখায় প্রত্যয়ে কৌশল নির্ধারণেও। বাংলাদেশের পরম সৌভাগ্য যে, এদেশের মানুষ শেখ হাসিনার মতো ভিশনারি, কর্মঠ ও নিরেট সৎ এমন বিরল নেতা পেয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের বা উন্নয়নশীল দেশে একজন শেখ হাসিনার মতো নেতা কীভাবে দেশের কান্ডারির ভূমিকায় আসতে পারে, তা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব না দেখলে হয়তো কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবে না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এক হয়ে ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, ফিলিস্তিন, ভিয়েতনামে কতশত মানুষ মেরেছে তার কোনো হদিশ নেই। সেই পরাক্রমশালীরা ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে করোনা মোকাবিলায়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন। ভাগ্যক্রমে এ যাত্রায় বেঁচে ফিরেছেন তিনি। খবরে জানলাম, ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের রাস্তায় নাকি লাশ আর লাশ পড়ে আছে। চীনে দিনের পর দিন জ্বলেছে ক্রিমেশন সেন্টারগুলো। কেবল মৃতদেহ পোড়াতে। আসলে কী হয়েছে তা কেবল সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। তবে চীনের আকাশ তেমন প্রমাণই দিয়েছে বলে স্যাটেলাইটের তথ্যে ভর করে গণমাধ্যম এসব খবর দিয়েছে। এদেশে বলশালী পুঁজিপতিরা দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার পাহাড় গড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম বানিয়েছেন; শ্রমিকের পাওনা দিচ্ছেন না; ত্রাণের চাল চুরি করছে তথাকথিত জনপ্রতিনিধিরা- এমন সব খবরে যখন কান ভারী, তখনই মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসার খবর এলো। ফোর্বসের নিবন্ধে লেখা হয়েছে, 'শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৬ কোটি ১০ লাখের মতো মানুষের দেশ বাংলাদেশ সমস্যা-সংকটের সঙ্গে অপরিচিত নয়। তিনি এই সংকট মোকাবিলায় দ্রম্নত সাড়া দিয়েছেন, যাকে 'প্রশংসনীয়' বলছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম।' ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র মানুষের কাছে প্রতিজনকে ঈদের আগে নগদ আড়াই হাজার টাকা নিজ তত্ত্বাবধানে পৌঁছে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এই সহযোগিতা চলমান রাখবেন। করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করে বলা হয়, দেশের সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফেব্রম্নয়ারির প্রথম দিকে চীন থেকে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। মার্চের শুরুর দিকে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেন এবং জরুরি নয় এমন ব্যবসা-বাণিজ্য অনলাইনে পরিচালনার নির্দেশ দেন। এরপর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং ডিভাইস বসান, যাতে কেউ করোনাভাইরাসের উপসর্গ বহন করছে কিনা, তা বোঝা যায়। প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মানুষের স্ক্রিনিং হয়, যাদের ৩৭ হাজার ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। এগুলো এমন উদ্যোগ যা যুক্তরাজ্য এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার প্রশাসন সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তা কেবল মুক্তিযুদ্ধকালীন জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং তার নেতৃত্বাধীন মুজিবনগর সরকারের সঙ্গেই তুলনা করা যেতে পারে। তার কাছে এদেশের মানুষ কৃতজ্ঞ এজন্য যে এই মহাবিপর্যয়ের মধ্যেও তিনি সাহসের সঙ্গে করোনা মহামারি মোকাবিলা করছেন, কেননা ভয় তাকে মানায় না, এটি তিনিও জানেন। একই সঙ্গে সমৃদ্ধ অর্থনীতির চাকা যেভাবে তিনি এগিয়ে নিচ্ছিলেন, মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন সাধারণ করছিলেন, করোনা মহামারি যাতে সেই গতি রোধ করতে না পারে, সে জন্য আগাম ব্যবস্থাও নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য করোনার ধ্বংসযজ্ঞ ব্যাপক ও সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলবে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে। করোনার ক্ষয়ক্ষতি পুশিয়ে নিতে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। কেননা করোনার কারণে আমাদের উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে শেখ হাসিনা সফল হয়েছে বলা যায়। আজ সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। কৃষিনির্ভর ও কৃষিপ্রধান দেশ থেকে আমরা শিল্পোন্নত দেশে দ্রম্নত ধাবিত হচ্ছি। এটা একটা ভালো লক্ষণ বলা যেতে পারে। আমরা ইতিমধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করেছে। করোনার প্রচন্ড তান্ডবলীলায় উন্নয়নের গতি বাধাগ্রস্ত হলেও আমরা অচিরেই সেই ক্ষতি পুশিয়ে নিতে পারব। চলছে মহাপরিকল্পনা ও তার সঠিক বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। আমরা কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্য ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, বিদু্যৎ ও জ্বালানি প্রভৃতি খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। বিদু্যতের দাবিতে গুলি খেয়ে মরা মানুষের ঘরে বিদু্যৎ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন প্রত্যাহার করার পরও পদ্মা সেতু বানিয়ে ছেড়েছেন তিনি। বিশ্ববাসীকে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ পারে। শুধু আন্তরিকতা বা সততাই শেখ হাসিনার শক্তি নয়। তিনি বিশ্বাস করেন আমরা পারি, বাঙালিরা পারে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বারবার একটি কথা বলেন, আমরা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছি, তাই কোনো বিজয়ী জাতি কখনো মাথা নত করে না, হারতে পারে না। এই একটি মন্ত্রই শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র। একুশ শতকে এই মূলমন্ত্রই তাকে বিশ্বনেতা বানিয়েছে। করোনা জয় করে শেখ হাসিনা আরও একবার সেই সাফল্যের ধারা বৈশ্বিক অঙ্গনে সমুন্নত রাখবেন- এ বিশ্বাস আমার মতো আরও বহু কোটি মানুষের। মহান আলস্নাহ আমাদের সহায় হোন, এই মহামারি করোনার তান্ডবলীলা থেকে আমাদের ও বিশ্ববাসীকে রক্ষা করবেন। মানবতার জয় হোক। অধ্যাপক ড. মো. শাহিনুর রহমান : শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতিকর্মী ও গবেষক, উপ-উপাচার্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ঢ়ৎড়ভ.ংযধযববহ@মসধরষ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে