বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সজীব ওয়াজেদ জয় : ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার

ড. মিল্টন বিশ্বাস
  ২৭ জুলাই ২০২০, ০০:০০

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে মহামারি ও লকডাউনে যখন বিশ্বজুড়ে অনলাইন যোগাযোগ একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে তখন এদেশের কৃতী সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয়কে বেশি করে মনে পড়ছে। আজ ২৭ জুলাই ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৪৯তম জন্মদিন। তিনি বাংলাদেশের সমান বয়সি। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা জয় ভারত থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক-প্রশাসনে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তিনি ২৫০ জন তরুণ বিশ্ব নেতার মধ্যে একজন হিসেবে সম্মানিত হন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক  উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি অনেক আগে থেকেই রাজনীতিসচেতন। ২০০৮ সালের জুন মাসে শেখ হাসিনাকে সামরিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ হাসিনা আর তার সফল রূপকার হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

জয়ের ভেতর রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো প্রচন্ডতা। রয়েছে পরিশ্রমী ও তারুণ্যের প্রাণময়তা। এজন্য আমেরিকা থেকে তার ফিরে আসা, রাজনীতিতে যোগ দেওয়া আমাদের জন্য শুভ সূচনা। দেশের মধ্যে যারা একসময় দুর্নীতি ও নাশকতার পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তাদের মসনদ কেঁপে উঠেছে তার দেশ কল্যাণমূলক কর্মকান্ডের ফলে। তিনি মূলত বঙ্গবন্ধুর মতোই মানুষকে আশাবাদী করে জাগিয়ে তোলার জন্য কথা বলেন ও কাজ করেন। একসময় তার মতো বয়সে বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষকে জাগিয়েছিলেন; জয়ও তেমনি সরকারের সঙ্গে থেকে দেশের সামগ্রিক সমস্যার সমাধান করে আওয়ামী লীগকেও গড়ে তুলতে চান। তার ভেতর থেকে বঙ্গবন্ধুর মতোই সম্মোহনী চেতনা স্ফুরিত হয়। তিনি ২০০৯ সাল থেকে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত অভিজ্ঞতা দিয়ে এ দেশের আইসিটি সেক্টরকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গেছেন। তরুণদের উজ্জীবিত করছেন মৌলিক গবেষণায়। বিএনপি-জামায়াতের গাত্রদাহের কারণ এজন্য যে জয় উচ্চশিক্ষিত এবং যে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তার পুরোভাগে তিনি আছেন। শেখ হাসিনা যেমন নির্লোভ মানুষকে ভালোবাসেন নিজের অন্তর থেকে জয়ও তেমনিভাবে এগিয়ে চলেছেন। বিরুদ্ধ মানুষের মন জয় করতে হয়েছে তাকে। এজন্য তার সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কাজ করেছে। সাধারণ মানুষকে শেখ হাসিনা সরকারের কর্মসূচি, সাফল্য বর্ণনা করতে হয়েছে ডিজিটাল প্রচারণার মধ্যদিয়ে। অনেকে ভাবতে পারেন তিনি আমেরিকান সিটিজেন। এটা মনে করার কোনো কারণ নেই যে শেখ হাসিনাও যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাবেন। যেহেতু জয়ের মা নিজে এই মাটি, মানুষের নিকটজন সেহেতু তিনিও তারই ধারাবাহিকতায় মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় ভিশনারি লিডার। তিনি ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে ২০০৯ সালে দেখতে পেয়েছিলেন বলেই আজ দেশে ১০ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। শিক্ষা খাতে তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ বেড়েছে। বিশেষত করোনা মহামারিতে সব প্রতিষ্ঠান এখন প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। পাঠসূচিতে যেমন শিশুরা আইসিটি অধ্যয়ন করছে তেমনি তৈরি হয়েছে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার। এমনকি দেশের বিপিও খাতে বর্তমানে ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করা হচ্ছে। ৫০ হাজারের বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সাড়ে ছয় লাখ মানুষ এই মুহূর্তে আইসিটি সেক্টরে চাকরি করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ লাখ মানুষের কাজ করার সুযোগ হবে এই খাতে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী। গত একযুগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন এগিয়ে গেছে তেমনি তার পুত্রের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে এ দেশ প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠেছে।

অতীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জয় বলেছেন, ভবিষ্যতের নেতা এ দেশের তরুণরাই। উলেস্নখ্য, ঢাকার সাভারে শেখ হাসিনা যুবকেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্নয়নে ভূমিকা রাখা তারুণ্যনির্ভর ৩০টি সংগঠনের হাতে 'জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড' তুলে দেওয়ার সময় তাদের এই অভিধা দেন তিনি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসে নিজেদের উদ্যোগে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসা তরুণ-তরুণীদের বাংলাদেশের আগামী দিনের নেতা অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা। তিনি নিজে ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। আর সেই কাজে তরুণ প্রজন্ম তার অনিবার্য লক্ষ্য। এর আগে তিনি দেশের ভেতর ও বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা, তরুণ জনগোষ্ঠীর ইতিবাচক অর্জনের গল্প শুনিয়েছেন বিশ্বের মানুষকে। তার মতে, 'আমাদের দেশের তরুণরা এখন দেশের জন্য কাজ করতে যেভাবে এগিয়ে এসেছে, আগে সেটা দেখা যেত না। দেশের সমস্যা আমরা সমাধান করতে পারব কিনা, দেশকে এগিয়ে নিতে পারব কিনা, সেই বিশ্বাস আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম। কারণ স্বাধীনতার চেতনা আমরা হারিয়ে ফেলেছিলাম।' কিন্তু 'এখন আমাদের শাইনিং স্টার বলা হচ্ছে। 'নেক্সট ইলেভেন'- অর্থনীতির দেশের একটি আমরা।' সজীব ওয়াজেদ জয় সেদিন যে কথা বলেছেন, তা একজন তরুণ নেতার আদর্শ ও বিশ্বাসের কথা। তিনি নিজে নতুন প্রজন্মের নেতা, তাই যুবসমাজের কাছে আলোকবর্তিকা হিসেবেই আবির্ভূত হয়েছেন।  

রাজধানীতে অনুষ্ঠিত অন্য এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন, 'সৎ সাহস ও নিজের আত্মবিশ্বাস থাকলে যে কোনো কঠিন কাজ করা যায়। আমরা কারও চেয়ে কম নই। বিদেশের সঙ্গে আমরা সমানে সমান। সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ে বিদেশি সাটিফিকেট প্রয়োজন নেই।' অর্থাৎ এই তরুণ নেতৃত্বের কাছে নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতুর ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছে সততা এবং আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। সৎ না থাকলে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় না। আর মানুষের ভালোবাসা ছাড়া ক্ষমতায় আসা যায় না। তিনি বিশ্বাস করেন, নিজের দেশকে টেনে ওঠাতে দেশপ্রেম দেখাতে হবে। বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে টেনে তোলার মধ্যেই দেশপ্রেম নিহিত রয়েছে।

প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা বহমান তা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তারই যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে সজীব ওয়াজেদ জয় এই তৃতীয় প্রজন্মের নতুন নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সব আকর্ষণ এখন কেন্দ্রীভূত। বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশে নেতৃত্বের বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল। উপমহাদেশের রাজনীতিতে পারিবারিক ঐতিহ্য একটি ব্যাপক বিস্তারিত প্রসঙ্গ। ভারতের দিকে তাকালে বর্তমান রাজনীতির পারিবারিক ধারা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। জওহরলাল নেহরু গান্ধীর কন্যা ইন্দিরা গান্ধী তার পিতার যোগ্য উত্তরসূরি ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধীর সময় মোরালি দেশাইয়ের মতো অনেক যোগ্য নেতা থাকলেও ইন্দিরা গান্ধীই হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। জুলফিকার আলী ভুট্টো, তার কন্যা বেনজির ভুট্টো, বেনজিরের স্বামী ও ছেলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা যেমন সত্য তেমনি শ্রীলঙ্কার বন্দরনায়েক পরিবারের রাজনৈতিক পরিচয় লক্ষণীয়। ঠিক একইভাবে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনাকেই রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে এসেছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী তোফায়েল আহমেদ, প্রয়াত আবদুল জলিল, আবদুর রাজ্জাক, কামাল হোসেন প্রমুখ বড় বড় নেতারা দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনাকেই জনগণের সামনে দাঁড় করান। 

খালেদা জিয়া যেভাবে তারেক জিয়াকে রাজনীতিতে এনে দলের পদে সমাসীন করেছিলেন জয়ের জীবনে তেমনটি ঘটেনি। বরং জয় রাজনীতিতে নামতে পারেন ধরে নিয়ে ২০০৪ সালে 'হাওয়া ভবন'-এর মালিক তারেক জিয়াকে বিএনপি লুফে নিয়েছিল। জয় বাংলাদেশের মৃত্তিকার সন্তান। তার রাজনীতিতে আসাটা আকস্মিক হলেও দলকে সংগঠিত করা, দলের কোন্দল মেটানো, দলকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ রাখা প্রধান কাজ হিসেবে গণ্য হয়েছে প্রতিটি নির্বাচনের আগে। মহাজোট সরকারের সময় পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে পরাজয়ের পর আওয়ামী লীগের সামনে নতুন নেতৃত্বের দরকার ছিল। তাই তার মতো কোনো যোগ্য ব্যক্তিকে সামনে আনা আমাদের জন্য মঙ্গলজনক। ২০১০ সালে তিনি আওয়ামী লীগের নিয়মিত সদস্য পদ গ্রহণ করেন।

প্রকৃতপক্ষে সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশের উন্নয়নে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তার প্রাণবন্ত উপস্থিতি আমাদের তরুণদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় উজ্জীবিত করেছে। একাধিক বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি নানা প্রসঙ্গে গঠনমূলক রাজনৈতিক কথা বলেছেন। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে 'লেটস টক' শিরোনামে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে অনেকটা এগিয়েছে। তিনি কেবল প্রযুক্তি নিয়ে ভাবেন না, তিনি মানুষকে মূল্য দেন। মানুষের দুঃখে সমব্যথী হন। আসলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং পিতা-মাতা বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ ও শেখ হাসিনার মতো আন্তরিক হৃদ্যতায় সাধারণ মানুষকে কাছে টানার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে তার। তিনি দেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অনেক ভাবেই- যুবলীগ, ছাত্রলীগ কিংবা বিশেষ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রাণবন্ত বক্তৃতা দিয়ে। দেশে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দূর করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা যেমন সক্রিয় উদ্যোগ নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তেমনি জয়ের পরামর্শে প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে ৯৪টি যন্ত্রাংশের ওপর থেকে উচ্চ আমদানি শুল্ক উঠিয়ে ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। জয় জানেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে মহামারি মোকাবিলা করে।

জয়ের মতো নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব আমাদের রাজনীতিতে যেমন ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা ঘটিয়েছে তেমনি উন্নয়নে সার্বিক অগ্রগতি সম্পন্ন করেছে। রাজনীতিতে নতুন প্রজন্মের পদচারণা আমাদের এগিয়ে চলার পথে বাড়তি প্রাপ্তি। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে প্রতি বছর ভোটার তালিকায় তরুণ ভোটার আসে প্রায় ২৩ লাখ। ৯ কোটি ২১ লাখ ভোটারের মধ্যে ৪ কোটি ভোটারের বয়স ৪০ বছরের নিচে। মোট ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ নতুন প্রজন্মের। তাদের জন্য নতুন প্রজন্মের নেতা অনিবার্য। সজীব ওয়াজেদ জয় এসব নতুন ভোটারদের প্রত্যাশার ভাষাকে ঠিকই বুঝতে পারেন। ভবিষ্যতে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করার কৌশলও তিনি জানেন। কারণ আওয়ামী লীগ এ দেশের যে উন্নয়ন করেছে বিগত জামায়াত-বিএনপি চারদলীয় জোট সরকার তা করেনি। বিএনপির মিথ্যা প্রচার প্রচারণা এখনো মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে জয় রাজনীতিতে সক্রিয় অন্তরালে থেকেই। নিজের প্রচারে বিশ্বাসী নন তিনি। তিনি রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে যোগ দিয়েছেন কিন্তু প্রকাশ্যে বিচরণ তার কম। বঙ্গবন্ধুর নাতি এবং শেখ হাসিনা ও ড. ওয়াজেদ মিয়ার পুত্র হিসেবে পারিবারিক সূত্র গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু তিনি যে মানুষের জন্য আত্মত্যাগ করতে এসেছেন তা বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে এ দেশের মানুষের। প্রকৃত দেশপ্রেমিকের পক্ষে দেশ ও জাতির কল্যাণ করাই স্বাভাবিক।

আওয়ামী লীগের যে গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে তা অন্য কোনো দলের নেই। সজীব ওয়াজেদ জয় সেই গৌরবকে কাজে লাগিয়ে ২০০৯ সাল থেকে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন। মধ্যবিত্তের সন্তান বঙ্গবন্ধু মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। পাকিস্তানি শাসকদের ফাঁসির ভয়কে উপেক্ষা করেছেন। জেল খেটেছেন মাসের পর মাস। সেই ত্যাগী নেতার নাতি হিসেবে জয়কে মনে রেখেছেন- এই সব মূঢ়, মূক মানুষের মুখে দিতে হবে ভাষা। তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে বঙ্গবন্ধুর পরিচয় নিয়েই। জাতির পিতা নিজের সন্তানকে (শেখ মণি, শেখ কামাল) রাজনীতিতে এনেছিলেন। আর তা ছিল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। পারিবারিক পর্যায়ে তিনি যা করেছিলেন তা ছিল দেশের স্বার্থে, মানুষের মঙ্গল চিন্তা করে। অনেকেই তার বাকশাল প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধাচারণ করেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দেশের জন্য মমত্ববোধকে ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না।  

ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের কাজে এগিয়ে এসেছেন মানুষের আকর্ষণে। মাতার সান্নিধ্য তাকে রাজনীতির শিক্ষায় শিক্ষিত করেছে। শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনায় সজীব ওয়াজেদ জয় যেমন তৎপর তেমনি নিজের নতুন নতুন ভাবনা-চিন্তা নিয়ে জনসমক্ষে হাজির হবেন আগামীতে। আওয়ামী লীগের নতুন কান্ডারি সজীব ওয়াজেদ জয়কে জন্মদিনে অভিবাদন।

ড. মিল্টন বিশ্বাস : কবি, কলামিস্ট, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য, সম্প্রীতি বাংলাদেশ এবং অধ্যাপক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<107187 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1