শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন নাগরিকের খোলা চিঠি

সরকারি অযৌক্তিক অপ্রয়োজনীয় নিয়মাবলির কারণে রিজেন্ট সাহেদ তৈরি হয়েছে ঢাকায় এবং প্রত্যেক শহরে ও উপজেলায় বহু রিজেন্ট সাহেদ, সাহাবউদ্দিন ও ডা. সাবরিনা তৈরি হচ্ছে এবং আরও হবে।
জাফরুলস্নাহ চৌধুরী
  ২৯ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অতীতে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এই খোলা চিঠি লিখছি। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর (চগঙ) দপ্তরের কেউ না কেউ আমার এই খোলা চিঠিটি আপনার নজরে আনবেন এবং আমি একটি প্রাপ্তি-স্বীকার পত্র পাব। প্রিয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটাই একজন নাগরিকের আকাঙ্ক্ষা।

* পৃথিবীর কোথাও যে নিয়ম নেই

রোগীর হাসপাতালে ভর্তির জন্য কোনো দেশে তাদের প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন লাগে না। কোভিড-১৯ আক্রান্তই হোক অথবা কোভিড মুক্ত অন্য কোনো রোগাক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত দেন ওই হাসপাতালের পরিচালক। কার্যত ডিউটিরত চিকিৎসক, নার্স বা ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার। কিন্তু বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবে কিনা তার সিদ্ধান্ত দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগী নিজে বা চিকিৎসক নন। কেন্দ্রিকতার এরূপ নিদর্শন পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। অপূর্ব সিদ্ধান্ত। মারহাবা। কেন্দ্রিকতা দুর্নীতির সহজ বাহন।

* হাসপাতাল অনুমোদিত না হওয়ার কারণগুলো

বাংলাদেশের অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন নেই, এমনকি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের, গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারেরও। আলাদা আলাদা অনুমোদন মানে আলাদা তদবির ব্যয়, আলাদা দরাদরি। অবশ্য মধ্যে মধ্যে জঅই-এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের দক্ষতা প্রদর্শন মিডিয়ায় আলোড়ন আনন্দ সৃষ্টি করে বটে।

হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এমন নিয়মাবলি করেছে যা পূরণ সম্ভব প্রায় অসম্ভব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্থির করে দেন কয়টি পায়খানা, প্রস্রাব খানা থাকবে, কয়জন ডিপেস্নামা পাস নার্স থাকতে হবে। হাসপাতালের অনুমোদন থাকলে চলবে না, হাসপাতালের প্রত্যেক বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা অনুমোদন থাকতে হবে। অনুগ্রহ করে সরকারি চাঁদা কত বেড়েছে তা লক্ষ্য করুন। হয়রানি ও দুর্নীতি একত্রে চলাফেরা করে। একটা উদাহরণ দিই- রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের (ইষড়ড়ফ ঞৎধহংভঁংরড়হ উবঢ়ধৎঃসবহঃ) জন্য অনুমোদন চাইতে হলে রক্ত পরিসঞ্চালন (ইষড়ড়ফ ঞৎধহংভঁংরড়হ) বিভাগ পরিচালনার জন্য রক্ত পরিসঞ্চালন সংক্রান্ত দুই বছরমেয়াদি একটা ডিপেস্নামাধারী চিকিৎসক থাকতে হবে। বাংলাদেশে ২০০০-এর বেশি রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র আছে। ওই বিষয়ে দুই বছরমেয়াদি ডিপেস্নামাপ্রাপ্ত চিকিৎসক আছেন ৮০-র অনধিক। এ বিভাগে উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অন্ততপক্ষে ১০ জন চিকিৎসক অবসর জীবনযাপন করছেন। ৬০ বছর অধিক বয়সি চিকিৎসকদের চাকরি করার বিধান নেই। চিকিৎসকরা তো বিচারপতি বা সিনিয়র সচিব নন।

সরকারের চাঁদাবাজি তথা লাইসেন্স ফি-বাবদ সরকারের আয় বাড়বে, পকেট কাটা যাবে জনগণের, তাদের রক্ষার কিছু থাকবে না। থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে বিপদ আরও বাড়ে।

সরকারি অযৌক্তিক অপ্রয়োজনীয় নিয়মাবলির কারণে রিজেন্ট সাহেদ তৈরি হয়েছে ঢাকায় এবং প্রত্যেক শহরে ও উপজেলায় বহু রিজেন্ট সাহেদ, সাহাবউদ্দিন ও ডা. সাবরিনা তৈরি হচ্ছে এবং আরও হবে।

গত বছর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডিপেস্নামা নার্সের নিয়োগ বিজ্ঞাপনে ব্যয় করেছে ৫ লাখ টাকার অধিক। সরকারি হাসপাতাল নীতিমালা পূরণের জন্য আমাদের প্রয়োজন ৫০ জন নার্স, ১০ জন নার্সও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চাকরির জন্য আবেদন করেনি। সরকারি হাসপাতালে সেবা না দিয়ে ধবধবে ইস্ত্রি করা সাদা শাড়ি পরে ঘুরে বেড়ানো যায়, সরকারি চাকরিতে সেবা না দিয়ে বেতন পাওয়ার সুবিধে আছে। আপনি বলে দিন, আমাদের কি করণীয়? বিগত কয়েক বছরে কয়েকটি সৌজন্যমুলক সতর্কবাণী আমাদের দেওয়া হয়েছে। অনুগ্রহ করে এমন নিয়ম করুন, যা সহজে পালন করে জনসাধারণের কল্যাণ করা যায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দালালদের দ্বারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা মালিকরা হয়রানির সম্মুখীন হবেন না, নিয়ম অনুসরণ করতে না পারার অজুহাতে।

* পস্নাজমা জীবন রক্ষাকারী, কিন্তু তাতে কার কী আসে যায়!!

করোনামুক্ত রোগীর রক্ত থেকে আলাদাভাবে পস্নাজমা (চষধংসধ) সংগ্রহ করে, করোনা রোগীকে পস্নাজমা ট্রান্সফিউজ করালে করোনা রোগীতে প্রায় নতুন জীবন সঞ্চার হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে তিনবার পস্নাজমা নিয়ে আমার করোনা থেকে বেঁচে থাকার সংগ্রাম সহজ হয়েছে। কিন্তু যে সাধারণ গরিব রোগীর জীবন রক্ষার্থে পস্নাজমার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি সে দরিদ্র রোগীই পস্নাজমা সুবিধা থেকে বেশি বঞ্চিত। কারণ অধিকাংশ ল্যাবরেটরির পস্নাজমা তৈরির অনুমোদন নেই। এই নিয়মের অজুহাতে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পস্নাজমা দেওয়ার জন্য প্রতিবার ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা চার্জ ধরা হয় এবং অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল পস্নাজমা প্রাপ্তির সুবিধে নেই। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকায় রোগীকে আন্তর্জাতিক মানের পস্নাজমা সরবরাহ করতে চায়, কিন্তু গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অনুমোদন নেই, পস্নাজমা উৎপাদনের জন্য রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগে নেই উচ্চ ডিগ্রিধারী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক, আছে একাধিক রক্ত পরিসঞ্চালনে নিবেদিত ডিগ্রি ডিপেস্নামাবিহীন এমবিবিএস পাস চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান। নিয়মের বেড়াজালে পড়ে অদূর ভবিষ্যতে ভারত, ভিয়েতনাম ও চীন থেকে পস্নাজমা আমদানি করা হবে ওষুধ হিসেবে, তবে পস্নাজমা উৎপাদন করা যাবে না। গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত করোনায় অ্যান্টিবডি নির্ণায়ক কিটের জধঢ়রফ উড়ঃ ইষড়ঃ-এর অনুমোদন আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি, নিয়মের বেড়াজালে পড়ে।

* সাধারণ বিষয়কে কঠিন অঙ্কে পরিণত করা কি যুক্তিসঙ্গত?

২১ জুলাই ২০২০ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর তথ্যে প্রকাশ পেয়েছে, নিজ বাড়িতে আলাদা রুমে রেখে অধিকাংশ করোনা রোগী চিকিৎসা করে সুস্থ করা যায়। বসুন্ধরার কোভিড ২০০০ শয্যার আইসোলেশন হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে মাত্র ১৭ জন (১% অনধিক), চট্টগ্রাম রেলওয়ে ও গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ছিল মাত্র একজন করে।

রোগীর জন্য দুর্ভিক্ষ ও রোগীর জন্য হাহাকার আগে কখনো বাংলাদেশে দেখা যায়নি।

অন্যপক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিদিন প্রতারিত হওয়ার সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। ধানমন্ডির আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দরিদ্র রোগীকে ৭ দিনের জন্য করোনা রোগীকে চিকিৎসাবাবদ পরিশোধ করতে হয় তিন লাখ টাকার অধিক। রোগ নির্ণায়ক পরীক্ষা, সেবা প্রদানকারীদের বেতন, অক্সিজেন ও ওষুধের মূল্যবাবদ ব্যয় কোনোক্রমে প্রতিদিন ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকার বেশি বিল করার কোনো অঙ্ক নেই, কেবল প্রতারণা ছাড়া। সেবাপ্রদানকারী চিকিৎসক, নার্স হোটেল থাকা-খাওয়াবাবদ প্রতিদিন খরচ হয় দুই হাজার টাকার অধিক এবং চিকিৎসক ও সেবাকর্মীদের কাজ করতে হয় সপ্তাহে দুদিন মাত্র, অপূর্ব ব্যবস্থাপনা।

বিভাগীয় বিল-ভাউচার পরীক্ষা করে কি প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি কমাতে পারবেন, না ঠেকাতে পারবেন? প্রধানমন্ত্রীর মানসিক যাতনা ও সময়ের মূল্যও স্মরণে রাখতে হবে। তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতির ভাগিদার নন, দুর্নীতির দ্রম্নত বিচার না করায় শরীরেও দুর্নীতির আঁচড় পড়ছে। আপনি পরিচ্ছন্ন হওয়া সত্ত্বেও আপনাকেও একদিন হয়তো বা এজন্য বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। স্মরণ রাখবেন, বিচারের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণে র্দীঘসূত্রতা দুর্নীতির বাহন।

বাংলাদেশের ৫০০০ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে (টঐঋডঈ) ৬ ফুট উঁচু নিরাপত্তা বেষ্টনী, গভীর নলকূপ ও ইলেক্ট্রিসিটি সুবিধাসহ চিকিৎসকদের বাসস্থান নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় মৌলিক যন্ত্রপাতির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছাড়া ইউনিয়ন পর্যায়ে নূ্যনতম স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলা যাবে না। সার্বক্ষণিকভাবে যেসব নবীন চিকিৎসক ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নূ্যনতম দুই বছর অবস্থান করবেন, তারাই তাদের পছন্দমতো বিষয়ে উচ্চশিক্ষায় সুবিধে পাবেন, কারও ক্ষেত্রে নিয়মের হেরফের হবে না, এমনকি প্রধানমন্ত্রীর নাতনি হলেও নয়।

জনগণ আপনার কথা ও কাজে সমন্বয় দেখতে চায়।

চীনকে বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বিঘ্ন সৃষ্টি করে সরকার অত্যন্ত ভুল কাজ করছে, পুঁজিবাদের চক্রান্তে ভারতের ফাঁদে পা দিয়েছেন, ঠিক যে ভুল করেছিল বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার শুরুতে। সীমান্তে বিএসএফ প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশিদের হত্যা করছে। নেপাল সরকার ভারতের বিরুদ্ধে সংসদে আইন পাস করেছে, অথচ বাংলাদেশের ভারতের প্রতি নতজানু ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশে চৈনিক করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল যদি স্থগিত হয়ে যায় তবে বুঝতে হবে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের বোকামির কারণে নতুন ওষুধ তৈরির সক্ষমতা হারাবে। কি করে ভাত রান্না করতে হবে, তা শেখার জন্য টেক্সাসের ল্যাবরেটরিতে তাদের গবেষণার নিয়মাবলি অনুসরণের প্রয়োজন নেই। পশ্চিমা পুঁজিবাদী জগতের ফাঁদ থেকে সাবধান। চৈনিক ভ্যাকসিন ট্রায়াল নিয়ে দ্রম্নত অগ্রসর হোন, তবে চীনের সঙ্গে চুক্তি করে নিন, গবেষণা সফল হলে লাভের ৫০% মালিক হবে বাংলাদেশ।

* স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের করণীয়

১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতির ওষুধের মূল্য নির্ধারণবিষয়ক নীতিমালা সব ওষুধ কোম্পানিগুলো অনুসরণে বাধ্য করানো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। বাজারে ওষুধের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী ওষুধ কোম্পানি নিয়ন্ত্রিত ইনডিকেটিভ প্রাইসিং (ওহফরপধঃরাব চৎরপরহম : ওচ) পদ্ধতি (যা শিয়ালের কাছে মুরগি দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়ার সমতুল্য) অনতিবিলম্বে বাতিল করা একটি সৎ রাজনৈতিক সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। রোগ নির্ণয় ও অপারশেন চার্জ এবং ওঈট চার্জ স্থির করে দিন। দৈনিক ওঈট চার্জ সর্বসাকুল্যে ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকার অধিক হওয়ার যৌক্তিকতা নেই। সরকার নির্ধারিত রোগ নির্ণয় ও অপারেশন চার্জ এবং ওঈট চার্জ প্রত্যেক বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করছে কিনা সেটা দেখাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্ব। অন্য কোনো পুলিশি দায়িত্ব অহেতুক এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থাপনায় কাম্যও নয়।

'ব্যক্তি মালিকরা' লাভ ও সেবা দুটোই ভালো বোঝেন। তাদের দায়িত্ব কি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেওয়া সঠিক হবে? চিকিৎসক কত ভিজিট নেবেন তা স্থির করবেন চিকিৎসক নিজে, সরকার নয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমন কিছু করা উচিত হবে না যাতে তাদের সম্পর্কে বিদেশিদের চর হিসেবে প্রশ্ন ওঠে। অনুগ্রহ করে ইগজঈ-এর কাজে হস্তক্ষেপ রহিত করুন এবং বাংলাদেশে নিজস্ব পদ্ধতিতে অ্যান্টিবডি, কিট উৎপাদনে বিঘ্ন সৃষ্টি করে দেশের স্বার্থবিরোধী চক্রের এজেন্টে পরিণত হবেন না।

দুই হাজার একশত পঁচানব্বই টাকা ভর্তুকি দিচ্ছেন, অথচ বারবার আবেদন করার পরও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগীদের ৯০০ (নয়শত) টাকা ভর্তুকি দিচ্ছেন না। নিজে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কারণ জানতে চাওয়া কি অন্যায় হবে? কি বেয়াদবি হবে? কারণ জানতে চাওয়া ও প্রতিকার কামনা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার।

* প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন বোকা মুক্তিযোদ্ধার কামনা

দেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী আপনি কঠিন পরিশ্রম করছেন, কিন্তু লক্ষ্য থেকে ক্রমে দূরে সরে যাচ্ছেন, সঙ্গে বাড়ছে আপনার একাকিত্ব ও নিঃস্বতা দেশের এই কঠিন সময়ে আপনার নিজ দলের পুরনো সহকর্মী এবং অন্যসব রাজনীতিবিদকে সঙ্গে নিয়ে আপনাকে অগ্রসর হতে হবে। তাদের নিশ্চিত করতে হবে সুশাসনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু পরিচ্ছন্ন নির্বাচন। কোনো চালাকির নির্বাচন নয়, দিনের নির্বাচন রাতে নয়। হয়তো বা সফলতা আপনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

ঈদের দিন সময় করে সুস্বাস্থ্য কামনা করতে খালেদা জিয়ার বাসস্থানে যান, এতে দেশবাসী খুশি হবে এবং বঙ্গবন্ধু হেসে বলবেন, 'ভালো করেছিস, মা'।

আগামী মাসে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (ওঈট) সুবিধা নিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (ঈবহঃৎধষ অরৎপড়হফরঃরড়হ) ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সুবিধা সমেত করোনা সাধারণ ওয়ার্ড (ঈঙঠওউ-১৯ এবহবৎধষ ডড়ৎফ) চালু করবে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। রোগীদের সর্বসাকুল্যে দৈনিক খরচ পড়বে তিন হাজার টাকার অনধিক।

আপনি কি এই অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ সুবিধা সমেত জেনারেল ওয়ার্ডের উদ্বোধন করবেন? সুস্থ থাকুন, আমলা ও গোয়েন্দাদের থেকে সাবধানে থাকুন, রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছে ডেকে নিন।

ঈদের শুভেচ্ছান্তে,

জাফরুলস্নাহ চৌধুরী: গণস্বাস্থের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<107358 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1