শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক-মহাসড়কগুলো কাদের জন্য?

প্রয়োজন বহুবিধ বিকল্প ব্যবস্থারও। যেমন, রেলপথের ব্যাপক সম্প্রসারণ। নতুন নতুন সড়ক-মহাসড়ক নিমার্ণ, বিদ্যমান সড়ক-মহাসড়কগুলো প্রশস্তকরণ; ধীরগতির কোনো বাহন বেআইনি না করে রাস্তাগুলো চওড়া করে তাদের জন্য স্পেস নিদির্ষ্ট করে দেয়া, কম দামি যানবাহনগুলোর আধুনিকীকরণ; যাত্রী স্বাথের্ পরিবহন আইনের পুনঃসংশোধন, চালক প্রশিক্ষণের উপযুক্ত ব্যবহার গ্রহণ, লাইসেন্স প্রদান দুনীির্তমুক্তকরণ, লক্কড়ঝক্কড় মাকার্ সব যান উচ্ছেদকরণ প্রভৃতি। পদক্ষেপগুলো জরুরি ভিত্তিতে নেয়া প্রয়োজন।
রণেশ মৈত্র
  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের গবির্ত সন্তানদের ইতিহাস হয়ে যাওয়া ‘নিরাপদ সড়ক’ এর দাবিতে ঘটে যাওয়া আন্দোলনকে কাযর্ত ব্যথর্ প্রমাণের অবিরাম চেষ্টা চলছে। ঘটনাবলি যেভাবে ঘটে চলেছে তাতে তাই মনে হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। বিদায়ী (নিবার্চনকালীন ক্ষুদ্র মন্ত্রিসভা গঠনের প্রাক্কালে) সরকারের মন্ত্রীর নানা উক্তি ও সিদ্ধান্তে তেমনটাই মনে হয়।

অবাক বিস্ময়ে দেখলাম টেলিভিশনের পদার্য়, গত ২৭ আগস্ট হঠাৎ করে এক বিশাল বৈঠকে বসে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘোষণা করলেন, সড়ক-মহাসড়কে ধীরগতি সম্পন্ন কোনো যান-বাহন চলতে দেয়া হবে না। অথার্ৎ রিকশা, টেম্পো, স্কুটার, ইঞ্জিনচালিত রিকশা, নছিমন, করিমন এবং এই জাতীয় অপরাপর যানবাহন চলতে দেয়া হবে না। তা হলে, বাংলাদেশের সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে কোন কোন যানবাহন চলবে। সরকারি ভাষায় ‘দ্রæতগতিসম্পন্ন যে যানটিতে সকলে চিনি সেটি হলো উড়োজাহাজ। কিন্তু সেটি যেহেতু সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে চলে নাÑ তাই সে প্রসঙ্গ ওঠে না। এখন তাহলে কোন কোন যানবাহনকে চলতে দিতে চায় সরকার, সব নাগরিকের (গরিব বড়লোক নিবিের্শষে) অথের্ নিমির্ত ওই সড়ক-মহাসড়কগুলোতে? সেগুলো কার,

মাইক্রোবাস, মিনি বাস, বাস, ট্রাক প্রভৃতি। এগুলোর মালিক কারা? ধনীরা। আর ধীরগতি সম্পন্ন রিকশা, ভ্যান, টেম্পো, স্কুটার, নছিমন, করিমন প্রভৃতির মালিক কারা? দেশের গরিবরা। এই উভয় ধরনের যানবাহনের যাত্রীও কিন্তু ভিন্ন শ্রেণির। দ্রæতগতি সম্পন্ন যানবাহনের যাত্রী ধনীরা এবং ধীরগতিসম্পন্ন যানবাহনের যাত্রী অতি দরিদ্ররা।

তা হলে কি দঁাড়াল? নিঃসন্দেহে বলা যায়, সরকার চাইছে ধনীদের যানবাহন ধনী যাত্রীদের নিয়েই চলুক প্রধানত গরিবের টাকায় নিমির্ত ওই সড়ক-মহাসড়কগুলো দিয়ে। এমন সিদ্ধান্ত যারা নিলেন তারা কারা? টিভিতে যতটুকু দেখা গেল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী সভাপতিত্ব করছেন পাশে রয়েছেন ‘শ্রমিক নেতা’ মন্ত্রী মহোদয় (যিনি সবাির্ধক সমালোচিত এবং সড়কের তাবৎ দুঘর্টনার জন্য নানাভাবে যার সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হয়ে থাকে), পরিবহন মালিক ও তাদের আশীবার্দটুকু পরিবহন শ্রমিক নেতারা যাদের দৌরাত্ম্য অহরহ সড়কে মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। এই মালিক শ্রমিক নেতারাই কোনো অভিযোগে কোনো মালিক বা শ্রমিক কারারুদ্ধ হলে বা আদালত কাউকে বিচার করে সাজা দিলে সড়কপথে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নানা মেয়াদের হরতাল-ধমর্ঘট বিনা নোটিশে ডেকে হামেশাই অচল করে দিয়ে থাকে এবং সরকার দ্রæতই মামলা প্রত্যাহার করে নিয়ে তাদেরকে রাজার হালে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনেন। ওই মালিক শ্রমিক নেতারাই পুলিশকে আইন মোতাবেক কাজ করতে নানাভাবে বাধ্য করে থাকে।

এই পরিবহন মালিকরা ঈদযাত্রীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে কী বিপুল অংকের টাকা ভাড়া হিসেবে আদায় করে থাকে, সড়কে অতি মাত্রায় ভাড়া দিতে যাত্রীদের বাধ্য করে থাকেÑ সরকার, মন্ত্রণালয় সবাই তখন নিশ্চুপ। আইনও যেন তখন অন্ধত্বে ভুগতে থাকে। বাকি আলোচনায় যাবার আগে মাননীয় সড়ক-সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বিনীতভাবে সামান্য কয়েকটি প্রশ্ন করি (এবং অবশ্যই তা জনস্বাথের্)Ñ

এক. বিআরটিসি বাস (একতলা-দোতলা নিবিের্শষে) কি ধীর গতিসম্পন্ন ? আমরা তো জানি তা দ্রæত গতিসম্পন্ন বাসের পযাের্য়ই পড়ে। তেমনি একই পযাের্য় অবশ্যই পড়ে বিআরটিসির ট্রাকগুলোও। তা হলে ওগুলো কি সড়কপথে মানুষ হত্যার দায়ে অপরাধী বলে চিহ্নিত হয়েছে এবং সে কারণেই কি দেশজোড়া বিআরটিসির টামির্নালগুলো বন্ধ করে দিয়ে সেখানে ঘাস অপসারণ প্রভৃতির জন্য রাখা হয়েছে এবং সব বিআরটিসি যানবাহনকে সারাদেশ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে? বাস্তব চিত্র তো তাই বলে। সারাদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নিমির্ত বিআরটিসি টামির্নালগুলোতে গরু চরছে ঘাস-আগাছায়-জঙ্গলে পূণর্ হচ্ছে মন্ত্রীদের নানা ক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে বাস ট্রাকগুলো কোথায় সংগোপনে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ঢাকা শহরে নিতান্ত অসহায়ভাবেই যে কোন কোন রুটে দু’চারটি বিআরটিসি বাস চালানো হচ্ছে।

জনগণের চাহিদা বিআরটিসি টামির্নালগুলো চালু করা হোকÑ প্রতি জেলায় কমপক্ষে ৫০টি করে বিআরটিসি বাস ও ৩০টি করে ট্রাক চালু করা হোক এবং যাতে সরকারি ও বেসরকারি পরিবহনগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে, পরস্পর সৌহাদর্পূণর্ সম্পকর্ বজায় থাকে তা নিশ্চিত করা হোক। জনগণের এই চাহিদার কারণ, বিআরটিসি বাসগুলো সময়মতো ছাড়ে ও চলাচল করে, তাদের চালক-হেলপারসহ কমীের্দর ব্যবহার যথেষ্ট ভদ্র এবং তাদের সেবার মান তুলনামূলকভাবে ভালো। কিন্তু বেসরকারি বাস চালক-হেলপারের শতকরা ৯০ ভাগ বেপরোয়া, তাদের যাত্রীদের সাথে দুবর্্যবহার, বহুক্ষেত্রে মহিলা যাত্রীদের ওপর যৌন ও অপরাপর নিযার্তন, কথায় কথায় যাত্রীভাড়া বৃদ্ধিসহ নানাভাবে যাত্রী পীড়নে যাত্রী সাধারণ বিক্ষুব্ধ। তাই সড়ক-মহাসড়কে তাদের একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ করে সেখানে সরকারি যানবাহন (বিআরটিসি) বিপুল সংখ্যায় নামিয়ে

অবিলম্বে ভারসাম্য সৃষ্টি করা জরুরি প্রয়োজন।

দেশবাসী চান বিআরটিসি সব যান চলাচল করুক। একতলা-দোতলা নিবিের্শষে। ঐ যানবাহনের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বাড়ানো হোক। কিন্তু বেসরকারি বাস মালিক-শ্রমিকরা ঐ আকাক্সক্ষার বিরুদ্ধে। সরকার কি তবে ওই ধনী পরিবহন মালিকদের অবৈধ এবং এখতিয়ার বিহীন দাবির পক্ষে বলে বিআরটিসির যানবাহনগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন?

লক্কড়-ঝক্কড় মাকার্ ভাঙাচোরা গাড়িগুলো শুধু রং বদল করেই মালিকরা সড়ক-মহাসড়কে চালিয়ে যাত্রী সাধারণের জীবন বিপন্ন করছে-হতাহত করছে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীর-তার কাযর্কর কোনো সুরাহা হয়েছে কি? সেগুলো কেন জব্দ করা হয় না-জব্দ করে ভেঙে চুরে ফেলে যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই বা বাধা কোথায়? চালকদের প্রশ্নে আসা যাক। একজন চালকের ওপর নিভর্র করেই ৫০-৬০ জন যাত্রী-নারী-পুরুষ-শিশু নিবিের্শষে গাড়িতে ওঠেন।

মালিকও কোটি টাকার গাড়িটা ওই চালকের হাতেই সঁপে দেন। সেই চালক যদি উপযুক্ত প্রশিক্ষণবিহীন হন তবে কাকে দায়ী করা যাবে? ধনী চালককে টাকার বিনিময়ে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দিলেন সেই সরকারি কমর্কতার্ অবশ্যই দায়ী। কিন্তু সেই কমর্কতার্ যখন দেখেন শ্রমিক নেতা নামে একজন মন্ত্রী ঐ চালককে লাইসেন্স দিতে বা একজন চালককে নাম-কা-ওয়াস্তে প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে এবং শিক্ষিত-অশিক্ষিত নিবিের্শষে লাইসেন্স ইস্যু করতে চাপ প্রয়োগ বা আকারে ইঙ্গিতে নিদের্শ দিয়ে থাকেন। তো শুধুমাত্র যিনি লাইসেন্সটি ইস্যু করলেন এককভাবে তিনি তো দায়ী হতে পারেন না। যিনি ইঙ্গিতে হুকুম দিলেন মসনদে বসে তিনি বাদ যাবেন কোন যুক্তিতে? ধীরগতিতে চলা গরিব মানুষের যানবাহনগুলোর কি হবে? অন্তত কয়েক লাখ চালক বেকার, মালিক উপাজর্নহীন এবং যাত্রীদের ব্যয় বৃদ্ধি কি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে? তবে এ কথাও সত্যি যে ধীরগতি সম্পন্ন গাড়িগুলোর সংখ্যা হু হু করে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে একটা মারাত্মক সংকটের সৃষ্টি হচ্ছে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে।

এমতাবস্থায় গরিব যানবাহনের মালিক ও চালকদের বেকারত্ব থেকে রক্ষা এবং গরিব যাত্রীদের স্বাথর্ সংরক্ষণের পথও বের করতে হবে। রাস্তা সড়ক-মহাসড়কগুলোতে খানিক অংশ তাদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে এবং রাস্তা-সড়ক-মহাসড়ক প্রয়োজন এবং সম্ভবমত সম্প্রসারণও করতে হবে। মালয়েশিয়াসহ নানা উন্নয়নশীল দেশে এগুলো বিবেচনায় নিয়ে নতুন নতুন কমদামি কিন্তু আরামদায়ক তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহন তৈরি করছে।

মনে পড়ে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা নছিমন, করিমন নামক যানগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল কিন্তু জনগণ তাতে সায় দেয়নি। তারা বলেছে, ওই গুলোর ভাড়া অনেক কম। তাছাড়া ওই যানগুলো প্রয়োজনমতো থামানও যায়। ফলে যাত্রীদের বিস্তর সুবিধা হয়। কিন্তু যদি নছিমন করিমনগুলো নিষিদ্ধ করা পরিবহন মালিকরা তৎক্ষণাৎ নানা রুটে যাত্রীভাড়া বাড়িয়ে দেবে কিন্তু যাত্রীদের প্রয়োজনমতো ওঠা-নামার ব্যবস্থা হবে না। ফলে সমস্যা জটিলতর হবে। নছিমন করিমন কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য স্বল্প ভাড়ায় নানা হাট বাজারে বহন করে থাকে। তাদেরকে বেআইনি করলে ট্রাক ভাড়াও বাড়বে বেড়ে যাবে পণ্য মূল্যও। তাই বিষয়টা পুনবিের্বচনার দাবি রাখে। কারণ পরিবহন জটিলতা তার স্বল্পতা, তার ভাড়া বৃদ্ধি জনজীবনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। এবং তা কদাপি গ্রামাঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকে না ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম-শহর নিবিের্শষে সবর্ত্র। ঢাকা শহর নিয়ে যেন ভাবতে হবে বারংবার তেমনি সমগ্র বাংলাদেশ নিয়েও বহুবার ভাবতে হবে। পরিবহন মালিক শ্রমিকদের কাছে দেশবাসী অসহায়ত্বের শিকারে পরিণত হয়েছে। দিন দিনই তাদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে আমাদের তরুণ ছাত্র সমাজ ‘সড়ক নিরাপত্তার’ দাবিতে এক ঐতিহাসিক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল তা যেমন স্বতঃস্ফ‚তর্ভাবে দিগি¦দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল তা দেখে যারা অঁাতকে উঠেছিলেন তাদেররই একজন প্রধান ব্যক্তি হলেন প্রভাবশালী শ্রমিক নেতা ও নৌপরিবহন মন্ত্রী। উভয় পদে অবস্থিত থাকায় সব ধরনের পরিবহনে কলকাঠি নাড়ার সুযোগ সীমাহীন। ধারণা সংশোধিত সড়ক পরিবহন আইন যাতে কোনো মতেই পরিবহন মালিক শ্রমিকদের বিপক্ষে না যায় তা যতই কেন না যাত্রী সাধারণের জীবন নাশসহ নানাভাবে যাত্রীদের ক্ষতিসাধন করুকÑ সে চেষ্টা তিনি সবর্শক্তি দিয়ে করেছেন ফলে ওই সংশোধনী একটি দুবর্ল সংশোধনীতে পরিণত হয়েছে এবং অপরাধী পরিবহন মালিক শ্রমিকদের স্বাথের্র অনুক‚লে আসতে পারেনি। আবার ‘ধীরগতির পরিবহন’ সড়ক মহাসড়কে বন্ধ করার সিদ্ধান্তের পেছনেও সম্ভবত কারসাজি রয়েছে সরকারের উচ্চ মহলের কাছে আবেদন জানাই যেন দুটি পদে তিনি কিছুতেই না থাকতে পারেন তাতে দেশের ক্ষতি হচ্ছে পরিবহন খাতে উচ্ছৃঙ্খলতা স্থায়ীরূপ নিচ্ছে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে।

প্রয়োজন বহুবিধ বিকল্প ব্যবস্থারও। যেমন, রেলপথের ব্যাপক সম্প্রসারণ। নতুন নতুন সড়ক-মহাসড়ক নিমার্ণ, বিদ্যমান সড়ক-মহাসড়কগুলো প্রশস্তকরণ; ধীরগতির কোনো বাহন বেআইনি না করে রাস্তাগুলো চওড়া করে তাদের জন্য স্পেস নিদির্ষ্ট করে দেয়া, কম দামি যানবাহনগুলোর আধুনিকীকরণ; যাত্রী স্বাথের্ পরিবহন আইনের পুনঃসংশোধন, চালক প্রশিক্ষণের উপযুক্ত ব্যবহার গ্রহণ, লাইসেন্স প্রদান দুনীির্ত মুক্তকরণ, লক্কড়-ঝক্কড় মাকার্ সব যান উচ্ছেদকরণ প্রভৃতি। পদক্ষেপগুলো জরুরি ভিত্তিতে নেয়া প্রয়োজন।

রণেশ মৈত্র: সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত, সভপতিমÐলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

ৎধহবংযসধরঃৎধ@মসধরষ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<10835 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1