প্রযুক্তির সম্রাজ্যে বিশ্ব এখন ধরাশায়ী। বিশ্বকে হাতের মুঠোয় তুলে দিয়েছে বতর্মান প্রযুক্তি। প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পযর্ন্ত প্রযুক্তির আওতায় এসেছে। প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার যখন বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পেঁৗছে গেছে, ঠিক তখনই কলরেটের মূল্য বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের কাজ জনগণকে চিন্তামুক্ত, সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে রাখা। কিন্তু সেই সরকারই কিনা জনগণকে কোণঠাসা করে রাখছে। ফোন কোম্পানিগুলো কলরেটের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে অবাধ কথা বলার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। অল্প কিছু লাভেও কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুফিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এ ছাড়াও ফোন কোম্পানিগুলোর কর ফঁাকির অবস্থা দেখে বাংলাদেশের মানুষ বিস্মিত হয়েছে। তারপরেও জনগণের কথা চিন্তা না করে বাংলাদেশ সরকার ফোন কোম্পানিগুলোর লোভনীয় অফারে কলরেটের মূল্যবৃদ্ধি করে দিয়েছে। জনগণের কথা চিন্তা করে যেখানে সরকারের উচিত ছিল সবোর্চ্চ দাম বেঁধে দেয়া। সবির্নম্ন রেট সম্পকের্ কোনো কথা না বলা। ফোন কোম্পানিগুলো ইচ্ছে করলে বিনা পয়সায় কথা বলার সুযোগ বাংলাদেশের জনগণকে দিতে পারত। সবোর্চ্চ আর সবির্নম্ন রেট নিধার্রণ করায় ফোন কোম্পানিগুলো সুযোগ পেয়ে জনগণের ঘাড়ের ওপর এসে বসেছে। কলরেটের এই মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণের সঙ্গে দুষ্ট আচরণ করেছে সরকার। বিপাকে পড়েছে অল্প আয়ের হাজার হাজার মানুষ। যারা কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে লুফে নিয়ে যাচ্ছে, কর ফঁাকিতে যাদের অবস্থান শীষের্, তাদেরকে সরকার এত সুযোগ করে দিল কেন? কলরেটের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সরকার বিমুখ হয়েছে সাধারণ জনগণ। কলরেটের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত পরিবতর্ন করা অত্যন্ত জরুরি। জনভোগান্তি থেকে জনগণকে মুক্ত করতে কলরেটের মূল্য হ্রাস করার বিকল্প কিছু নেই। বিষয়টি ভেবে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।