মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশিদের উদ্বেগ বাড়ছে আমিরাতে

যথাযথ পদক্ষেপ জরুরি
নতুনধারা
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ কমর্রত রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিভিন্ন সময়েই প্রবাসে কমর্রতদের নানা ধরনের সংকট নিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি, সচ্ছলতার আশায় প্রবাসে গিয়ে যদি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়, তবে তা উদ্বেগজনক পরিস্থিতিকেই সামনে আনে। সম্প্রতি আমিরাতে বাংলাদেশিরা ভালো নেই, এমন খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি, প্রবাসীদের যে কোনো ধরনের সংকটের বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। কেননা এটা ভুলে যাওয়া যাবে না যে, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অথৈর্নতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। এ ছাড়া প্রবাসে কমর্সংস্থানের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনসংখ্যা জনশক্তিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইর মোহসেনাতে থাকেন এমন একজন বাংলাদেশি গত ১৫ দিন ধরে এক দুয়ার থেকে অন্য দুয়ারে হন্যে হয়ে ঘুরছেন একটা পাসপোটের্র জন্য। ৫ বছর আগে কাজ নেই এমন অজুহাতে কোম্পানি তাকে চাকরিচ্যুত করে পাঠিয়ে দিতে চায় দেশে। কিন্তু চড়া অভিবাসন ব্যয়ের দেনা, পরিবারের ভরণপোষণের দায় তাকে অবৈধ হয়ে থাকতে বাধ্য করে। তিনি এমন অভিযোগ করেছেন যে, আরবরা তাদের সাপোটর্ দিলেও নিজের দেশের কনস্যুলেটে গেলে তারা তাদের চেনেন না, জানেন না! এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। তথ্য মতে জানা যায়, ভুক্তভোগী এই ব্যক্তির কাছে মেয়াদোত্তীণর্ আমিরাত আইডির কপি আছে, জন্ম সনদ আছে, আমিরাত অভিবাসন দপ্তরের ছাড়পত্র আছে। কিন্তু তার পুরনো পাসপোটের্র কপি নেই। এ জন্য বারবার দুবাই কনস্যুলেট থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, তার পাসপোটর্ হবে না। বলা দরকার, বিনা জেল জরিমানায় দেশে ফিরে যাওয়ার কিংবা আমিরাতে অবৈধ অভিবাসী তার নিজের অবস্থান বৈধ করার জন্য আরব আমিরাত সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার অধের্ক সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে, আর মূলত তাতেই উৎকণ্ঠা বাড়ছে এরকম অনেকেরই। ফলে সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার সৃষ্ট পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। লক্ষণীয়, কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে ৪ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, একজন বাংলাদেশি অবৈধ হয়ে পড়েন। আর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর তিনি ইমিগ্রেশনে গেলে জানতে পারেন যে তার পাসপোটর্ ব্যবহার করে এরই মধ্যে একজন দেশে চলে গেছেন! বিপাকে পড়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন এই দুয়ার থেকে ওই দুয়ারে সাহায্যের আশায়। কী করবেন জানেন না! আউট পাস নিয়ে শেষমেশ তার দেশে ফেরার একটা সুযোগ হয়তো হবে, কিন্তু যে ভুল তিনি করেননি তার মাশুল তাকে দিতে হবে? এমন প্রশ্নও সামনে এসেছে, যা আমলে নিতে হবে।

বলা দরকার, ২০১২ সালের মধ্য আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত দেশটিতে চাহিদার অতিরিক্ত অদক্ষ বাংলাদেশি শ্রমজীবীর অনুপ্রবেশ, ভিসা জালিয়াতিসহ নানা অপরাধকমের্ অধিক হারে বাংলাদেশিদের সংশ্লিষ্টতার কারণ বাংলাদেশিদের সব ধরনের ভিসা বন্ধ করে দেয়। বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশিদের জন্য অভ্যন্তরীণ ভিসা ট্রান্সফারও। এ ছাড়া এমন বিষয়ও সামনে এসেছে, দুবলর্ ও শ্লথগতির ভিসা ডিপ্লোমেসি ও বিভিন্ন টানাপড়েনে দীঘর্ ৬ বছরের বেশি সময়ে ভিসার জট না খোলায় আমিরাতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজারটি মুখ থুবড়ে পড়ে। ফলে ক‚টনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি, আমিরাতে বাংলাদেশিদের সাবির্ক অবস্থা পযের্বক্ষণসহ সৃষ্ট পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে যত দ্রæত সম্ভব যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হোক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<12783 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1