বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ডিজিটাল আথির্ক লেনদেন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ক্রমেই

ডিজিটাল ট্রান্সফার এর মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের অথর্ পরিশোধ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার পাশাপাশি গতিশীলতা আনা অনেকটাই সম্ভব। এ কাজে ব্যাংক, আথির্ক প্রতিষ্ঠানসহ বীমা, সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো বতর্মানে ডিজিটাল ট্রান্সফারকে বেছে নিচ্ছে। এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি প্রমাণ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুযোগ সুবিধাগুলো জনজীবনে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে।
রেজাউল করিম খোকন
  ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

সময়ের সঙ্গে আমাদের জীবনের অনেক কিছুই বদলে যাচ্ছে। এখন অনেক গতিশীল হয়ে উঠছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দ্রæততাকে বেছে নিতে চাইছে মানুষ। আথির্ক লেনদেনেও এখন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সবকিছুকে সহজ, সাবলীল, স্বাচ্ছন্দ্য করে তুলেছে। লেনদেনের ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক কম সময় লাগছে। ফলে অথর্নীতিতে চমৎকার গতির সঞ্চার হয়েছে। দ্রæততম সময়ে লেনদেন নিষ্পত্তি করতে বেশির ভাগ ব্যাংক চালু করেছে অনলাইন সেবা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ভূমিকা ব্যাংকিং খাতে নতুন বিপ্লবের সূচনা করেছে বলা যায়। নগদ লেনদেনে বিদ্যমান নানা ঝুঁকি সবাইকে ডিজিটাল আথির্ক লেনদেনে উদ্বুদ্ধ করছে। আজকাল অনেকেই প্রচলিত নগদ লেনদেনের চেয়ে ডিজিটাল লেনদেন অধিকতর নিরাপদ মনে করছেন। চালু হওয়া স্বয়ংক্রিয় পরিশোধের বিভিন্ন পদ্ধতির কারণে ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনলাইনে এখন দৈনিক গড়ে কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। এর বাইরে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য শাখার গ্রাহক বা ব্যবসায়িক পরিশোধও হচ্ছে প্রচুর অথর্। বতর্মানে অটোমেটেড চেক ক্লিয়ারিং হাউজ (বি এ সি এইচ), ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়াকর্ (ই এফ টি এন) ও ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ (এন পি এস) এর মাধ্যমে দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে অনলাইনে তাৎক্ষণিক আথির্ক লেনদেন, চেক পরিশোধ কাযর্ক্রম চলছে। লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হলো, আন্তঃব্যাংকে স্বয়ংক্রিয় পরিশোধের ক্ষেত্রে সাকর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের এ অগ্রগতির বিষয়টি বেশ প্রশংসা অজর্ন করেছে। রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) চালু করেছে। এর মাধ্যমে অনেক কম সময়ে খুব দ্রæত আন্তঃব্যাংক লেনদেন সম্পন্ন হবে। বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংকগুলো আরও আগেই প্রতিযোগী মনোভাব নিয়ে গ্রাহকদের দ্রæত এবং সুনিশ্চিত আধুনিক ব্যাংকিং সেবা দিতে অনলাইন ব্যাংকিং কাযর্ক্রম পরিচালনা করেছে। এক্ষেত্রে সরকারি ব্যাংকগুলো অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও সা¤প্রতিক সময়ে অধিক সংখ্যক শাখায় অনলাইন ব্যাংকিং কাযর্ক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় সাফল্য অজর্ন করেছে। আন্তঃব্যাংক অনলাইন লেনদেনের জন্য যে ধরনের প্রযুক্তি সহায়তা প্রয়োজন, এখন তা বেশিরভাগ ব্যাংক শাখায় রয়েছে। অতীতে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অথর্ পরিশোধ করতে বেশ কয়েকদিন লেগে যেত। সা¤প্রতিক কয়েক বছরে আন্তঃব্যাংক পরিশোধ ব্যবস্থায় এ দারুণ এক বিপ্লব ঘটে গেছে। এখন বিএসিএইচ, ইএফটিএন ও এনপিএস এর বদৌলতে দ্রæত চেক পরিশোধ হচ্ছে। আগে সিআইবি (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) ক্লিয়ারেন্স পেতে বেশ কয়েক মাস লেগে যেত। ফলে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গিয়ে গ্রাহক হয়রানি ও দীঘর্সূত্রিতার শিকার হতেন। গ্রাহক যে উদ্দেশ্যে ঋণ নিতেন তা অনেকাংশে পূরণ হতো না। এখন সিআইবি রিপোটর্ পাওয়ার কাজটি ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সম্পন্ন হচ্ছে। অনলাইন ব্যাংকিং এর দ্রæত বিকাশ ই-কমাসের্র প্রসারের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখছে।

দেশে একসময় এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে চেকের মাধ্যমে অথর্ পরিশোধের জন্য চেক ক্লিয়ারিং হাউস ব্যবহার করা হতো। দীঘর্ প্রক্রিয়া অনুসরণের ফলে সময় লাগতো বেশ অনেকটাই। বতর্মানে যে কোনো ব্যাংক শুধু চেকের ইমেজ অনলাইনে পাঠিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় সেই চেকের টাকা আদায় করে এনে সাথে সাথে গ্রাহককে পরিশোধ করতে পারছে।

ওদিকে ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়াকর্ বা ইএফটিএন এর মাধ্যমে এক নিমিষেই বিভিন্ন বেতন ভাতা, ইন্স্যুরেন্সের মাসিক-ত্রৈমাসিক প্রিমিয়াম, বোনাস, লভ্যাংশ প্রভৃতির টাকা এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের নিধাির্রত হিসাবে মানে একাউন্টে চলে যাচ্ছে। এ জন্য আলাদা করে একটি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে নিদির্ষ্ট একটি ব্যাংক হিসাব খুলতে হচ্ছে না। দেশের ব্যাংকিং খাতে আথির্ক পরিশোধ ব্যবস্থায় এক বিরাট পরিবতর্ন এনেছে ইএফটিএন। বতর্মানে দেশের বড় বড় করপোরেট হাউস, গ্রæপ বা কোম্পানি তাদের কমর্কতার্-কমর্চারীদের বেতন, ভাতা বোনাস ইত্যাদির মতো আথির্ক সুবিধা পরিশোধে এই অটোমেটেড পেমেন্ট বা স্বয়ংক্রিয় ইলেক্ট্রনিক অথর্ পরিশোধ ব্যবস্থার আওতায় যাচ্ছে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কমর্কতাের্দরও বেতন ভাতা পরিশোধ করা হচ্ছে এই ব্যবস্থায়। যার ফলে সময়, বড় অংকের অথর্ সাশ্রয় হচ্ছে, মানুষের ভোগান্তি লাঘব হচ্ছে, ব্যবস্থাপনায় গতি বেড়েছে তুলনামূলকভাবে। এ জন্য তেমন ঝামেলাও পোহাতে হচ্ছে না কোনো পক্ষকেই। এ পদ্ধতিতে কোম্পানি তার সব কমর্কতার্-কমর্চারীর নাম, অথের্র পরিমাণ, ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, ব্যাংক হিসাব নম্বর, শাখা শনাক্তকরণ রাউটিং নম্বর লিখে কোম্পানির নিধাির্রত ব্যাংকে মেইল করে দিলে দিনে দিনেই সব ঝামেলা চুকে যাচ্ছে।

সা¤প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সহজভাবে এবং খুব কম সময়ে ঝক্কি ঝামেলাহীনভাবে অথর্ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইএফটিএন ব্যবস্থাটি বেশ চালু হয়ে উঠেছে বলা যায়। যারা এর সুবিধা গ্রহণ করছেন তারা এটাকে বিরাট এক প্রাপ্তি বলে মনে করছেন। প্রতিষ্ঠান ছাড়াও এর মাধ্যমে যে কোনো ব্যক্তি একই পদ্ধতিতে টাকা স্থানান্তর করতে পারছেন। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের পেমেন্ট সিস্টেম বা অথর্ পরিশোধ ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এতে লেনদেনে যথেষ্ট স্বচ্ছতা এসেছে এবং খুব দ্রæত টাকা প্রাপকের হিসাবে পেঁৗছে যাচ্ছে। সাধারণত বিভিন্ন কোম্পানি, সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমর্কতার্-কমর্চারীদের বেতনভাতা ও অন্যান্য আথির্ক সুবিধা পরিশোধের জন্য বিশাল কমর্যজ্ঞ করতে হয়। বেতন পরিশোধের জন্য সাত আট দিন আগে ব্যাংকে গিয়ে ডিডি অথবা পেমেন্ট অডার্র বানাতে হয়। সেই ডিডি বা পে-অডার্র সাধারণ ডাকে নয় রেজিস্টাডর্ অথবা কুরিয়ার সাভিের্সর মাধ্যমে প্রাপকের ঠিকানায় পাঠাতে হয়। এর জন্য একটা বাড়তি খরচ যেমন রয়েছে তেমনি সময়ের ব্যাপারও রয়েছে। এ ছাড়া পথে হারিয়ে যাবারও ঝঁুকি রয়েছে। কিন্তু ইএফটিএন ব্যবস্থায় এখন মাসের ৩০ তারিখে বা ১ তারিখে বেতন পরিশোধে ব্যাংকে শুধু একটি মেইল করলেই এক দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগী প্রাপকের হিসাবে টাকা জমা হয়ে যাচ্ছে। একাজে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কতৃর্পক্ষকে তেমন চাপ বহন করতে হচ্ছে না, ব্যাংকে ছুটোছুটি করতেও হচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাভাের্র ত্রæটির ফলে গত ফেব্রæয়ারি থেকে আরটিজিএস ব্যবস্থায় লেনদেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। গত জুলাইয়ে এটা ঠিক হলেও এখন পযর্ন্ত লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে সৃষ্ট আতঙ্কভাব কাটেনি। ফলে এ ব্যবস্থায় লেনদেন অনেক কমে এসেছে। গত আগস্টে আরটিজিএসে ৭৬ হাজার ১৯২টি লেনদেনের বিপরীতে ৩৩ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা পরিশোধ হয়েছে। সমস্যা শুরুর আগের মাস গত জানুয়ারিতে মোট ১ লাখ ১২ হাজার লেনদেনের বিপরীতে পরিশোধ হয়েছিল এক লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। অবশ্য সমস্যা শুরুর পর ফেব্রæয়ারিতে লেনেদেন কমে ১৫ হাজার ৩৫০ কোটি টাকায় নেমেছিল। মাচের্ আরো কমে হয়েছিল মাত্র ৮ হাজার ১৪২ কোটি টাকা। সে তুলনায় লেনদেন কিছুটা বাড়লেও এখন পযর্ন্ত আগের অবস্থায় ফেরেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, দেশের ৫৫টি ব্যাংক বতর্মানে ৫৫টি আরটিজিএসে যুক্ত। এসবের ব্যাংকের ১০ হাজার ৫৮ টি শাখার মধ্যে এ ব্যবস্থায় লেনদেন করছে ৭০০ শাখা। দ্রæত লেনদেন নিষ্পত্তির সবার্ধুনিক প্রযুক্তির আরটিজিএস ব্যবস্থার বাইরে থাকা শাখার অধিকাংশ রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকের। দ্রæততম সময়ে এসব শাখাকে আরটিজি এসে অন্তভুর্ক্ত করার নিদের্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরটিজিএস-এর মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক এবং আন্তঃ গ্রাহক লেনদেন বাড়ানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান শাখায় লেনদেন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি যেসব শাখা আরটিজিএস এবং ইএফটিএন সেবা দেওয়ার সক্ষমতা অজর্ন করেনি অবিলম্বে তাদের এ বিষয়ে উপযোগী ব্যবস্থা নিতে হবে। যে সব ব্যাংক এখনও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা চালু করেনি শিগগিরই চালু করে তাদের আরটিজিএস এ যুক্ত হতে হবে। ইলেকট্রনিক লেনদেন বিষয়ে ধারনা দিতে ব্যাংকের কমর্কতার্ এবং গ্রাহকদের জন্য আলাদা প্রশিক্ষন, সভা-সেমিনারের ব্যবস্থা করার নিদের্শ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে। এখন পযর্ন্ত বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বেশিরভাগ শাখা ইলেকট্রনিক পরিশোধ ব্যবস্থায় যুক্ত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এ সব ব্যাংককে সম্পূণর্ভাবে যুক্ত না করা পযর্ন্ত পুরো সুফল পাওয়া সম্ভব হবে না।

সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কমর্কতাের্দরও মাসিক বেতনভাতা, বোনাস এখন ইএফটিএনের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে বতর্মানে। আগে এসব বেতন-ভাতা পরিশোধে লাখ লাখ চেকের পাতা ব্যবহৃত হতো প্রতি মাসে, আর চেকগুলো লিখতেও প্রচুর শ্রমঘন্টা ব্যয় হতো, এখন তা হচ্ছে না। এতে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অথর্ও। সরকারি কমর্কতাের্দর বেতন পরিশোধ, বিভিন্ন কেনাকাটা, উন্নয়ন ব্যয়ের অথর্ পরিশোধে ইএফটিএনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে কোটি টাকারও বেশি অথর্ স্থানান্তর হচ্ছে। এর মধ্যে সিংহভাগ অথর্ বেতন পরিশোধের জন্য স্থানান্তর হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইএফটিএন গুরুত্বপূণর্ এক ভূমিকা পালন করছে সন্দেহ নেই। দেশের পেমেন্ট সিস্টেমে নতুন এক বিপ্লবের সূচনা হয়েছে এর মাধ্যমে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, ইন্সিওরেন্সের প্রিমিয়াম পরিশোধ, তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ, সরকারি কর পরিশোধসহ নানা ধরনের প্রয়োজনীয় আথির্ক লেনদেন ইএফটিএনের মাধ্যমে চমৎকারভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।

যারা শেয়ারের আইপিও বা প্রাথমিক শেয়ারের আবেদনে লটারি হওয়ার পর লটারিতে শেয়ার পাননা, তাদের জন্য আগে কোম্পানিগুলোতে বিপুল কমর্যজ্ঞ সারতে হতো। প্রত্যেকের জন্য রিফান্ড ওয়ারেন্ট বা এক ধরনের চেক তৈরি করে ডাকযোগে তা পাঠাতে হতো বা আবেদনকারীকে দিতে হতো। আবেদনকারী সেই রিফান্ড ওয়ারেন্ট নিয়ে গিয়ে নিজ ব্যাংক হিসাবে জমা করতেন। তারপর প্রায় একসপ্তাহ বা তারও বেশি সময় পর আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে এসে রিফান্ড ওয়ারেন্টের টাকা জমা হতো। কিন্তু এখন ইএফটিএন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর কোম্পানি তার ব্যাংকে একটি তালিকা তৈরি করে দিয়েই কাজটি সারতে পারছে খুব দ্রæত এবং সহজেই। মাত্র একদিনেই আবেদনকারীর হিসাবে প্রাপ্য অথর্ পেঁৗছে যাচ্ছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির লভ্যাংশপত্র ও রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণের ক্ষেত্রে ইএফটিএন ব্যবস্থা প্রক্রিয়াটিকে অনেক সহজ করে তুলেছে। তবে কিছু জটিলতার কারণে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর রিফান্ড ওয়ারেন্ট বিতরণের ক্ষেত্রে এ সুবিধা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে না।

অথৈর্নতিক কমর্কাÐে যতবেশি গতিশীলতা আনা যায় সামগ্রিক অথর্নীতিতে এর অনুকুল একটা প্রভাব পড়ে। ডিজিটাল ট্রান্সফার এর মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের অথর্ পরিশোধ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার পাশাপাশি গতিশীলতা আনা অনেকটাই সম্ভব। এ কাজে ব্যাংক, আথির্ক প্রতিষ্ঠানসহ বীমা, সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলো বতর্মানে ডিজিটাল ট্রান্সফারকে বেছে নিচ্ছে। এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি প্রমান করে ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুযোগ সুবিধাগুলো জনজীবনে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। আগামী দিনগুলোতে দেশের সামগ্রিক অথৈর্নতিক কমর্কাÐে ডিজিটাল ব্যবস্থা আরও গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে।

রেজাউল করিম খোকন: ব্যাংকার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<18322 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1