শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সমৃদ্ধ অথর্নীতির স্বাথের্ ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে হবে

বিদ্যমান সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি প্রয়োজন। এটি এখন জাতীয় পযাের্য়র প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। যাতে সহজে ব্যবসা করার জন্য গুণগতমানের পরিবতর্ন হয়।
রেজাউল করিম খোকন
  ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

সম্প্রতি বিশ^জুড়ে ডুয়িং বিজনেস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ^ব্যাংক। এর মাধ্যমে কোন দেশে ব্যবসা করা কতটুকু সহজ, তা প্রকাশ পায়। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণে এই ডুয়িং বিজনেস সূচকে কোন দেশের কত অবস্থান তা বিবেচনায় রাখে। বিশ^ব্যাংকের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস বা সহজে ব্যবসা করার সূচকে মাত্র এক ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এবারের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬তম। যদিও এ সূচকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালে ডুয়িং বিজনেস সূচককে উন্নয়নের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে। তখন এ সূচকে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দুই অঙ্ক অথার্ৎ কমপক্ষে ৯৯তম অবস্থানে নিয়ে আসার লক্ষ্য নিধার্রণ করা হয়েছিল। এরপর দুবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ^ব্যাংক। গত ২০১৭ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের একধাপ অবনতি হয়েছিল, এ বছর অথার্ৎ ২০১৮ সালে এক ধাপ উন্নতি হলেও কাযর্ত অবস্থান একই রয়েছে। মোট ১০টি ভিত্তির ওপরে বিশ^ব্যাংক ডুয়িং বিজনেস সূচকের র‌্যাঙ্কিং করে। এগুলো হলো ব্যবসা শুরুর অনুমোদন, ভবন নিমাের্ণর অনুমতি, বিদ্যুৎ সংযোগ, সম্পত্তি, নিবন্ধন, ঋণপ্রাপ্তি, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা, কর প্রদান, বৈদেশিক বাণিজ্য চুক্তির বাস্তবায়ন ও দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়া। এর মধ্যে ব্যবসা শুরুর প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ৭ ধাপ পিছিয়ে ১৩৮, অবকাঠামো নিমাের্ণর অনুমতিতে ৮ ধাপ পিছিয়ে ১৩৮, ঋণের প্রাপ্যতায় ২ ধাপ পিছিয়ে ১৬১, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় ১৩ ধাপ পিছিয়ে ৮৯, বৈদেশিক বাণিজ্যে ৩ ধাপ পিছিয়ে ১৭৬, ব্যবসা গোটানোর প্রক্রিয়ায় ১ ধাপ পিছিয়ে ১৫৩ অবস্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ ৬ ধাপ এগিয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অবস্থান হয়েছে ১৭৯তম। এ ছাড়া বাংলাদেশ ভূমি নিবন্ধনে ২ ধাপ এগিয়ে ১৮৩তম ও কর পরিশোধে ১ ধাপ এগিয়ে ১৫১তম হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নের দিক দিয়ে কোনো উন্নতি হয়নি, অবস্থান আগের মতো ১৮৯তম। বিশ^ব্যাংকের হিসাবে, এ দেশে ব্যবসা শুরু করতে সাড়ে ১৯ দিন, নিমাের্ণর অনুমতি পেতে ২৮১ দিন, বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে ১৪৮ দিন, ভূমি নিবন্ধনে ২৬৪ দিন, চুক্তির বাস্তবায়নে ১ হাজার ৪৪২ দিন ও কোম্পানি গোটাতে ৪ বছর সময় লাগে।

বিশ^ব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর সহজে ব্যবসা করার সূচকে (ডুয়িং বিজনেস) আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের খারাপ অবস্থাকে লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর এ জন্য অথর্মন্ত্রী দায়ী মনে করেন দেশের আমলাতন্ত্র। বিশ^ব্যাংক যে ডুয়িং বিজনেস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছ তাতে দেখা যায়, ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আগের বারের চেয়ে এগিয়ে ১৭৬তম হয়েছে। প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে ভারত ২৩ ধাপ এগিয়ে ৭৭তম, পাকিস্তান ১১ ধাপ এগিয়ে ১৩৬তম এবং বাংলাদেশের পেছনে থাকা আফগানিস্তান এক লাফে ১৬ ধাপ এগিয়ে ১৬৭তম হয়েছে। বাংলাদেশের এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার জন্য আমলাতন্ত্রকে দায়ী করে অথর্মন্ত্রী অকপটে বলেছেন, আসলে বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র খুবই শক্তিশালী। আর আমলাদের মানসিকতার তেমন কোনো পরিবতর্ন হয় না। আগে যেমন ছিল এখনো তেমন রয়েছে। সহজে ব্যবসা করার সূচকে বাংলাদেশের যে সামান্য অগ্রগতি হয়েছেন তা আসলে কোনো অগ্রগতি নয়। এটা নিঃসন্দেহে হতাশাব্যঞ্জক। একই সময়ে আফগানিস্তানের মতো যুদ্ধবিধস্ত একটি দেশ এ ক্ষেত্রে ১৬ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের সামনে চলে গেছে। তেমন প্রেক্ষাপটে সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে, আমরা কি আসলে সহজে ব্যবসা করার সূচকে এগোতে চাই। বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সালে ডুয়িং বিজনেস সূচকে উন্নতির জন্য যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এ পযর্ন্ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার করা হয়েছে, তবে এ ক্ষেত্রে আরো কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তার বিস্তারিত পরিকল্পনা করেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজের অগ্রগতি কম। কেউ কেউ ক্ষমতা হাতছাড়া করতে চায় না।

সহজে ব্যবসা করার সুযোগ বা ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থা আক্ষরিক অথের্ই এক জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে। বিশ^ব্যাংকের ২০১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬তম। এটি এক ধাপ অগ্রগতি এ কারণে যে গত বছর এই সূচক ছিল ১৭৭, যা তার আগের বছরের চেয়ে দুই ধাপ নিচে। ১০০ নম্বরকে সবোর্ত্তম ধরে এবার বাংলাদেশের নম্বর দঁাড়িয়েছে ৪১ দশমিক ৯৭। আগের বছরে ছিল ৪১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ব্যবসা-বাণিজ্যের সহজ করার তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটি ১০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে ৮৬ দশমিক ৫৯। নিউজিল্যান্ডের পরে প্রথম পঁাচটি দেশের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গাপুর, ডেনমাকর্, হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১০০তম, ভুটান ৮১তম, নেপাল ১১০তম, মালদ্বীপ ১৩৯তম এবং পাকিস্তানের অবস্থান ১৩৬তম। হতাশার বিষয় হলো, আগের বছরের তুলনায় চলতি বছর বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়ে থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। ব্যবসা সহজীকরণের এ সূচকে এক বছর এক ধাপ এগোলেও পরের এক বছর পিছিয়ে যাওয়া যেন অনেকটাই রীতিতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা ও প্রশাসনিক কতার্ব্যক্তিরা বাংলাদেশ বিনিয়োগের আদশর্ স্থান বলে জোর গলায় প্রচার করে থাকেন। কেউ কেউ এটিকে ‘এশিয়ার নতুন ব্যাঘ্র’ আবার কেউ ‘ উন্নয়নের রোল মডেল’ হিসেবে অভিহিত করেন। বিভিন্ন খাতে বিদেশি বিনেয়োগ আকৃষ্ট করতে বিপুল পরিমাণ অথর্ খরচ করে বিদেশে ‘রোড শো’র আয়োজন করা হয়েছে অনেকবার। বাংলাদেশে যে শ্রম অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা তাও বিনোয়োগকারীদের অজানা নয়। তারপরও বেসরকারি খাতে কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ আসেনি বিদ্যমান বাধাগুলো দূর না হওয়ায়। নীতি-পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মধ্যে রয়েছে বিরাট ফারাক। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের (বিডা) নিবার্হী চেয়ারম্যান অনেকটা সাফাই গেয়ে বলেছেন, গত বছর বিনিয়োগ সুবিধা বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেগুলো প্রতিবেদনে আসেনি। সেগুলো এলে বাংলাদেশের অবস্থান আরো উপরের দিকে থাকতো। প্রশ্ন হলো, পদক্ষেপগুলো আগে নেয়া হয়নি কেন? তিনি আশাবাদী হয়ে বলেছেন, আগামী পঁাচ বছরে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ এর মধ্যে চলে আসবে। এ প্রসঙ্গে বলা যায়, ওই একই সময়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোও আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে।

ব্যবসা সহজীকরণের বাধাগুলো দূরীকরণে জাতীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সূচক উন্নতির জন্য বেশ কিছু সুপারিশও করেছে। সে অনুযায়ী কিছু পরিকল্পনাও গ্রহণ করা হয়েছে। এখন প্রয়োজন মাঠপযাের্য় এ পরিকল্পনাগুলো কাযর্কর বাস্তবায়ন। পরিকল্পনার কাযর্কর বাস্তবায়ন বরাবরই বাংলাদেশের সমস্যা। বাস্তবায়ন কাযর্কর করা না হলে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে না। আথর্-সামাজিক অবস্থার দিক থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুব বেশি পাথর্ক্য আছে বলে মনে হয় না। কিন্ত সহজে ব্যবসা করার সুযোগের ক্ষেত্রে দেশটি এক বছরে ২৩ ধাপ এগোতে পারলে আমরা কেন তার কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারছি না?

পরিকল্পনার কাযর্কর বাস্তবায়ন বরাবরই বাংলাদেশের সমস্যা। বাস্তবায়ন কাযর্কর না হলে র‌্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে না। যে দেশগুলো এ ক্ষেত্রে এগিয়েছে, দিকনিদের্শনাগুলো তারা মাঠপযাের্য় কাযর্করভাবে বাস্তবায়ন করেছে। বাস্তবায়নের গুণগতমান দক্ষতা ও গতি বাড়াতে পারলেই বাংলাদেশের উন্নতি কোনো কঠিন বিষয় নয়। এবারের ডুয়িং বিজনেস প্রতিবেদনে ব্যবসার বাণিজ্যিক বিরোধ মেটাতে প্রয়োজনীয় সময় ও ব্যয় এবং এ সংক্রান্ত আইনি পদ্ধতির গুণগত মানে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। শুধুই বিশ^ব্যাংক নয়, অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীসহ আরো অনেকেই বাংলাদেশের উন্নয়নে মন্থর গতি বা স্থবিরতার কারণ অনুসন্ধান করেছে। সুপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রক্রিয়ার আওতায় বিনোয়োগবান্ধব পরিবেশ তথা অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর দক্ষতা কাজে লাগানো গেলে আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির স্বপ্ন বাস্তবে রূপলাভ করবে; এ কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়। তবে সমস্যা হলো, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট, অবকাঠামোগত সমস্যা, দুনীির্ত আমলাতন্ত্রিক দীঘর্সূত্রতা এবং অন্যান্য কারণে শিল্প তথা ব্যবসার বিকাশ ঘটছে মন্থর গতিতে। বিনিয়োগ হচ্ছে নিরুৎসাহিত। প্রকৃত বিনিয়োগকারীদের পদে পদে বাধার মোকাবেলা করতে হয়। তাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার বেড়াজালে আটকা পড়তে হয়।

বাংলাদেশকে এখন খাত ও কাজ নিদির্ষ্ট করে সংস্কার আনতে হবে, যেমনটি করেছে আমাদের পাশর্^বতীর্ দেশগুলো। ব্যবসার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বিনিয়োগ সুরক্ষা, রাজনৈতিক পরিবেশের স্থিতিশীলতা ও ব্যবসাবান্ধব কর কাঠামো। এ ছাড়া ঋণের সহজ প্রাপ্তি সম্পত্তির মালিকানা লাভের প্রক্রিয়া, আধুনিক প্রযুক্তি, নতুন উদ্ভাবন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার অনুপস্থিতি দুনীির্ত ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ব্যবসার গুরুত্বপূণর্ শতর্। এ সব মানদÐের কোনোটিতেই ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। ব্যবসা শুরু ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিয়ে আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে। ওয়ানস্টপ সাভির্স চালু করা, অনলাইন সেবা বাড়ানোসহ সমস্যা সমাধানের অনেক রকম আশ^াসও দেয়া হয়েছে। আমাদের ব্যবসা করার পরিবেশ সৃষ্টিতে কোনো অগ্রগতি নেই, তাও বলা যাবে না। তবে সেই অগ্রগতি এতো নগণ্য যে সামাজিক পরিবেশ উন্নয়নে তা প্রভাব ফেলতে পারছে না। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার স্বপ্ন দেখছি। ২০২১ সালের মধ্যেই ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দুই ডিজিটে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু বতর্মান পরিস্থিতি আমাদের সেই লক্ষ্য পূরণ সম্পকের্ সংশয় সৃষ্টি করেছে সবার মনে। কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ ছাড়া লক্ষ্য পূরণ সম্ভবও নয়। সে ক্ষেত্রে সংস্কারকে বিনিয়োগ পরিস্থিতির উন্নয়নে আরো অনেক আন্তরিক মনোভাবাপন্ন হতে হবে। বিনিয়োগের বাধাগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রæত দূর করতে হবে, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও ঘুষ-দুনীির্ত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বিভিন্ন নিয়ন্ত্রণকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে সুশাসন নিশ্চিত করে অনিয়ম, দুনীির্ত স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, ঘুষ লেনদেন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

বতর্মানে বিদেশি বিনিয়োগ আকষের্ণর ক্ষেত্রে প্রায় সব দেশ একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। শুধু বিদেশি বিনিয়োগ নয়, দেশি বিনিয়োগের জন্যও ব্যবসার সহজ পরিবেশ থাকা প্রয়োজন। যাতে দেশি অথর্ দেশেই বিনিয়োগ হয়। সংস্কার কাযর্ক্রমের মধ্যে বেশ কিছু আইনগত পরিবতর্ন দরকার। সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে চুক্তি কাযর্করে। এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি উন্নতি করতে হবে। যে কোনো বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে আইনের সংস্কার প্রয়োজন। কিছু প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে পরিবতর্ন দরকার, বিশেষ করে, জমি নিবন্ধন, নিমার্ণ অনুমতি, কর প্রদান ও ইউটিলিটি সেবার ক্ষেত্রে। শুধু কেন্দ্রীয় সরকার পযাের্য় নয়, অনেক বিষয় স্থানীয় সরকার পযাের্য়ও আছে। বাস্তবায়ন যখন আরো ত্বরান্বিত হবে তখন সহজে ব্যবসার সূচকে উন্নতি দেখা যাবে। সব সূচকের ক্ষেত্রেই তিনটি বিষয় দেখা হয়। সহজে ব্যবসার ক্ষেত্রে কাজের প্রক্রিয়া কমিয়ে অহেতুক জটিলতার নিরসন করে ত্বরান্বিত প্রক্রিয়া চালু করা, কালক্ষেপণ না করা ও ব্যয় কমিয়ে আনা। অন্যান্য দেশে তুলনামূলকভাবে প্রক্রিয়া অনেক কম। লক্ষ্য অজের্ন আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। সমন্বয়হীনতা দূর করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়সমূহকে, এ ব্যাপারে আরো সজাগ হতে হবে। মোটকথা, বিদ্যমান সামগ্রিক অবস্থার উন্নতি প্রয়োজন। এটি এখন জাতীয় পযাের্য়র প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। যাতে সহজে ব্যবসা করার জন্য গুণগতমানের পরিবতর্ন হয়।

রেজাউল করিম খোকন: ব্যাংকার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<22205 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1