শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন

বতর্মান দেশে যে গণতন্ত্র রয়েছে সে গণতন্ত্রকে আরও বিকশিত করতে হবে, ঘটাতে হবে প্রসার। কেননা সুষ্ঠু গণতন্ত্র চচার্র মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। বহু দল মতে সমন্বয়ে গড়ে ওঠে গণতন্ত্র। সংবিধান অনুসারে প্রতি ৫ বছর পর দেশের নিবার্চন হয়। তবে আমাদের দেশে যে গণতন্ত্র ও নিবার্চনী ব্যবস্থা রয়েছে তা শতভাগ স্বচ্ছ এমনটা বলা যাবে না। তবুও সে গণতন্ত্রকে কীভাবে টেকসই উন্নত করা যায়, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখা এসব নিবার্চনের মাধ্যমে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তা অব্যাহত রাখার জন্য।

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে মহাজোটের মহাবিজয় হয়েছে। বলা যেতে পারে স্বাধীনতার পর শাসক দলের এ বিজয় অপ্রত্যাশিত। কিন্তু এ বিজয়কে ধরে রাখতে হবে। গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধা-সম্মান জানাতে হবে শাসক দলকে। মুক্তিযুদ্ধের আদশর্ ও চেতনার ওপর যে বাংলাদেশ দঁাড়িয়ে রয়েছে তার ভিতকে আরও শক্ত মজবুত করতে হবে। বিভিন্ন দল, আদশর্, মতের ব্যক্তিদের নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ায়, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সখ্যতা, সাংগঠনিক দুবর্লতায় তাদের নিবার্চনে ভরাডুবি হয়। জামায়াত প্রীতি এ দেশের সাধারণ জনগণ বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী দল আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের প্রতি সমথর্ন জানায়। তবে একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, নিবার্চনে কিছু অনিয়ম, কিছু বিচ্ছন্ন ঘটনা ঘটে যাতে সহিংসতায় প্রায় ১৪ জনের মৃত্যু ঘটে যা খুবই দুঃখজনক। রাজনীতিতে হানাহানি, দ্ব›দ্ব সংহাত, সহিংসতা এ নেতিবাচক দিকগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই একটি অংশে পরিণত হয়েছে। যাহোক, মহাজোটের এ বিশাল ব্যবধানে বিজয় প্রকৃত পক্ষে জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। জনগণের সে প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি দলীয় নেতাকমীের্দর সংযত হওয়া দরকার। সব রাজনৈতিক দলকে আস্থায় ফেরাতে হবে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, দুনীির্ত দমনই হবে সরকারের প্রধান কাজ। সামাজিক নানা অনাচার, বৈষম্য দূরীকরণ, আইনের শাসন, ন্যায়-বিচার সামাজিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত অসাম্প্রদায়িক, সুখীসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান কাজ।

যা হোক ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে স্বাধীন বাংলাদেশর যাত্রা শুরু হয়েছিল তা নানা পথপরিক্রমায় দেশটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের পথে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে বাংলাদেশের অথর্নীতি সমৃদ্ধির পথে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বহিবিের্শ্ব বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশংসা অজর্ন করেছে। মানুষের জীবনযাত্রা উন্নতির পথে। গড় আয়ু বেড়েছে, কমেছে শিশু মৃত্যুর হার। মানুষের আয় বেড়েছে। এক সময় উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় মঙ্গা নামক শব্দটি জনগণ ভাগ্যের লিখন বলে মনে করলেও সে উত্তর জনপদে মঙ্গার অস্তিত্ব আর নেই। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কমর্কাÐ ও সুষ্ঠু কমর্পরিকল্পনায় দেশ এখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে। কৃষি, শিল্প, শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বহিবিের্শ্ব প্রশংসা অজর্ন করলেও নারী নিযার্তন বন্ধ হয়নি। প্রতি বছর শিক্ষার হার বাড়ছে। শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি হলেও দক্ষ মানবসম্পদ এবং শিক্ষার মান নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন রয়েছে। কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। অধিক খাদ্য উৎপাদনের ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন। কৃষি উপকরণের সহজলভ্য ও প্রাপ্ততায় কৃষি উৎপাদন দ্বিগুণ হলেও অধিকাংশ সময় কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হলে তাদের মধ্যে বলতে দ্বিধা নেই এক ধরনের অস্বস্তি রয়েছে। কৃষকরা রোদ, বৃষ্টি, ঝড় উপেক্ষা করে ক্ষেত খামারে দিন-রাত পরিশ্রম করে ফসল ফলায়। তারা ন্যায্য মূল্য পাবেন না বিষয়টি দুঃখজনক। তাই কৃষিপণ্যের নায্যমূল্য নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব ও কতর্ব্য। তা না হলে আমাদের কৃষক সমাজের উন্নয়ন হবে না। কারণ বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম। এ খাতের উন্নয়ন হলেও এ খাতের সঙ্গে যারা জড়িত সে অবহেলিত কৃষক সমাজের তেমন উন্নয়ন ঘটেনি। তাই কৃষকের স্বাথর্ রক্ষা করতে হবে। বতর্মান সরকারের আমলে খাদ্যের স্বয়ংসম্পন্নতার যে ইতিহাস রচিত হয়েছে এর সিংহভাগ কৃতিত্ব কৃষক সমাজের। ফলে ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে দেশের অথর্নীতির ধরন। কৃষির উন্নয়নের সঙ্গে শিল্পের উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে কৃষিভিত্তিক অথর্নীতির সঙ্গে শিল্পভিত্তিক অথর্নীতির পথে হঁাটছে বাংলাদেশ। এ অবস্থাকে বাংলাদেশের অথর্নীতি অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য বিশ্ব ব্যাংকের।

এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, এ দেশের মানুষ খুবই কষ্টসহিষ্ণু তারা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রাণান্তর চেষ্টায় তারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। দেশ-বিদেশে নানা কাজে নিয়োজিত থেকে অথর্ উপাজের্নর মাধ্যমে দেশের অথর্নীতির চাকাকে সচল রাখছে। তাই বাংলাদেশের অথর্নীতির প্রাণভোমরার ভ‚মিকায় পালন করছে বিদেশে কমর্রত প্রায় ৮০ লাখ কমর্জীবী নারী-পুরুষ। তাদের প্রেরিত অথর্ বৈদেশিক মুদ্রার রিজাভের্ক ভারী করছে। শত প্রতিক‚লতার মধ্যেও বাংলাদেশকে সোজা হয়ে দঁাড়ানোর শক্তি জোগাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কমর্রত শ্রমিকরা তাদের পাঠানো অথর্ এক দিকে তাদের পরিবারকে স্বাচ্ছন্দ্যে রাখছে, অন্যদিকে বাংলাদেশের অথর্নীতির ভিত মজবুত হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জনশক্তি রপ্তানিতে যেসব দেশে নিয়মকানুন বা বাধা-বিপত্তি রয়েছে তা দূর করে জনশক্তি রপ্তানিতে স্বচ্ছতার প্রতিষ্ঠার যে প্রয়াস চলছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। কেননা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে তাদের কমর্প্রচেষ্টা ও বৈদেশিক অথর্ গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা পালন করছে। যে বাংলাদেশকে এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আর এই বাংলাদেশ সেই বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশ এখন সমৃদ্ধির পথে। বিদেশে কমর্রত শ্রমিকরা বা চাকরিজীবীর আয় বাংলাদেশের প্রতিমাসে বৈদেশিক মুদ্রা আসে ১০০ কোটির মতো। বতর্মান বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। এ বিপুল জনগোষ্ঠীকে যদি প্রকৃত শিক্ষা, মনন, মেধায় গড়ে তোলা যায় তাহলে তারা হবে দেশের সম্পদ। কারণ মানুষের শ্রম মেধা কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি সম্ভব। তাই বিপুল জনগোষ্ঠীকে যদি সত্যিকার অথের্ দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করা যায় তাহলে বাংলাদেশ দ্রæত উন্নত রাষ্ট্রের সারিতে পেঁৗছে যাবে। এজন্য প্রয়োজন একটি সুচিন্তিত মানবসম্পদ উন্নয়ন নীতিমালা এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তিনিভর্র কারিগরি শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে আত্মকমর্সংস্থানের পথ তৈরি করা।

কৃষিশিল্প, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগোচ্ছে। গ্রামীণ অবকাঠামো নিমার্ণ, রাস্তাঘাট, যোগাযোগব্যবস্থার প্রকৃত উন্নয়ন ঘটছে। স্বাধীনতার ৪৬ বছরে দেশের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিন্নি স্থানে বড় বড় প্রকল্পগুলোর কোনোটির বাস্তবায়ন হয়েছে কোনোটি বাস্তবায়নের পথে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পথে। আমাদের বহু প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু প্রকল্প নিজস্ব অথার্য়নে এখন বাস্তবায়নের পথে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ একটি শক্ত অবস্থানে দঁাড়াবে এবং জাতি হিসেবে এটা আমাদের গবর্। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ অগ্রযাত্রা এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত, বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পা দিয়েছে। প্রায় অথৈর্নতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অজর্ন করেছে। ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, পুষ্টিহীনতা দূর করা ও দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনার দিক থেকে শক্তিশালী ভারত পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। তবে কোনো কোনো পরিসংখ্যান উন্নয়নের ইতিবাচক চিত্রের প্রমাণ দিলেও কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেকারত্ব। বেকারত্বের মূল কারণ কমর্সংস্থানের অভাব। তাই শিক্ষিত বেকারদের কমর্সংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কেন না আন্তজাির্তক শ্রম সংস্থা (আইএলও) রিপোটির্ট আমাদের আশাহত করে। ওই সংস্থাটি জানিয়েছে, এ দেশের যুব বেকারত্ব বেড়েছে। ফলে কমর্সংস্থান বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে। কমর্সংস্থান সৃষ্টির ধীর গতি বেকারত্বের হারকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের রিপোটের্ জানা যায়, এ দেশের বতর্মান যুবক (১৫-২৯ বছর) বয়সীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১০.৩ শতাংশ। ৪১ শতাংশ যুবক কোনো কাজে সম্পৃক্ত নেই। এদিকে আইএলও হিসেব মতে দেশের যুবশক্তির ১১ শতাংশ হলো বেকার। ৪৩ শতাংশ তরুণ ও প্রাং ৪২ শতাংশ তরুণীর কোনো স্থায়ী কমর্সংস্থান নেই। আবার দেশের আদম শুমারী ও গৃহ গণনার পরিসংখ্যান থেকে বেকার যুবকদের (১৫-২৯ বছর) বয়সী মোট সংখ্যা হলো প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ। তাদের মধ্যে বেকারের সংখ্যা বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুুযায়ী ৪২ লাখ ২৩ হাজার এবং আইএলও এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ৪৫ লাখ ১০ হাজার। যা হোক দেশ-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার জরিপ বা রিপোটের্ উন্নয়নের ভিন্নতা বা তারতম্য এবং কিছু প্রতিবন্ধকতা লক্ষ্য করা গেলেও অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার মধ্যেও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে নেই, যা বাস্তব ও দৃশ্যমান।

আমরা দেশের উন্নয়ন চাই, গণতন্ত্র চাই। এ নিয়ে কোনো বিতকর্, দ্বিধা-দ্ব›েদ্বর অবকাশ নেই। আমরা উন্নয়ন চাই এ কথা যেমন ঠিক। তেমনি সুষম সমতাভিত্তিক উন্নয়ন চাই। প্রকৃত উন্নয়ন ঘটাতে হবে গ্রামীণ অথর্নীতির। প্রান্তিক চাষি, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও কৃষকের স্বাথর্ রক্ষা করতে হবে। ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন সাবর্জনীন হবে না। যারা খাদ্যের যোগানদাতা তাদের সমস্যা অনুধাবন করতে হবে। কৃষক চায় তাদের ফসলের ন্যায্যমূল্য। তাই শুধু কৃষি উপকরণের সহজ লভ্যতায় নয় ধান, চাল, আলুসহ কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্য কৃষক যেন পায় তাদের যেন লোকসান গুনতে না হয় সেদিকে সরকারকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। সরকারকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রান্তিক কৃষক, গ্রামীণ জনগোষ্ঠী তথা কৃষক সমাজের মুখে হাসি ফুটাতে না পারলে সরকারের উন্নয়ন ঢাকা পড়ে যাবে। তাই সরকারকে অবশ্যই সুষম ও সমতাভিত্তিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। অতি সম্প্রতি সিপিডির এক সমীক্ষায় দেখা যায়, সমাজের উঁচু স্তরের ৫ শতাংশ মানুষ নিচু স্তরের ৫ শতাংশ মানুষের চেয়ে ১২১ গুণ আয় বেশি করে। এ ধরনের বিরাট ধন বৈষম্য গণতন্ত্র ও ন্যায়-বিচারের পরিপন্থি। এর প্রতিরোধ করতে গেলে অবশ্যই ঘুষ, দুনীির্ত রোধ করতে হবে। ঘুষ, দুনীির্ত সমাজের সাধারণ মানুষ করে না। বঙ্গবন্ধু তার শাসনামলে একবার বলেছিলেন, এ দেশের কৃষক তো দুনীির্ত করে না, দুনীির্ত করে সমাজের শিক্ষিত উপরতলার মানুষ। বঙ্গবন্ধুর এই উক্তিটি বতর্মান সামাজিক, রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে অস্বীকার কোনো উপায় নেই।

বতর্মান দেশে যে গণতন্ত্র রয়েছে সে গণতন্ত্রকে আরও বিকশিত করতে হবে, ঘটাতে হবে প্রসার। কেননা সুষ্ঠু গণতন্ত্র চচার্র মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

তাই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বাথের্ সন্ত্রাস, চঁাদাবাজি, ঘুষ, দুনীির্ত কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। দেশের উন্নয়নে সামাজিক স্থিতিশীলতা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি সামাজিক ন্যায়-বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সবোর্পরি স্বাধীনতায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়।

মোহাম্মদ নজাবত আলী : শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<30865 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1