বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন বছরে নতুন সরকার: সম্ভাবনা ও প্রত্যাশা

নতুন সরকারকে প্রান্তিক মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে আয়-রোজগারমুখী করতে হবে। সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গণমানুষের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ববোধকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ আজ সময়ের দাবি। সুশাসন ও জবাবদিহিতাকে প্রাতিষ্ঠানীকরণের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। আর তা হলে নতুন বছর হবে অথর্ময় ও তাৎপযর্পূণর্।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

মহাকালের কাছে একটি বছর খুবই সামান্য বিষয়। সামান্য হলেও মহাকালের কাছে সে অসামান্য হিসেবে প্রতিভাত হতে পারে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ, স্মরণীয়-বরণীয় মানুষরা এই মহাকালের আবতর্ন প্রক্রিয়ায় তাদের বিশেষ অবদানের জন্য পৃথিবীতে বরণীয় ও স্মরণীয় হয়ে উঠেছেন। গৌরব ও মহিমা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই সময় বা কালের সবাির্ধক ব্যবহার প্রয়োগে পৃথিবীর অনেক জাতি গৌরবের আসনে আসীন হয়েছেন। আবার অনেকেই কালিমা লিপ্ত হয়েছে। সময় বা কালের অনুগ্রহ প্রাপ্তি কোনো করুণার বিষয় না। বড় প্রাপ্তিকে বড় ইচ্ছাশক্তি দিয়ে, উদারতা, বদান্যতা এবং ত্যাগ, তিতিক্ষা, আর নিষ্ঠার আচার দিয়ে অজর্ন করতে হয় এবং তাকে ধরে রাখতে হয় ও যতœবান হতে হয়। আর এই জন্য কোনো ব্যক্তি, জাতি, রাষ্ট্র যদি কোনো রকমের দীনতা ও হীনম্মন্যতার শিকার হয়, তাহলে প্রকৃতির প্রাকৃতিকভাবে পরাজিত হয়ে নিষ্পন্দ জীবনকে মানিয়ে নিতে হয়।

পরিবতের্নর হাওয়া বইছে বিশ্বজুড়ে। সামনে থেকে এই পরিবতের্ন নেতৃত্ব দিচ্ছে তরুণ প্রজন্ম। সত্য ও সুন্দরের পক্ষে, সবার জন্য বাসযোগ্য এক পৃথিবী নিমাের্ণর লক্ষ্য নিয়ে তারুণ্যের আপসহীন পথ চলা। যদি আমাদের দেশের প্রসঙ্গে আসি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গজের্ ওঠা তরুণ্যের কথা ভুলে যাওয়ার নয়। বিষয়টি কিছুটা পুরনো হলেও এর প্রভাব আজও চলমান। এ কথাও বলা যায় নিঃসন্দেহে, বতর্মান এবং ভাবীকালের শাসকদেরও তারুণ্যের এই শক্তি এবং চেতনাকে বিবেচনায় নিতেই হবে দেশ শাসন করতে চাইলে। এরই ধারাবাহিকতায় নিরাপদ সড়ক ও ন্যায় বিচারের দাবিতে পথে নেমে আসা তারুণ্য কঁাপিয়ে দিয়েছে সারাদেশ। রাজপথ দখলে নিয়ে কারও রক্তচক্ষুর তোয়াক্কা না করে আইনের যথাযথ প্রয়োগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তারা। এই তারুণ্যই আমাদের অহঙ্কার।

সংসার সাগরে সুখ দুঃখ তরঙ্গের খেলা

আশা তার একমাত্র ভেলা।

এই ভেলার প্রতীকী অথর্ আছে। জ্ঞানীজন ও গুণীজনরা তার ব্যাখ্যা জানেন। বিগত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার যে নৌকা প্রতীকে ভর করে এবং নৌকার যে কয়জন চালক, মাঝি-মাল্লারা যেভাবে হাল ধরে বাংলাদেশকে পরিচালনা করেছেন, তা বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে। যোগাযোগ, প্রযুক্তি, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবায় মানুষের জীবনমান অনেক এগিয়ে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। বিদায়ী বছরে এ খাতে প্রত্যাশার চেয়েও প্রাপ্তি ছিল বেশি। সাহসী সিদ্ধান্ত ও দীঘর্ প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে অবশেষে মহাকাশে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের প্রথম যোগাযাগ ও স¤প্রচার স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’। এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শহর ও গ্রামের বৈষম্য দূর হবে। বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। চলতি অথর্বছর শেষে তথ্য ও প্রযুক্তি রপ্তানি খাতে ১ বিলিয়ন ডলারের আয় অজির্ত হবে বলে আশা করছে খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশে সম্ভাবনার আলোচনা এখন বিশ্বজুড়ে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের আগেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণ হবে।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বতর্মান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পযর্ন্ত গত ১০ বছরে সব সামাজিক সূচক উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় মাথা পিছু আয় বেড়েছে ১৪৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। গত ২০০৮-০৯ অথর্বছরে ৭০৩ মাকির্ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৭-২০১৮ অথর্বছরে ১ হাজার ৭৫১ মাকির্ন ডলারে দঁাড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, কাযর্কর পদক্ষেপ এবং দীঘের্ময়াদি নীতি প্রণয়নের ফলে গত ১০ বছরে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, খাদ্য উৎপাদন, রেমিট্যান্স, মুদ্রাস্ফীতি, আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন আথর্-সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধিতে। প্রবৃদ্ধির এই সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। দেশে দ্রæত দারিদ্র্য হ্রাস পাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র্য সম্পূণর্ভাবে দূর করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সরকারি উদ্যোগে কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দারিদ্র্যতার হার ২০০৯ সালের ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ২০১৮ সালে হয়েছে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। অতি দারিদ্র্যের হার ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। অথর্মন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যশূন্য দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ একদিন মাথা উঁচু করে দঁাড়াবে। শুধু তাই নয়, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন ২০৩০ এবং ২০৪০ সালের মধ্যে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে পেঁৗছে যাওয়ার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের।

বতর্মান সরকার সামাজিক সুরক্ষার আওতা বাড়াতে প্রান্তিক পযাের্য়র মানুষদের কাছেও উন্নয়নের সুফল পেঁৗছে দিয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের শিক্ষা লাভের সহায়তা হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বতর্মান সরকার শিক্ষা উপবৃত্তি কমর্সূচি চালু করেছে। বতর্মানে দেশের ৯০ হাজার প্রতিবন্ধী প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পযর্ন্ত ৫০০-১২০০ টাকা পযর্ন্ত মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি পাচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরছাড়া ছিন্নমূল মানুষকে সরকারি উদ্যোগে বাড়ি করে দেয়া হচ্ছে। তৃণমূল পযাের্য় বিদ্যুৎ পেঁৗছে যাওয়া ও পযার্য়ক্রমে সব রাস্তাঘাট পাকা হওয়ার কাযর্ক্রম শুরু হওয়ায় গ্রামেই নাগরিক জীবনের সুবিধা পাচ্ছে সাধারণ মানুষ। স্মাটের্ফানের একটি ম্যাসেজে পাওয়া যাচ্ছে ‘উবার পাঠাও’র মতো বেসরকারি পরিবহন সেবা। দরদাম ছাড়াই সুনিদির্ষ্ট ভাড়ায় নিদির্ষ্ট গন্তব্যে পেঁৗছে যাচ্ছে নগরবাসী। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীরা পেনশনের টাকা পান মোবাইল ফোনে। এজি অফিসে গিয়ে এখন আর তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দঁাড়িয়ে থাকতে হয় না। সঞ্চয়পত্রের লাভের টাকা নিদির্ষ্ট তারিখে চলে যায় ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা ঘরে বসে মোবাইল ফোনে ভাতা পাচ্ছেন। রয়েছে অনলাইন কেনাকাটার ব্যবস্থা। পোশাক, খাবারদাবারের পাশাপাশি দেশে কোরবানির গরু পযর্ন্ত এখন অনলাইনে বেচাবিক্রি হয়ে থাকে। ডিজিটাল বিপ্লব বা চতুথর্ শিল্প বিপ্লবের বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের বিস্ময় হয়ে উঠছে। শহরের চাকরিজীবী থেকে গ্রামের কৃষক পযর্ন্ত উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করছেন।

উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে বতর্মান সরকার সবর্ত্র ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকষের্ণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতুসহ দশ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে সরকারের আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি ব্যয়ের খাতও বেড়েছে। আগামী ২০১৯-২০ অথর্বছরের জন্য সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। যদিও ২০০৭ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার সময় দেশের বাজেট ছিল মাত্র ৬৮ হাজার কোটি টাকা। লোডশেডিংয়ের বাংলাদেশে তখন বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল মাত্র আড়াই থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু বিগত ১০ বছরে সেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়ে দঁাড়িয়েছে ১৯-২০ হাজার মেগাওয়াট। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে ১০০টি অথৈর্নতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। গ্যাস সংকট সমাধানে এলএনজি আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দ্রæত পায়রা পোটের্র কাজ এগিয়ে চলছে। ঢাকার যানজট কমাতে মেট্রোরেলসহ একাধিক ফ্লাইওভার নিমার্ণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় পাতাল রেল চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে ঢাকার যানজট দূর হবে। শুধু তাই নয়, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণবঙ্গে ব্যাপক শিল্পায়ন হবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বতর্মান সরকার ধাবারাহিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। একাদশ জাতীয় নিবার্চনী ইশতেহারে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ নামে একটি উন্নয়ন দশর্ন দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। এটি খুবই ভালো ও সময়োপযোগী উদ্যোগ। দেশের প্রবৃদ্ধি এখন ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রবৃদ্ধি দুই ডিজিটে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। প্রবৃদ্ধির এই সুফল সবার কাছে পেঁৗছাতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে বিনিয়োগ ও কমর্সংস্থান। ইতোমধ্যে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হচ্ছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স দেশের অথর্নীতির জন্য বড় বিষয়। এ জন্য নতুন বাজার অনুসন্ধান করার পাশাপাশি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও নতুন নতুন পণ্য উৎপাদনে যেতে হবে।

নতুন সরকারকে প্রান্তিক মানুষের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে আয়-রোজগারমুখী করতে হবে। সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গণমানুষের প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ববোধকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ আজ সময়ের দাবি। সুশাসন ও জবাবদিহিতাকে প্রাতিষ্ঠানীকরণের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। আর তা হলে নতুন বছর হবে অথর্ময় ও তাৎপযর্পূণর্।

ক্লেদ ও আবজর্নামুক্ত বাংলাদেশ গঠনেই হচ্ছে আমাদের তরুণদের স্বপ্ন। তরুণদের এই স্বপ্ন ভঙ্গ হলে জাতির সঙ্গে প্রতরণা করা হবে। জাতির প্রতারণাকারীদের কখনই ক্ষমা করবে না। নতুন বছরের বাংলাদেশ হবে সূযের্র উজ্জ্বলতায় ঝলমলে এক বাংলাদেশ। হাসিখুশির এক বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ত্যাগী নিঃস্বাথর্ নেতার মাধ্যমেই বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ। নতুন বছর হোক উন্নয়ন ও সম্ভাবনাময়। সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হোক নতুন আশায়। আলোকিত হোক সমাজ, মুছে যাক ঝরা-খড়া আর দূর হোক রোগ-ব্যাধি, মৃত্যু-ক্ষুধা।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ: লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<31022 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1