শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষা

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিদ্যমান ব্যাপক গণদারিদ্র্যই যে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কমর্সূচি সফল করার পথে প্রধান বাধা সে সম্পকের্ কারও দ্বিমতের অবকাশ নেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্যান্য আরও অনেক বাধা রয়েছে। এসব বাধার মধ্যে কুসংস্কার বা পশ্চাৎপদ চিন্তাধারা এবং অভিন্ন শিক্ষাব্যবস্থার অভাব । কুসংস্কারের ফলে কোনো কোনো অভিভাবক সামথর্্য থাকা সত্তে¡ও সন্তানদের আধুনিক বিদ্যালয়ে না পাঠিয়ে মক্তবে বা ব্যক্তিগগতভাবে মৌলভির কাছে লেখাপড়া শেখাতে পাঠায়। কেউ কেউ আবার ছেলেদের সামান্য কিছু লেখাপড়া শেখাতে চাইলেও মেয়েদের তা শেখানো একবারে অপ্রয়োজনীয় মনে করে।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

শিক্ষা বিস্তার ও মানবসম্পদ বিকাশের ওপর যথেষ্ঠ গুরুত্বারোপ করা সত্তে¡ও এই দুই ক্ষেত্রে অথর্বহ বা লক্ষ্যণীয় কোনো উন্নতি সাধিত হয়েছে বলে কোনো জাতীয় সরকার বা আন্তজাির্তক মহল দাবি করতে পারেনি। জাতীয় বা আন্তজাির্তক মহলগুলোর কারো প্রয়াস বা প্রচেষ্টাই আন্তরিক নয়। শ্রæতিমধুর বুলির আড়ালে দরিদ্রদের ফঁাকি দিয়ে বিশ^দারিদ্র্য বজায় রাখা এবং এর বিস্তার সাধনই তাদের আসল লক্ষ্য। এ জন্য অত্যন্ত ঘনবসতিপূণর্ উন্নয়নশীল বাংলাদেশে এখনও একজন ডাক্তারের পেছনে রয়েছে ছয়জন সৈন্য। অথার্ৎ ভয়াবহ দারিদ্র্য ও রোগকাতর যে বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য একজন মাত্র ডাক্তার প্রয়োজন বলে বিবেচিত সেখানে সমসংখ্যক মানুষের জন্য ছয়জন সৈন্য রাখা জরুরি মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন বাহিনীর এই সৈনিকরা যদি উন্নত মানবসম্পদের চরম পরাকাষ্ঠা হয়ে থাকে, তবে তারা কিভাবে কতখানি দেশ উন্নয়নে সহায়তা করছে সেটাও বিগত দিনে তুলে ধরা হয়নি। এই খাতে ক্রমবধর্মান হারে বেশি ব্যয় বরাদ্দ করা হচ্ছে। এদিকে যাদের আয়কে মূলত ভিত্তি করে ক্রমাগত জাতীয় আয় বৃদ্ধির হিসাব দেখানো হয় তাদের অনেকেই তা নয়। তাদের অধিকাংশই বরং গহির্ত পন্থায় কালো অথর্-বিত্তের অধিকারী। যারা সবর্ক্ষণ উৎপাদনের চাকা চালিয়ে নিচ্ছে তাদের শ্রমের সব ফসল লুটে নিয়ে গড়ে উঠা পরগাছা শ্রেণিগুলো হয়ে উঠেছে উন্নত মানবসম্পদের অধিকারী সম্মানিত লোক। অথচ হাজারো প্রতিক‚লতা ডিঙিয়েও যারা কমবেশি উন্নত মানবসম্পদের অধিকারী হয়েছে তাদের এখানে কোনো দাম নেই। এটাই স্বাভাবিক। বাস্তবে উন্নত আদশের্র অনুসরণ ছাড়া উন্নত মানবসম্পদ সৃষ্টি কিংবা দেশের অগ্রগতি সাধন সম্ভব নয়। এখানে বড় বড় নীতি বাক্যের কলরব ও মন ভোলানো অনন্ত ওয়াদা প্রায় সবর্ক্ষণ কানে লাগে। কিন্তু সে সবের বাস্তব অনুশীলনের অনুপস্থিতিটা চোখে পড়ে সহজে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় ভেতরের দৈন্য বা কষ্ট ঢাকার জন্যই যেন সবাই মিলে আতর্নাদ করে চলেছে সুন্দর ¯েøাগান ও অঙ্গিকারের লোভনীয় মোড়কে। যেখানে দৈন্য যত বেশি সেখানে শূন্যগভর্ মোড়কের ব্যবহারও তত বেশি। সে মাত্রায় ফঁাকির শিকারও হয় সরলপ্রাণ জনগণ।

দক্ষিণ এশিয়ায় ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠা হলেও সাধারণের জন্য শিক্ষার বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি। প্রকৃতপক্ষে ১৮৩৫ সালে মেকলের ভারতে শিক্ষা ব্যবস্থা পুনগর্ঠন নীতি এই অঞ্চলে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিকৃষ্ট বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। একটি বিকৃত এবং দ্বিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হয়েছিল যেখানে উৎকৃষ্ট মানের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছিল সীমিত একদল অভিজাত এবং জমিদারদের জন্য। ইংরেজদের অনুকরণে নকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছিল। যেমন : ভারতের ডন স্কুল ও পাকিস্তানের অ্যালছিসন কলেজ। অন্যদিকে সমাজের বাদবাকি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নি¤œমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে পড়ার কারণে লোভনীয় চাকরিতে অবাঞ্ছিত বলে বিবেচিত হতো। এসবের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার সরকারগুলো তাই ক্ষুদ্র সামন্ততান্ত্রিক অভিজাতদের উপযোগী শিক্ষা কাঠামোর উত্তরাধিকার বহন করে চলেছে। এই দ্বিমুখী শিক্ষা কাঠামো ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীগুলোকে সুযোগ করে দিয়েছে সেনাবাহিনী, সরকার ও বাণিজ্যের ওপর একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করার। নিম্নমানের সরকারি শিক্ষা গ্রহণের ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সমাজের উচ্চ স্তরে উঠার সব ধরনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই ধরনের শিক্ষাবিরোধী উত্তরাধিকারই এই অঞ্চলের আজকের অধঃপতনের জন্য মূলত দায়ী।

সবার জন্য শিক্ষার লক্ষ্য অজের্ন বিশ্ব প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার সামনে কতগুলো বাধা রয়েছে। এই বাধা বিপত্তি দূরীকরণে তাদের তাই করণীয় হলো বালিকা ও নারী শিক্ষায় নাটকীয় উন্নতি সাধন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে পযার্প্ত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়নি তা নয়। অসংখ্য প্রকল্প এবং নীতিমালা গৃহীত হয়েছে। কিন্তু তা সত্তে¡ও ১৯৯০ থেকে এ অঞ্চলের অগ্রগতি বিশ্বের সবির্ন¤œ। গত সাত বছরে মেয়েদের স্কুলে ভতির্র হার পুরুষের তুলনায় মাত্র ১.৫ শতাংশেরও কম বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার সরকারগুলো এখন অন্তত তত্ত¡গতভাবে হলেও এটা উপলব্ধি করেছে, সবার জন্য শিক্ষা খুব গুরুত্বপূণর্ এবং প্রয়োজনীয়। তারা এটাও বোঝে যে, তা করা সম্ভব। তবে সবার জন্য শিক্ষা যে এখনই অত্যন্ত জরুরি এই উপলব্ধির ঘাটতি রয়েছে। অনেক উন্নয়ন আকুলতা অপেক্ষা করতে পারে কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার শিশু ও বয়স্কদের পক্ষে অপেক্ষা করা আর সম্ভব নয়। সরকার, জনগণ, প্রচারমাধ্যম শিক্ষাবিদ সবার মধ্যে সমভাবে এই জরুরি উপলব্ধি সঞ্চারিত হওয়া দরকার যে, সবার জন্য শিক্ষা প্রয়োজনীয় ও সম্ভবপর এবং সবচেয়ে বড় কথা এটা এখনই করা দরকার। আর কেবল তখনই আমাদের কাক্সিক্ষত অগ্রগতি মৌলিকভাবে ত্বরান্বিত করতে সব সম্পদ ও প্রচেষ্টাকে পুনঃসংগঠিত করা যেতে পারে। সামাজিক ন্যায়বিচার ভিত্তিক বণ্টন ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সব মানুষের অথৈর্নতিক জীবনের ন্যূনতম নিশ্চয়তা বিধানের সঙ্গে সঙ্গেই কেবল এসব দেশে শিক্ষারও অভ‚তপূবর্ বিকাশ সাধন করা সম্ভব হয়েছে। মূল বিষয় হলো বৃহত্তর জনগণের অথৈর্নতিক নিশ্চিত বা স্বাচ্ছন্দ্য বিধান। সেটা করতে পালেই শিক্ষার অগ্রগতিও আপনা থেকেই নিশ্চিত হতে বাধ্য।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বিদ্যমান ব্যাপক গণদারিদ্র্যই যে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা কমর্সূচি সফল করার পথে প্রধান বাধা সে সম্পকের্ কারও দ্বিমতের অবকাশ নেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অন্যান্য আরও অনেক বাধা রয়েছে। এসব বাধার মধ্যে কুসংস্কার বা পশ্চাৎপদ চিন্তাধারা এবং অভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার অভাব । কুসংস্কারের ফলে কোনো কোনো অভিভাবক সামথর্্য থাকা সত্তে¡ও সন্তানদের আধুনিক বিদ্যালয়ে না পাঠিয়ে মক্তবে বা ব্যক্তিগগতভাবে মৌলভির কাছে লেখাপড়া শেখাতে পাঠায়। কেউ কেউ আবার ছেলেদের সামান্য কিছু লেখাপড়া শেখাতে চাইলেও মেয়েদের তা শেখানো একবারে অপ্রয়োজনীয় মনে করে।

এ ছাড়া আধুনিক শিক্ষা ও মাদ্রাসা শিক্ষা (ধমীর্য়) পাশাপাশি চালু থাকায় দেশে বিভিন্ন বা সামঞ্জস্যপূণর্ একটি শিক্ষাচেতনাও বিকাশ লাভ করতে পারছে না। আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত ও উন্নয়ন উপযোগী শিক্ষার অভাবে মানবসম্পদেরও উন্নতি সাধিত হচ্ছে না। এর ফলে শিক্ষার সামান্য যা গাণিতিক বিস্তার হয়েছে তার কোনো সুফলও পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ শিক্ষা বিস্তারের মূল লক্ষ্যই হলো দেশকে নিশ্চিত উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়া।

শিক্ষা ক্ষেত্রে আমাদের দীনতার জন্য শিক্ষকদের আথর্-সামাজিক রাজনৈতিক অবস্থানও বিশেষভাবে দায়ী। পবিত্র পেশা বলে পরিচিত এই পেশা সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে গুরুতর অবহেলার শিকার হয়ে দীঘর্স্থায়ী আথির্ক দুদর্শায় পড়ে এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসের পিওনের চেয়েও মযার্দাহীন অবস্থায় নেমে যায়। একপযাের্য় তাই তারা নিজেরাই গৌণভাবে শিক্ষা ক্ষেত্রে দুনীির্ত টেনে আনতে বাধ্য হন। অন্যদিকে অন্যান্য মেহনতী জনগণের মতো তারাও আন্দোলনে নামিতে বাধ্য হয়েছেন। আমাদের বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরাও ছয় দফা দাবির ভিত্তিতে ব্যাপক আন্দোলন কমর্সূচি ঘোষণা করেছেন। আমাদের মতো গরিব দেশে শিক্ষাকে জীবিকা অজর্ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে একসূত্রে গেঁথে ফেলতে হবে। তা ছাড়া এখানে দ্রæত শিক্ষা প্রসারের ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন। ইংরেজিতে একটা কথা আছেÑ আনির্ং এবং লানির্ং প্রক্রিয়াকে (ঊধৎহরহম ধহফ খবধৎহরহম ঢ়ৎড়পবংং) ঐক্যবদ্ধ করা। সেখানেও বোধ হয় উপরের চিন্তাটির প্রতিফলন ঘটেছে। অথার্ৎ উপাজর্ন ও শিক্ষা গ্রহণ প্রক্রিয়া পাশাপাশি চালানো। এই ব্যবস্থা তো সবচেয়ে উন্নত দেশেও বিদ্যমান। যারা বিভিন্ন কাজ বা চাকরি-বাকরি এমন কি ব্যবসাতে নিয়োজিত, তারাও নিজেদের কাজের ফঁাকে ফঁাকে আকাক্সিক্ষত এবং সুযোগ অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

বিগত দিনে কেউ আমাদের শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য বা দশর্ন নিধার্রণ করেননি, করতে চাননি। কাজেই সরকারি বা জাতীয়ভাবে আমাদের এখনও কোনো শিক্ষা মডেল বা আদশর্ নেই। পশ্চিমা ধঁাচের যে শিক্ষা ধারাটি এখনও দেশে প্রধানভাবে চলছে বলে ধরা হয় তাকেও বতর্মান আন্তজাির্তক মানদÐে আধুনিক কোনো ব্যবস্থা বলা যায় না। মূলত বহুদিন আগে ব্রিটিশ প্রবতির্ত এই ব্যবস্থা আর বতর্মান জাতীয় আন্তজাির্তক পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতিপূণর্ নয়। ব্যাপক জনগণকে যতদিন খাদ্যাভাবের মতো দারুণ এক বিভীষিকা তাড়া করবে ততদিন দেশ থেকে শিক্ষাহীনতার অভিশাপ দূর করা অসম্ভব। তারচে আরও অসম্ভব উন্নত মানবসম্পদ তৈরি করা। এ জন্যই প্রতি বছর যে হারে শিশুর জন্ম বা স্কুলগামী বয়সী শিশুর সংখ্যা বাড়ছে সে হারে প্রাথমিক স্কুলে ভতির্ হওয়া শিশুর সংখ্যা বাড়ছে না।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, দক্ষিণ এশিয়াতে শিক্ষা একটি সামগ্রিক সামাজিক ইস্যু হয়ে উঠার বদলে সরকারি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। দুভার্গ্যক্রমে তাই এ অঞ্চলের শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সংকীণর্মনা আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শিক্ষার প্রতি তাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রæতির অভাব। শিক্ষার গণভিত্তি স্থাপনের জন্য জনগণের তৎপরতার বিষয়টি কেবল কতিপয় বিচ্ছিন্ন সুশীল সমাজের উদ্যোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। অথচ পূবর্ এশিয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষা সকল স্তরের জনগণের একটি সাবর্জনীন এজেন্ডায় পরিণত হয়েছে। এর ফলে শিক্ষা এখানে মুষ্টিমেয় এলিট শ্রেণির জন্য স্বতন্ত্র উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে না উঠে, সবর্স্তরের জন্য প্রয়োজ্য উচ্চমানের শিক্ষা ব্যবস্থায় রূপলাভ করেছে। ওই অঞ্চলে শিক্ষা সমাজের সবর্স্তরের জনগণের কাছে বিবেচিত হচ্ছে সমৃদ্ধি অজের্নর সুযোগ হিসেবে। সাবর্জনীন শিক্ষার পেছনে অথর্ব্যয় সে টেকসই অথৈর্নতিক উন্নয়ন অজের্নর লক্ষ্যে একটি পদক্ষেপÑ এই সত্যটি পূবর্ এশিয়ার পরিকল্পনাবিদরা ভালোভাবেই উপলব্ধি করেছিলেন। অথচ দক্ষিণ এশিয়াতে সামাজিক খাতে অথর্ বরাদ্দ অপচয় হিসেবে বিবেচিত। শিল্প খাত, সামরিক খাত এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের পেছনে এ অথর্ ব্যয় অনেক গুরুত্বপূণর্ মনে হয়েছে তাদের কাছে। পরিশেষে বলতে চাই যে, দক্ষিণ এশিয়া ও বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষার প্রসারে ঔপনিবেশিক মানসিকতা পরিহার করে উদারনীতি ও প্রগতিশীল মানসিকতার মাধ্যমে শিক্ষার কাঠামোগত সংস্কার সাধন করে কেবল কাক্সিক্ষত সাফল্য অজর্ন করা সম্ভব।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ: গবেষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<34713 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1