সন্ত্রাসীর কোনো ধর্ম হতে পারে না। সন্ত্রাসী তো সন্ত্রাসী। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের বাহিনী বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। অনেক সময় ধর্মের দোয়াই দিয়ে অনেকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত করে থাকে এর ফলে নিহত হয় অনেক নিরীহ মানুষ। হতাহত হন অনেক মানুষ। কিন্তু কোনোই ধর্মই ধর্মের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমর্থন করে না। ধর্মের নামে যারা মানুষ হত্যায় লিপ্ত হয়। তারা আসলে তাদের ভুল শিক্ষা থেকে এই কাজগুলো করে থাকে। তারা তাদের বিকৃত মানসিকতার জন্য এই কাজগুলো করে থাকে। মানুষ হত্যার হলি খেলায় মেতে ওঠে। সন্ত্রাসীদের কোনো জাত-ধর্ম নেই। তারা সবসময় সন্ত্রাসী। কিছু সময় কিছু নামধারী মুসলমানের কিছু সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য সমগ্র মুসলমানদের দোষারোপ করা হয়। বিশ্বে মুসলমানদের সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত করতে একশ্রেণির লোক উঠেপড়ে লেগে যায়। কিন্তু কেন? মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থে কি কোনো জায়গায় লেখা আছে যে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করো। কিংবা কোনো হাদিসগ্রন্থে লেখা আছে? উত্তর হবে না। তাহলে কেন কিছু মুসলমান নামধারীদের অপকর্মের জন্য সমগ্র মুসলমান জাতির হেনস্থার স্বীকার হতে হবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। বিভিন্ন এয়ারপোর্টে কেন মুসলমানদের ভোগান্তির স্বীকার হতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কেন মুসলমানদের বিড়ম্বনায় পড়তে হবে? কিছু মানুষের অপকর্মের কিংবা সন্ত্রাসীদের জন্য সমগ্র মুসলমান জাতির কেন ভোগান্তি? গত ১৫ মার্চ শুক্রবার বিশ্বের অন্যতম শান্তির দেশ নিউজল্যান্ডে ঘটল তাদের দেশের ইতিহাসে খুব দুঃখজনক ঘটনা। মুসলমানদের জুমার নামাজ আদায়রত অবস্থায় মুসলমানদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে প্রায় ৫০ জন মুসলিস্নকে হত্যা করল শ্বেতাঙ্গ খ্রিস্টান। এর দায় কি সমগ্র খ্রিস্টান ধর্মের উপর, অবশ্যই না। একজন কিংবা গুটিকয়েক সন্ত্রাসীর সন্ত্রাসী কার্যক্রমের জন্য কেন সমগ্র ধর্ম কলঙ্কিত হবে। খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মগ্রন্থ খোঁজ করুণ দেখুন সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমর্থন করে এমন কোনো কিছু লেখা আছে? উত্তর হবে অবশ্যই না। একজন খ্রিস্টান ধর্মের লেবাসধারী কিংবা গুটিকয়েক জনের জন্য যেমন সমগ্র খ্রিস্টান ধর্ম কলঙ্কিত হতে পারে না। তেমনি কিছু লেবাসধারী মুসলিম সন্ত্রাসীর জন্য ইসলাম ধর্ম সন্ত্রাসীর ধর্ম হতে পারে না। যে কোনো ধর্মের হোক যারা প্রকৃত ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করে তারা কোনোদিন মানুষ হত্যায় মেতে উঠতে পারে না। তাই আমাদের সবার উচিত কোনো ব্যক্তি কিংবা গুটিকয়েক মানুষের কার্যক্রমের জন্য সমগ্র জাতি কিংবা ধর্মকে দোষারোপ না করা। সন্ত্রাসীদের কোনো জাত কোনো ধর্ম থাকতে পারে না। কারণ কোনো ধর্ম মানুষকে হত্যা করার কথা বলে না। সব ধর্মই মানুষকে ভালোবাসার কথা বলে। তাই সন্ত্রাসীদের কোনো জাত কিংবা ধর্মের হিসেবে বিবেচনা না করে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করে সমাজ, রাষ্ট্র, তথা আন্তর্জাতিকভাবে বয়কট করা শাস্তি নিশ্চিত করা সময়ের দাবি।