বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদ অবৈধ হলে আপনি কী করে বৈধ হন?

মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদকে অবৈধ যিনি বলেন তিনি সংসদে প্রবেশের নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেন। বিএনপি যদি মনে করে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়নি, একাদশ জাতীয় সংসদ বিতর্কিত এবং সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি, তা হলে তারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন কী করে। সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা সংসদীয় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিরই একটি উজ্জ্বল অংশ। বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা সেদিকে না গিয়ে যা বলেছেন তা আপত্তিকর এবং সংসদীয় রীতি-নীতির পরিপন্থি। মনে রাখতে হবে তিনিও এই সংসদের একজন সদস্য। এই সংসদ অবৈধ হলে তিনিও অবৈধ। বিএনপির মানসিক দৃঢ়তা থাকলে, নির্বাচন-উত্তর বক্তব্যে অনড় থাকলে তারা সংসদে যেতেন না। তাদের এই ধরনের স্ববিরোধী রাজনৈতিক সংস্কৃতি অগ্রহণযোগ্য হাস্যকর।
সালাম সালেহ উদদীন
  ১৯ জুন ২০১৯, ০০:০০

বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রুমিন ফারহানা দাবি করেছেন, তিনি সংসদে কথা বলার জন্য দাঁড়ালেই সরকারদলীয় ৩০০ এমপি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, 'আমি আমার দলের কথা বলব, তারা তাদের কথা বলবেন। কিন্তু আমি উঠে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো সংসদ যদি উত্তেজিত হয়ে যায়, ৩০০ সদস্য যদি মারমুখী হয়ে যান তাহলে আমি আমার বক্তব্য কীভাবে রাখব?' রোববার জাতীয় সংসদের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংসদের সভাপতিত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী বলেন, 'আমি আপনাকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করব, আপনি এমন কোনো কথা বলবেন না যেটাতে অন্যপক্ষ উত্তেজিত হবে এবং সংসদ পরিচালনায় ব্যত্যয় ঘটবে।' এরপর রুমিন বলেন, 'আমরা সংসদে আসার সময় সংসদ নেতা বলেছিলেন, আমরা আমাদের কথা বলতে পারব। সংসদ সদস্যরা ধৈর্যসহকারে সেটি শুনবেন। আমার প্রথম দিনের দুই মিনিটের বক্তব্য এক মিনিটও শান্তিতে বলতে পারিনি। একই ঘটনা আজকেও ঘটছে। যদি তাই হয় তাহলে কোন গণতন্ত্রের কথা আমরা বলি, কোন বাকস্বাধীনতার কথা বলি, কোন সংসদের কথা আমরা বলি? এভাবে তো একটা সংসদ চলতে পারে না।' নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ নির্বাচন কমিশন কী ধরনের নির্বাচন করেছে- স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। কী ধরনের নির্বাচন হয়েছে, এখানে যে সদস্যরা রয়েছেন তারা আলস্নাহকে হাজির নাজির করে বলুক সংবিধান অনুযায়ী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন কিনা।

তিনি বলেন, তারা কয়জন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুক। যদি বিবেক থেকে থাকে আপনাদের নিজেদের উত্তর নিজেই পেয়ে যাবেন। কী ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে এ সংসদে এসেছেন। আমাদের কথা দেয়া হয়েছিল, এ সংসদে আমাদের কথা বলতে দেয়া হবে। এজন্য এ সংসদ নির্বাচিত নয় জেনেও আমরা সংসদে যোগ দিয়েছি। কারণ, আমাদের মিটিং করতে দেয়া হয় না। ভেবেছিলাম সংসদে জনগণ, আমার দল নিয়ে কথা বলতে পারব। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য এ সংসদের সরকারি দলের এমপিদের এতটুকু ধৈর্য নেই আমার কথা শোনার। মতিয়া চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিরোধী দলও সংসদে এসেছে। যদিও কেউ কেউ বলছেন সংসদ অবৈধ। অবৈধই যদি হয়, তাহলে এসেছেন কেন? অবশ্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন বিপরীতধর্মী কথা। তিনি বলেছেন, এ সংসদ যে অবৈধ তা বিএনপি'র মহাসচিব হিসেবে জাতিকে জানাতেই আমি শপথ নিই নি। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল। সোমবার দুপুরে হরিপুর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি যদি নৈতিক কারণে সংসদে না গিয়ে থাকেন তা হলে ভিন্ন কথা। এমন পরিস্থিতিতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি সংসদকে অবৈধ বলতে পারেন। কিন্তু তার দলের যারা শপথ নিয়ে সংসদে গিয়েছেন, তারা সংসদকে অবৈধ বলেন কী করে?

মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে সংসদকে অবৈধ যিনি বলেন তিনি সংসদে প্রবেশের নৈতিক অধিকার হারিয়ে ফেলেন। বিএনপি যদি মনে করে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়নি, একাদশ জাতীয় সংসদ বিতর্কিত এবং সংসদ সদস্যরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি, তা হলে তারা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন কী করে। সংসদে দাঁড়িয়ে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা সংসদীয় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিরই একটি উজ্জ্বল অংশ। বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা সেদিকে না গিয়ে যা বলেছেন তা আপত্তিকর এবং সংসদীয় রীতি-নীতির পরিপন্থি। মনে রাখতে হবে তিনিও এই সংসদের একজন সদস্য। এই সংসদ অবৈধ হলে তিনিও অবৈধ। বিএনপির মানসিক দৃঢ়তা থাকলে, নির্বাচন-উত্তর বক্তব্যে অনড় থাকলে তারা সংসদে যেতেন না। তাদের এই ধরনের স্ববিরোধী রাজনৈতিক সংস্কৃতি অগ্রহণযোগ্য হাস্যকর।

রুমিন ফারহানা বলেছেন, তাদের মিটিং করতে দেয়া হয় না। সেজন্য তারা সংসদে কথা বলতে এসেছেন। ভালো কথা। বর্তমান সরকার যদি কোনো গণবিরোধী কর্মকান্ড করে থাকে, সরকারের দ্বারা যদি জনস্বার্থ উপেক্ষিত হয় তা হলে সেসব বিষয় সংসদে আলোচনা করতে পারে। বিএনপি সংসদ সদস্য সেদিকে না গিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদকে অবৈধ বলেছেন, যেখানে তিনিও একজন সদস্য এবং তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। তার আলোচনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করার জন্য।

বিএনপিকে সরকারের দিকে না তাকিয়ে প্রথমে নিজের দিকে তাকাতে হবে এবং আত্মমূল্যায়নে মনোযোগ দিতে হবে। রাজনীতিতে সক্রিয় ও জনপ্রিয় একটি দল ধীরে ধীরে এই করুণ অবস্থায় কীভাবে এসেছে? এর জন্য কি কেবল সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ দায়ী? তাদের কি ভুল নেই। তাদের সবচেয়ে বড় ভুল হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা। দলটির শীর্ষ দুই নেতা, একজন দুর্নীতির দায়ে জেলে, অন্যজন একাধিক মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত, বিদেশে পলাতক। এখন যারা দল চালাচ্ছেন তারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ নয়, দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করবেন কী করে। তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি সংগঠিত নয়। এমন অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে কীভাবে তারা আন্দোলন করবে। এখন তাদের একমাত্র ভরসা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কথা বলা। দেশবাসীকে জানান দেয়া, সরকার দেশ ও জনগণের জন্য কী করতে পেরেছে এবং কী করতে পারেনি। এই সব গঠনমূলক আলোচনা না করে তিনি একজন সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের অস্তিত্ব নিয়েই টান দিয়েছেন, যা আত্মঘাতী। একজন সংসদ সদস্যকে হতে হয় বিচক্ষণ ও দূরদর্শী। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি কী বলছেন তা দেশবাসী শোনে জানে। সুতরাং কোনো সংসদ সদস্যকেই এমন কথা বলা উচিত নয় যা জন-গ্রহণযোগ্যতা হারায়।

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া, এর বিকাশ ও চর্চা দেশ ও জনগণের কল্যাণের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যাওয়া জাতীয় কর্তব্য হিসেবেই বিবেচিত। আর এ কর্তব্য পালন করার মহান দায়িত্ব মাননীয় সংসদ সদস্যদের। যারা নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থেকে, সংসদ কার্যকর ও প্রাণবন্ত করবেন। সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলকে বলা হয় ছায়া-সরকার। দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে ছায়া-সরকারের ভূমিকা কোনো অংশেই সরকারের চেয়ে কম নয়। ছায়া-সরকার সরকারকে সহযোগিতা করবে ও পরামর্শ দেবে। জাতীয় দুর্যোগ ও সঙ্কটে সরকারের সঙ্গে তারাও দেশবাসীর পাশে এসে দাঁড়াবে। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, আস্থা তৈরি হলে নিজেদের ভেতরে দেশপ্রেম জাগ্রত থাকলে জাতীয় সংসদ আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠত। আসলে আমরা নিজেরাই নিজেদের দেউলিয়াপনার এমন নজির স্থাপন করেছি, যা সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্য অশনিসঙ্কেত।

ওয়াল্টার বেজইট বলেছেন, 'জাতীয় সংসদ আদর্শ লোকদের এক বিরাট সমাবেশ ছাড়া আর কিছুই নয়।' উন্নত দেশের সংসদ সদস্যদের নীতি-নৈতিকতা, শিক্ষা-দীক্ষা, কর্তব্যবোধ, দেশপ্রেম ইত্যাদি মূল্যায়ন করলে ওই কথার যথার্থতা পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য ও হাস্যকর। আমাদের মহান জাতীয় সংসদে যারা নির্বাচিত হয়ে আসেন, তাদের যোগ্যতা, নীতি-আদর্শ কী, শিক্ষা-দীক্ষা পরিস্থিতি কেমন, তাদের স্বদেশপ্রেম এবং জনস্বার্থকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা কোন পর্যায়ে- এসব মূল্যায়ন করলে আমাদের জাতীয় সংসদ আদর্শ লোকদের এক বিরাট সমাবেশ কিনা তা সহজেই উপলব্ধি করা যাবে।

অত্যন্ত দুর্ভাগ্য ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্যরা এসবের কিছুই তোয়াক্কা করেন না। তারা সবসময় জাতীয় সংসদকে দেখে আসছেন হেঁয়ালির চোখে। তারা মনে করেন, সংসদে দাঁড়িয়ে যা ইচ্ছা তাই বলা যায়। গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র হচ্ছে, আত্মবিশ্লেষণ করা এবং আত্মমর্যাদাবোধ নিজের মধ্যে জাগিয়ে তোলা। ভারতের দিকে যদি আমরা তাকাই, সেখানে বহু মত, বহু দল-গোত্র-বর্ণের দেশ, বহু ভাষার দেশ। দেশ হিসেবে যেমন বড়, জনসংখ্যাও অনেক। রাজনীতিবিদদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য ও বৈরিতা থাকা সত্ত্বেও সে দেশে গণতন্ত্র টিকে আছে এবং সংসদ কার্যকর রয়েছে। জাতীয় সমস্যা সমাধানে সেখানে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। সরকারি ও বিরোধী দল তাতে সমান ভূমিকা রাখে এবং সঙ্কট মোচনে এগিয়ে আসে। আর আমাদের দেশে কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল নেই। দুটি সংসদে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। তবে এটাকে প্রকৃত বিরোধী দল বলা যাবে না। গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র হচ্ছে উদারনৈতিক ও সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গি জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া। আর তা ছড়িয়ে দেবে রাজনৈতিক নেতৃত্বই। আমরা বরাবর এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছি। আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্র কেন দাঁড়াতে পারল না তার আপন গৌরব, ঔজ্জ্বল্য ও কর্মসুষমা নিয়ে, তা এক বিরাট প্রশ্ন।

বাংলাদেশের মানুষ ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ একটা বিস্ময়কর, পৃথিবীখ্যাত ঘটনা। মাত্র নয় মাসে লড়াকু বাঙালি জাতি পাক-হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধ করে, বুকের তাজা রক্ত দিয়ে, ইজ্জত দিয়ে, অনেকে চিরতরে পঙ্গু হয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। এত ত্যাগ ও রক্ত দিয়ে পাওয়া স্বাধীন দেশে কেন সংসদীয় গণতন্ত্র প্রাণ পাচ্ছে না বরং বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে তা রীতিমতো গবেষণার বিষয়। দুর্বল রাষ্ট্রকাঠামোর ওপর দুর্বল গণতন্ত্র দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে তার ভার জনগণের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয় এ সহজ ও অপ্রিয় কথাটি আমাদের বুঝতে হবে। আমরা মানবাধিকার সংরক্ষণের কথা বলি অথচ প্রতি পদে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। আমরা নারী স্বাধীনতার কথা বলি, কিন্তু ঘরে-বাইরে যেভাবে, যে মাত্রায় নারীরা নির্যাতন, শোষণ, লাঞ্ছনার শিকার, ধর্ষণ-গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে, নারীকে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, যা আমাদের অন্তঃসারশূন্য সমাজেরই এক ভয়াবহ চিত্র। নারীর স্বাধীন ইচ্ছা ও স্বপ্নকে আমরা প্রতি মুহূর্তে গলা টিপে হত্যা করছি। দেশে আইনের শাসনের ঘাটতি রয়েছে। এসব কথা একজন সংসদ সদস্য সংসদে বলতে পারেন, চাইতে পারেন প্রতিকার। অথচ সংসদে আলোচনা হচ্ছে এমন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে যা সব সংসদ সদস্যের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। এই ধরনের আলাপ প্রত্যাশিত নয়। একজন সংসদ সদস্যের আলোচনা হোক দেশ ও গণমুখী এ প্রত্যাশা করা নিশ্চয়ই অসঙ্গত নয়। জাতীয় সংসদ হোক সংসদীয় গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র এবং এর মাধ্যমে জনপ্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটুক এবং এর কোনো বিকল্প নেই।

সালাম সালেহ উদদীন : কবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<54200 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1