শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তাচুক্তি আদৌ হবে কি?

সরকার যে ভাষাতে কথা বলুক না কেন দেশের কৃষি অর্থনীতিকে বাঁচাতে এবং দেশকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষা করতে তিস্তা সংকট সমাধানের কোনো বিকল্প নেই।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ২০ জুন ২০১৯, ০০:০০

পৃথিবীর শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর ওপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার, নানা ধরনের অন্যায় ও অযৌক্তিক আচরণ করে থাকে। এ আচরণগুলোর মধ্যে কখনো ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আবার কখনো কোনো বিষয়ে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্র একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায় বিশেষ করে দুর্বল রাষ্ট্রগলো। কিন্তু এ দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শক্তিধর রাষ্ট্র তাদের ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে চায়। এটা শুধু আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত নয়- পৃথিবীর প্রায় সব ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর চরিত্র একই।

ভারত পৃথিবীর অন্যতম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও একই সঙ্গে আমাদের প্রতিবেশী। আগেই উলেস্নখ করা হয়েছে স্বাভাবিকভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকে। তা ছাড়া আমাদের পররাষ্ট্র নীতির মূল কথা হচ্ছে, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রম্নতা নয়। উপরন্তু আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সর্বোত্তমভাবে সাহায্য করে। এজন্য ভারতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তার মানে এই নয় যে, ভারত যা ইচ্ছে করবে তা আমরা মেনে নেবো। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। স্বাধীনভাবে আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। এ বিষয়ের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পানি। প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক জাপান, সৌদি আরব ও ফিনল্যান্ড সফরে বিভিন্ন বিষয়ে গণভবনে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, পানির জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। সেজন্য তিনি তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে চিন্তা করতে বারণ করেছেন। সরকার ডেল্টা পস্ন্যান নিয়েছে। নদীগুলো ড্রেজিং করে নিচ্ছি এই পরিকল্পনা বাস্তাবায়িত হলে কারও কাছে পানির জন্য মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্য তিস্তাচুক্তি আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। অথচ গত মেয়াদে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিস্তায় সুবাতাস বইবে। প্রধানমন্ত্রী পানি সমস্যা সমাধানের জন্য যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু তার মানে এই নয় তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে কি আমরা বঞ্চিত হব? কারণ এটা আমাদের অধিকার। বাংলাদেশে প্রায় ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এসব নদীর উৎস দেশের বাইরে ভারত ও নেপালে। বাংলাদেশ সুপ্রাচীন কাল থেকে ভাটির দেশ হিসেবে ইতিহাসে পরিচিত। কাজেই এ নদীগুলো বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অভিন্ন নদী মানেই আন্তর্জাতিক। আর এ ধরনের নদীর পানি বা প্রবাহ আন্তর্জাতিক আইনে বন্ধ করা বা বাঁধ দেয়া যায় না যা ভারত এক তরফাভাবে করছে। জাতিসংঘ নীতিমালার (১৯৯৭)৭-এর(১) অনুচ্ছেদে লেখা আছে, 'প্রতিটি দেশ আন্তর্জাতিক পানিপ্রবাহ থেকে পানি ব্যবহারের ফলে পাশে একই অববাহিকায় অন্যান্য দেশের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।' আবার আন্তর্জাতিক নদীব্যবস্থাসংক্রান্ত নীতিমালার হেলসিংকিতে (১৯৬৬) ৪ ও ৫নং অনুচ্ছেদে বলা আছে 'প্রতিটি অববাহিকাভুক্ত দেশ অভিন্ন নদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রয়োজন বিবেচনা করে অন্য দেশের যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখবে।' কিন্তু শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো সে নিয়ম নীতিমালার কোনো ভ্রম্নক্ষেপ করে না। যদি করতো তাহলে ভারত এক তরফাভাবে বিভিন্ন নদীতে বিশেষ করে তিস্তা নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রেখে বিভিন্ন ফসল আবাদ, জীববৈচিত্র্যকে এক মারাত্মক সংকটের মধ্যে ফেলতো না।

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষিতে বহুমুখী ফসল উৎপাদন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নদ-নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ টিপাইমুখ, তিস্তা বাঁধে ভারতের এক তরফাভাবে পানি নিয়ন্ত্রণের ফলে ওই এলাকাগুলো আবাদি জমি মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। ফারাক্কা চুক্তি হিসেবে বাংলাদেশকে ৮০ হাজার কিউসেক পানি সরবরাহের কথা থাকলেও সে হিসাব মতে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রায় ১৪টি জেলায় জীবন-জীবিকা বিপন্ন হয়েছে। কারণ এ বাঁধের কারণে পানি না পাওয়া বিশেষ করে বর্তমান শুষ্ক মৌসুমে বেশ কয়েকটি নদ-নদী শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে এককালের প্রমত্ত পদ্মা এখন শুকিয়ে তার যৌবন হারিয়েছে। যে পদ্মার বুকে পাল তুলে মাঝিরা মনের আনন্দে গান গাই তো সে পদ্মা এখন জীর্ণশীর্ণ মরা নদী। শুধু ফারাক্কা নয় টিপাইমুখ ও তিস্তা বাঁধের কারণে পানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তার পানি থেকে ভারত আমাদের বঞ্চিত করছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে উত্তরাঞ্চলের ৬টি জেলায়। এ জেলাগুলোর মানুষ তাদের কৃষি জমিতে সেচ দিতে পারছে না। ভারতের এক তরফা পানি আগ্রাসনে ইতোমধ্যে তিস্তা ডালিয়া পয়েন্ট থেকে রংপুরের কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৬৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শুষ্ক মৌসমে শুধু ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয়। তিস্তা থেকে যেখানে সাড়ে ৩ হাজার কিউসেক পানি পাওয়ার কথা সেখানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪০০ থেকে ৫০০ কিউসেক পানি। ভারতের এ ধরনের আচরণ বন্ধুসুলভ নয়। সীমান্ত হত্যা এখনো বন্ধ হয়নি। ফেলানির মৃতু্যর বীভৎস দৃশ্য এখনো আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। উপরন্তু তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করা ভারতের পানি আগ্রাসন ছাড়া কি বলা যাবে? বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া অধিকাংশ নদীর উৎস ভারত ও নেপালে। তিস্তা নদীর উৎপত্তিস্থল ভারতের সিকিমের একটি হ্রদ থেকে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি। তবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি অবস্থিত এ তিস্তা নদী। এ নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ ৬টি জেলার কৃষক সম্প্রদায়। যে জমিগুলোতে প্রয়োজনীয় সেচের অভাবে শুষ্ক মৌসুমে ফসল মরতে বসে।

শুধু তিস্তা টিপাইমুখ, ফারাক্কা বাঁধই নয়- তা ছাড়া বেশ কয়েকটি ছিটমহলও রয়েছে। ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। তবে অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়গুলোর মধ্যে পানির ন্যায্য দাবিটি অন্যতম। কারণ পানি না পাওয়ার কারণে একদিকে তিস্তা খড়স্রোতা নদীতে পরিণত হয়েছে। ফলে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে ফসল উৎপাদন পানির অভাবে ব্যাহত হয়। অর্থনৈতিক দিক থেকে ওই এলাকার মানুষ যে হুমকির মুখে পড়ে সেটা দেশের গোটা অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। অথচ ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে পানি সরিয়ে নিয়ে সে পানি ব্যবহার করছে কুচবিহার, উত্তর দিনাজপুরসহ কয়েকটি জেলায়। দেশের সর্ববৃহৎ এ সেচ প্রকল্পটি থেকে পানি সরবরাহ প্রায় বন্ধ করেছে ভারত। ফলে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার প্রায় ১২ উপজেলায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে পানির অভাবে শুষ্ক মৌসুমে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। যৌথ নদী কমিশন সূত্র থেকে জানা গেছে, তিস্তা সেচ প্রকল্প পুরোপুরিভাবে চালু হলে শুষ্ক মৌসুমে ৫ লাখ হেক্টর জমিতে ধান চাষের জন্য পানি দেয়ার কথা। বিগত কয়েক বছর থেকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় সেচ প্রকল্পের আওতা পর্যায়ক্রমে কমে এসেছে। বাধ্য হয়ে কৃষক গভীর নলকূপ দিয়েও ফসল বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছে।

তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোতে ভারতের এক তরফা বাঁধের কারণে আমাদের নদীগুলো মৃত প্রায়। শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে ফসল উৎপাদন যেমন ব্যাহত হয়। তেমনি বর্ষা মৌসুমে সব বাঁধের মুখ খুলে দেয়ার ফলে সারা দেশে বন্যার পানির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফসল হানি হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ভবিষ্যতে মরুভূমিতে পরিণত হবে। কাজেই তিস্তাচুক্তি বা পানিবণ্টন নীতিমালার বিষয়টি অতিগুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার। কারণ এতে দেশের খাদ্য সংকট অর্থনীতি ও নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত। তবে তিস্তা ব্যাপারে সরকার আন্তরিক নয় বা কূটনৈতিক তৎপরতা নেই এমন অভিযোগ কতটা সত্য তা প্রশ্ন সাপেক্ষ। কারণ সরকার আন্তরিক বা কূটনৈতিক তৎপরতা রয়েছে বলেই ২০১১ সালে এ চুক্তি হতে যাচ্ছিল। কিন্তু মমতা ব্যানার্জির আপত্তির মুখে তিস্তাচুক্তি আটকে আছে। ইতোমধ্যে ভারতে লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে। বিজেপি সরকারের বিপুল জয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মোদি। মোদি সরকারকে আমরা স্বাগত জানাই। ভারতের রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি এক গুরুত্বপূর্ণ নাম। মূলত তার কারণেই তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে আমরা বঞ্চিত। অতীতে এক নির্বাচনী প্রচারে তিস্তা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠলে তিনি জানিয়ে দেন, তিস্তায় জল নেই, বাংলাদেশকে জল দিই কীভাবে। তাই তিস্তা সংকট কাটার বা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। যদিও বর্তমান সরকার চুক্তি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ২০১১ সালে ড. মনমোহন সিং বাংলাদেশে সফরে এলে তিস্তাচুক্তির সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও শুধু মমতার ভেটো- অর্থ আমি মানি না।) প্রদানে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়নি। তিস্তা চুক্তি বিষয়টি পররাষ্ট্রবিষয়ক সমস্যা এ চুক্তি না হওয়ায় দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে পররাষ্ট্রবিষয়ক কোনো সমস্যাকে রাজনীতিকরণ করা মোটেই সমীচীন নয়। তবে ভারতের মোদি সরকারের কাছে বাংলাদেশের প্রত্যাশা দীর্ঘদিনের এ সমস্যার সমাধান হবেন এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছিট মহল সমস্যার যেমন সমাধান হয়েছে তেমনি এ সমস্যারও সমাধান হবে বলে বাংলাদেশের জনগণ প্রত্যাশা করে। মোদি সরকার অবশ্যই এ বিষয়টি বাংলাদেশের জনগণের পানি সংকটের কথা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

তিস্তা একটি আন্তর্জাতিক নদী। এ নদীর পানি আটকে রাখা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। মমতা ব্যানার্জি নিজ রাজ্যের জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে অন্য দেশের জনগণকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না। এটা মমতার এক ধরনের গোঁয়ার্তুমি। মমতা কোন যুক্তি বলে পানি বন্ধ করবেন? আন্তর্জাতিক নদী হওয়ায় বাংলাদেশ পানি পাবে আন্তর্জাতিক আইনে। পানিশূন্যতার কারণে কোনো দেশের একটি অংশ মরুভূমিতে পরিণত হোক, কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হোক, মানুষের জীবন-জীবিকা জীববৈচিত্র্য পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ুক তা কেউ মেনে নেবে না। তবে প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবীর সব শক্তিধর রাষ্ট্রের চরিত্র একই। তারা দুর্বল রাষ্ট্রগুলোর ওপর অন্যায় আচরণ করে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক দিক থেকে তারা উন্নত। ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন কৌশলে তাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রাখে। কাজেই আমাদেরও ভাবতে হবে। নিজ দেশের স্বার্থের কথা। টিপাইমুখ বাঁধ আমাদের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থি। অথচ তিস্তাচুক্তি আমাদের জাতীয় স্বার্থে হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা আরও বাড়ানো দরকার। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না হলে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত। নিজ দেশের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো দেশের কোনো উদ্যোগকে মেনে নেয়া যায় না।

সরকার যে ভাষাতে কথা বলুক না কেন দেশের কৃষি অর্থনীতিকে বাঁচাতে এবং দেশকে মরুময়তার হাত থেকে রক্ষা করতে তিস্তা সংকট সমাধানের কোনো বিকল্প নেই।

মোহাম্মদ নজাবত আলী: শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<54340 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1