বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মাসকাবারি জীবনের খয়েরি দিন

নতুনধারা
  ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

শ্রেণিশোষণের বিরুদ্ধে বিপস্নবী শক্তির প্রধান সেনাপতির নাম-কমান্ডার চে। তিনি দুনিয়ার যে কোনো প্রান্তে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের নিজস্ব প্রতিনিধি। আমৃতু্য একজন বিপস্নবী শ্রমিক। গৃহযুদ্ধ আর মহাযুদ্ধের দাবানলে দগ্ধ বৈশ্বয়িক অবস্থার প্রেক্ষিতে আর কটি পরিবারের মতোই লিঞ্চ সেরনার সংসারেও অভাবের আঁচড় লাগে। এ ছাড়া শিশু আর্নেস্তো জন্মের দুই বছরের মাথায় অর্থাৎ ১৯৩০ সালের মে মাসে মা সেলিয়া দে লা সেরনার সঙ্গে বাড়ির পাশের নদীতে গোসল করতে গিয়ে অসুখে পড়েন, পরে যা হাঁপানি রোগ বলে চিহ্নিত হয়। এই হাঁপানি আর্নেস্তো চে গুয়েভারাকে আমৃতু্য বেদনায় সিক্ত নীল বিষের মতো বিদ্ধ করেছে। আর্নেস্তোর হাঁপানি হেতু লিঞ্চ সেরনা পরিবার একের পর এক ডাক্তার আর বাসা বদল করেছেন। ছেলে আর্নেস্তোর হাঁপানি, রোজগার আর জীবন-জীবিকার তাগিদে আর্নেস্তো গুয়েভারা লিঞ্চ ১৯২৮ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত ছাব্বিশ বছরে কমপক্ষে ১৩ বার বাসা বদল করেছেন। স্নায়ুযুদ্ধ থামতে না থামতেই মহাযুদ্ধ, নামমাত্র মূল্যে জাহাজের ব্যবসা বিক্রি, পারিবারিক ব্যবসা মোট পাতার দাম কমে যাওয়া, বারবার বাসা বদল, খরাসহ নানা কারণে অর্থনৈতিক দৈন্যতায় যাচ্ছিল লিঞ্চ সেরনা পরিবারের সময়। আর্নেস্তো বাবার দুঃসময় বুঝতেন। সবসময় চেষ্টা করতেন কীভাবে বাবাকে সাংসারিকভাবে সহযোগিতা করা যায়। এজন্য আর্নেস্তো পড়াশোনার পাশাপাশি বেছে নিয়েছিলেন দিনমজুরি জীবন। করদোবার ডিন ফিউনেস ন্যাশনাল স্কুলে পড়াশোনার সময় প্রত্যেক ছুটির দিন আঙ্গুর ক্ষেতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এসময় চে করদোবার প্রভিন্সিয়াল রোডস ডাইরেক্টরেট এ ম্যাটেরিয়াল অ্যালিসিস বিভাগে চাকরি পান। উদ্দেশ্য ছিল নিজ খরচে বইপত্র কিনে পড়াশোনার খরচ চালানো। এখানে আর্নেস্তোর সহকর্মী ছিল তার বন্ধু আলবার্তো গ্রানাদের ছোট ভাই টমাস গ্রানাদো। ম্যাটেরিয়াল অ্যালিসিস বিভাগে আর্নেস্তোর সর্বশেষ পদ ছিল ব্যবস্থাপক এবং সর্বসাকুল্যে বেতন পেতেন ২০০ পেসো। কোম্পানির পক্ষ থেকে বিনা খরচে বাসস্তানের ব্যবস্তা করা হয়েছিল করদোবা শহর থেকে দশ ব্লক দূরে ভিলা মারিয়ায়। করদোবার অ্যালিসিস বিভাগে চাকরিকালে আর্নেস্তো চেষ্টা করেছিলেন ক্লাসে না গিয়ে শুধু সিলেবাস দেখে বাসায় পড়াশোনা করে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নেবেন। এজন্য সিলেবাস সংগ্রহ করতে তার সহপাঠী ওসভাল্ডো পেয়ারকে উরুগুয়ে পাঠান। অবশ্য আর্জেন্টিনার শিক্ষাব্যবস্থায় এ ধরনের নিয়ম না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া ১৯৪৭ সালের জুন মাসে আর্নেস্তোর দাদি এনা ইসাবেল লিঞ্চ অরটিজের অসুখ ও মৃতু্যর কারণে চাকরি ছেড়ে বুয়েন্স আয়ার্সে বাবা-মায়ের কাছে চলে আসেন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ে সিদ্ধান্ত নেন ডাক্তারি পড়ার। আর্নেস্তো চে গুয়েভারার ভেতর সবসময় স্বনির্ভরতা আর শ্রমের বিনিময়ে উপার্জনের প্রচেষ্টা ছিল। আর্নেস্তো ছিলেন- হকারি, চাকরি, নৈশপ্রহরী, কারখানা শ্রমিক, কুলি, কীটনাশকের ব্যবসা, প্রভাষক, ডাক্তারি, গবেষণা, জাহাজের নার্স, বিক্রয় প্রতিনিধি, পেস্নকার্ড পেইন্টার, টাইপরাইরাইটার, ফটো সাংবাদিকসহ বর্ণিল পেশার এক তামাটে শ্রমিক। একদিন বাল্যবন্ধু কার্লোস কালিসা ফেরার এলেন আর্নেস্তোদের বুয়েন্স আয়ার্সের বাড়িতে। তার হাতে একটি পত্রিকার অংশ বিশেষ। যাতে ঠিকানাসহ জুতা নিলামের বিজ্ঞপ্তি আছে। দুই বন্ধু জমানো টাকা নিয়ে নিলামের ঠিকানায় বেরিয়ে পড়লেন। তাদের আশা ছিল যেহেতু জুতা নিলাম হবে তাই খুব একটা ক্রেতা আসবে না। এ সুযোগে তারা কম দামে জুতা কিনে বেশি দামে বিক্রি করবেন। কার্লোসরা অল্প পয়সায় নিলামের শেষ লটটি কিনতে পারলেন কিন্তু তাতে বেজোড় জুতাই বেশি ছিল। সব জুতা এনে যখন অ্যারাওজ স্ট্রিটের বাড়িতে রাখলেন তখন মনে হলো ২১৮০ নম্বর বাড়িটি যেন একটি জুতার দোকান। আর্নেস্তো এবং কার্লোস কালিসা ফেরার অনেক কষ্ট করে বেছে বেছে জুতাগুলোকে জোড়, বিজোড় দুই ভাগে ভাগ করলেন। জোড়া মিলানো জুতাগুলো কোনোভাবে বিক্রি হলেও বিজোড় জুতাগুলো থেকে গেল। দুই বন্ধু বুঝতে পারলেন এত জুতা অবিক্রিত থেকে গেলে লাভ তো দূরে থাক জমানো টাকা যা ছিল তাও উঠে আসবে না। আবার দুজন বেরিয়ে পড়লেন এক পা নেই এমন লোকের খোঁজে যাদের কাছে বিজোড় জুতাগুলো বিক্রি করা যাবে। আর্নেস্তোদের বাড়ি থেকে হাঁটা পথ দূরে রাস্তার মোড়ে একটি লোক বাস করত; যার বাম পা নেই। আর্নেস্তো তাকে ডান পায়ের জুতা কিনতে প্রস্তাব দিল এবং লোকটি খুশি হয়ে একটি জুতা কিনলেন। এভাবেই চলল জুতা বিক্রির ব্যবসা কিন্তু তাও বেশিদিন টিকলো না কারণ বেজোড় জুতাগুলো কেনা দরের চেয়ে সস্তায় বেচতে হলো। ১৯৪৮ সালে আর্নেস্তো চে গুয়েভারা বুয়েন্স আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বিভাগে ভর্তি হন। এ সময় লিঞ্চ পরিবার কিছুটা আর্থিক টানাপড়েনের মধ্যে ছিলেন। নির্বিঘ্নে ডাক্তারি পড়ার জন্য চে তার দ্বিতীয় মা কারমেন এরিয়াসের বুয়েন্স আয়ার্সের বাসায় থাকতেন। থাকার জায়গা হলেও মেডিকেল বিভাগে পড়ার যাবতীয় খরচ মেটানোর জন্য প্রয়োজন একটা কাজের। এসময় আর্নেস্তো তার বাবার এক পরিচিত বন্ধুর সহায়তায় টাউন কাউন্সিলের বিতরণ বিভাগে কাজ নেন এবং একই বিভাগে আর্নেস্তো পশুর টিকাদানের কাজ করেন। ডাক্তারি পড়ার সময় ১৯৫০ সালে রোজগার আর অচেনা দ্বীপের মানুষকে জানতে চাকরি নেন বাণিজ্যিক জাহাজে। পুরুষ নার্স হিসেবে জাহাজে চড়ে ঘুরে বেড়ান ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল আর ত্রিনিদাদের বন্দর। সমুদ্রপথে জাহাজেই দেখা পান তৎকালের সেরা অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সালভাদোর পিসানির। ডাক্তারি পড়ার সময় আর্নেস্তোর সুবর্ণ সময় হলো ডা. সালভাদোর পিসানির সঙ্গে সাক্ষাৎ। সেসময় উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের দরিদ্র বসতিগুলোতে হানা দিত এলার্জি ও কুষ্ঠরোগ। পিসানি তার গবেষণার দ্বারা একটি ইঞ্জেকশন আবিষ্কার করলেন যার দ্বারা অ্যালার্জির মতো রোগ স্বমূলে নিরাময় সম্ভব। ডা. পিসানিকে আর্নেস্তো গভীর শ্রদ্ধা করতেন আবার পিসানিও বুঝতেন আর্নেস্তোর অনুসন্ধানী মনের কথা। আর্নেস্তো গুয়েভারা পড়াশোনার পাশাপাশি ডা. পিসানির চিকিৎসালয়ে কাজ করতেন এবং অবসর সময়ে পিসানির গবেষণাগারে কীটনাশক ওষুধ নিয়ে গবেষণা করতেন। ডাক্তার পিসানির গবেষণাগার থেকে বিশ্ববাসী একজন মানবতাবাদী গবেষক ডা. আর্নেস্তো গুয়েভারাকে পায়। তিনি গামেক্সন নামক ওষুধের আবিষ্কারক। এই সেদিনও পেস্নগ ছিল এক ভয়ঙ্কর বিনাশী রোগের নাম। ডা. আর্নেস্তোর আবিষ্কৃত গামেক্সন ছিল পেস্নগের বিরুদ্ধে কার্যকরী। তিনি এটাকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করতে চাইলেন। বাড়িতে সবার সঙ্গে বসে পণ্যের নাম ঠিক করলেন আত্তিলা কিন্তু এই নামে আগেই একটি পণ্য থাকায় কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন দেননি। এরপর ট্রেডমার্কের জন্য পণ্যের নাম ঠিক করা হলো ভেন্ডাভাল। এই সময় ডা. পিসানির চিকিৎসাপদ্ধতি অবলম্বন করে ডা. আর্নেস্তো একজন পেরুবাসীকে অ্যালার্জি থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলেন। পেরুবাসী যন্ত্রণাদায়ক অ্যালার্জি রোগ থেকে সুস্থ হয়ে কৃতজ্ঞতাস্বরূপ ভেন্ডাভাল বাজারজাত করার জন্য আর্নেস্তোর সঙ্গে থেকে কাজ করেন। ব্যবসাটি আর্নেস্তো বেশিদিন না করলেও এটা সত্য যে, পরবর্তী সময়ে বিশ্বের ওষুধশিল্প যে আধুনিক স্থান পেয়েছে তার আবিষ্কারক আর্জেন্টিনার বিপস্নবী ডা. আর্নেস্তো চে গুয়েভারা দে লা সেরনা। ১৯৫৩ সালের ৭ জুলাই ডা. আর্নেস্তো গুয়েভারা বন্ধু কার্লোস কালিসা ফেরারকে সঙ্গী করে পা বাড়ান পৃথিবীর ছাদ বলিভিয়ার পথে। বলিভিয়ার লাপাজে আর্নেস্তো চেয়েছিলেন টিনের খনিতে শ্রমিকের কাজ করবেন কিন্তু কাজের মেয়াদ মাত্র একমাস হওয়ায় তা প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৫৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর আর্নেস্তো বন্ধু গুয়ালো গ্রাসিয়ার সঙ্গে গুয়াতেমালা আসেন ভবঘুরে হিসেবে। আর্নেস্তো ডাক্তার পরিচয়ে গুয়াতেমালার জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গেলেন কিন্তু চাকরি হলো না। হাতে খাবার কেনার পয়সা নেই, পেটে ক্ষুধার জ্বালা। এসময় আর্নেস্তো গুয়াতেমালার রাস্তায় নানান পেশার লোকজনের সঙ্গে মিশে শ্রমের বিনিময়ে রোজগার করতেন। রাস্তায় ঘুরে ঘুরে অভিধান বিক্রি, পেস্নকার্ড তৈরির কারখানায় পেইন্টার, টাইপ রাইটার, বইয়ের অনুলিখন ছাড়াও প্রতিদিন এক পেসোর বিনিময়ে একজন ভিনদেশিকে স্পেনিশ ভাষা শিক্ষা দিতেন। আর্জেন্টিনায় থাকাকালে আর্নেস্তো তার ফটোগ্রাফার বন্ধু এডোলোফোর কাছে ফটোগ্রাফি শিখেছিলেন। গুয়াতেমালার দুর্মর দিনে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে পকেটের সর্বশেষ পেসো দিয়ে ক্যামেরা কিনলেন এবং সারাদিন রাস্তায় ঘুরে ছবি তুলে তা বিক্রি করতেন। ডা. আর্নেস্তো যখন গুয়াতেমালায় আসেন তখন এটি খুনের শহর। একদল খুন করছে আর কিছু অসহায় মানুষ খুন হচ্ছে। ডা. আর্নেস্তো গুয়াতেমালা শ্রমিক দলে যোগ দিয়ে ট্রেড ইউনিয়নে ডাক্তার হিসেবে কাজ নেন। তবে গুয়াতেমালায় ট্রেড ইউনিয়নে ডাক্তার হিসেবে কাজ করার ব্যাপারে পেটের দায়ে রোজগার ছাড়াও তার মূল উদ্দেশ্য ছিল চলমান হত্যা আর লুণ্ঠনের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কথা বলা।

হন্ডুরাস বাহিনী গুয়াতেমালা আক্রমণ ১৯৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে ডা. আর্নেস্তো চে গুয়েভারা বিপস্নবী বন্ধু নিকো লোপেজের সঙ্গে একজন নির্বাসিত হিসেবে মেক্সিকো আসেন। নির্বাসিত ডা. আর্নেস্তো মেক্সিকো এসে রোজগারের দায়ে শহরের রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ছবি তোলার কাজ করতেন। একজন স্ট্রিট ফটোগ্রাফার হিসেবে যা আয় হতো তা দিয়েই বাসা ভাড়া আর কোনোমতো খেয়ে-দেয়ে দিনযাপন করতেন। ১৯৫৫ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আমেরিকান গেমস। তৎকালে মেক্সিকো শহরের বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত গেমসে ২২টি দেশ অংশগ্রহণ করে। আর্নেস্তো সাংবাদিক হিসেবে খেলার ছবি ও খবর সংগ্রহ করতেন এবং বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সাংবাদিকদের গাইড হিসেবে কাজ করতেন। ইতোমধ্যে আর্নেস্তো ডাক্তার পদে মেক্সিকো সদর হাসপাতালে অ্যালার্জি বিভাগে চাকরি পান। হাসপাতালে চিকিৎসকের চাকরি ছাড়াও মেক্সিকোর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বিভাগে লেকচারার হিসেবে কাজ করেন। আর্নেস্তো চে গুয়েভারা লা বান্দা গ্রামের এক অচেনা পথিক। চুকিকামাতা তামার পাহাড়ে চিলিয়ান লোকসংগীত শুনতে শুনতে হেঁটে গেছেন সিসার মরুভূমি। পৃথিবীর নাভি পেরিয়ে দেখেছিলেন অনেক দূরের দ্বীপ। যিনি আতাকামা মরুভূমির মৃতু্যময় হিম রাতে কারাভোগী এক শ্রমিক দম্পতিকে ছুটতে দেখেছেন শ্রমিক বিপস্নবের অনিবার্য পথে। চে তখন কিউবায় বিপস্নবী সরকারের মন্ত্রী। তিনি জানতেন শ্রমিকের হাতেই পারবে স্বনির্ভর কিউবা গড়তে। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ছুটির দিন চে নিজে আপামর জনগণের সঙ্গে মিশে কারখানায় বিনে পারিশ্রমিকে কাজ করতেন। মন্ত্রী হয়েও কাস্তে হাতে কিউবার প্রধান অর্থকরী ফসল আখ ক্ষেতে কাজ করেছেন শ্রমিকদের সঙ্গে। মন্ত্রী চে গুয়েভারার স্বেচ্চায় দিনমজুরিতে উৎসাহিত হয়ে কিউবার স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও ছুটির দিনে বিদ্যালয় পরিষ্কারসহ নানান উৎপাদনমূলক কাজে অংশগ্রণ করতেন। মূলত আজন্মই চে'র ভেতরে শ্রমিক সত্তা বাস করেছে। ১৯৫৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর চে ইউনিভার্সিটি অব লাস ভিয়াসের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। চে ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, আমি মাটির সন্তান। শিক্ষা সবার তাই কিউবার প্রতিটি ঘরে ঘরে রুটির সঙ্গে শিক্ষাকে পৌঁছে দিতে হবে। চে গুয়েভারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বলেন, পুরনোকে ঝেড়ে ফেলুন। নিজেকে সামিল করুন সমাজের কালো, মিশ্রবর্ণ, শ্রমিক এবং কৃষকের কাতারে।

শাহ বুলবুল

ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<59137 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1