বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যাকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। সরকারের টানা ১০ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকার পরও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে না আসার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ২২ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

গত বছরে ২৯ জুলাই রাজধানীতে সড়কে দুজন কলেজ শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাস্তায় নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। সরকারি সংস্থাগুলো সে সময় বলেছিল, শিশুদের এ আন্দোলন তাদের চোখ খুলে দিয়েছে। সড়ক পথে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নেয়া হয় নানা উদ্যোগ, পরিকল্পনা, প্রতিশ্রম্নতিও। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য যে, চোখ খুলে দেয়ার পরও সড়ক পথে থামছে না মৃতু্যর মিছিল। এবারে ঈদের আগে ও পরে সড়ক দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানিতে স্বজন হারানো পরিবারে ঈদের আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। নেমে আসে শোকের ছায়া।

সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের জাতীয় জীবনে একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যাকে কোনোভাবেই ছোট করে দেখার অবকাশ নেই বরং সড়ক দুর্ঘটনা রোধ জাতীয় দাবি হওয়া উচিত। কারণ যেভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিনিয়ত মানুষের প্রাণ ঝরে যাচ্ছে, তাতে যেন জীবনের কোনো মূল্য নেই। পত্রিকার পাতা খুললেই দুর্ঘটনার খবর আমাদের চোখে পড়ে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, ঘর থেকে বাইরে গিয়ে সুস্থ অবস্থায় ঘরে ফেরা যাবে এমন নিশ্চয়তা নেই। জন্ম-মৃতু্য এটা মানুষের চিরন্তন খেলা। প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে মানুষ পৃথিবীতে আসে ও যায়। সময় ও জলস্রোতকে মানুষ যেমন কোনোভাবেই ধরে রাখতে পারে না, তেমনি মৃতু্যও। প্রতিটি মৃতু্যই বেদনা দায়ক। তবে এমন কিছু মৃতু্য আছে যা মানুষ সহজেই মেনে নিতে পারে না। রোগে শোকে, বার্ধক্যে মানুষের মৃতু্য হলে স্বজনরা যতটুকু আহত হন তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যথিত হয় দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে। যাকে বলা হয় অধিক শোকে পাথর। এ কারণে প্রতিটি মানুষ স্বাভাবিক মৃতু্য কামনা করেন। কিন্তু হঠাৎ কোনো দুর্ঘটনায় কারও জীবন প্রদীপ নিভে গেলে তা কেউ মেনে নিতে পারে না। উপরন্তু একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। কেননা, দুর্ঘটনায় যারা আহত হয় সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে তাদের দুঃখ দুর্দশা শতগুণে বেড়ে যায়। আবার একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি যদি দুর্ঘটনায় মারা যায় তাহলে সে পরিবারে ঘোর অন্ধকার নেমে আসে। তবে মারা যাওয়া বা আহত এমনকি পঙ্গুত্ব বরণ করা যাই হোক না কেন এটি একটি পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। অথচ আমরা প্রতি মুহূর্তে এ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় যে, দুর্ঘটনায় মৃতু্য রোধ করা যাচ্ছে না। তার বড় প্রমাণ প্রতিদিন দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা।

এবারে ঈদের আগে ও পরে ফেনী, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ মারা যায়। এদিকে গত শনিবার পৃথক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীসহ ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয় অনেকেই। এদের মধ্যে নববিবাহিত হানিমুনে যাওয়া শিক্ষার্থীও ছিল। এভাবে প্রায় প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বর্তমান সমাজের কোনো মানুষের জীবন নিরাপদ নয়। সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের করুণ মৃতু্য, সুস্থ বিবেকবান মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই মানুষ এখন কোথাও নিরাপদ বোধ করতে পারছে না। ঘর থেকে বের হলেই সুস্থভাবে যে আবার ঘরে ফিরে আসবে এ নিশ্চয়তা নেই কারও। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ জনগণ, পথচারী থেকে শুরু করে বিদ্যালয়গামী শিশু-কিশোরসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, ব্যবসায়ী, জাতীয় সংসদ সদস্যসহ অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা এককভাবে কাউকে দায়ী করা সঙ্গত হবে না। কারণ দুর্ঘটনার অনেক কারণ রয়েছে। বিষেজ্ঞদের মতে, চালকদের অসাবধানতা, অদক্ষতা, ত্রম্নটিপূর্ণ যানবাহন, দুঃসাহসিকতার প্রমাণ দেয়ার অপচেষ্টা, ওভারটেকিং, ছোট যানবাহনের সংখ্যাধিক্য, সড়কের দুপাশে অবৈধ হাটবাজার, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা, অতিরিক্ত মাল ও যাত্রী বোঝাই, লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালক ইত্যাদি। তবে সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ চালকের অসাবধানতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী, চলন্ত বাসে চালকের মুঠোফোন ব্যবহারের প্রবণতা। তা ছাড়া একজন চালকের অবৈধ লাইসেন্সের ব্যাপারও জড়িত। অনেক চালকের বৈধ লাইসেন্স নেই। বিআরটিএর হিসাব মতে বর্তমান দেশে যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ। লাইন্সেসধারী চালকের সংখ্যা প্রায় ১৯ লাখ। অর্থাৎ প্রায় ১৬ লাখ যানবাহন চলছে ভুয়া চালক দিয়ে। অবশ্য কিছু কিছু চালকের একাধিক শ্রেণির লাইন্সেস রয়েছে। এটা হিসাব ধরলে লাইসেন্স আছে ২৬ লাখের কিছু বেশি। আমাদের দেশটা এমন হয়েছে যে, টাকার জোরে অনেক কিছু অসাধ্য সাধন করা যায়। যাদের সাবধানতা দক্ষতার ওপরে অনেক যাত্রীর প্রাণ রক্ষা পাওয়ার কথা অথচ তাদের কোনো বৈধ লাইসেন্স ও দক্ষতা নেই। এ সমস্ত অদক্ষ চালকের দ্বারাতো দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। হচ্ছেও তাই। এ সমস্ত লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালকের অসাবধানতার জন্য কত মানুষের যে জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে তার কোনো হিসাব নেই।

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। দেশের রাস্তাগুলো ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে কিন্তু সড়ক পথে মৃতু্য থামানো যাচ্ছে না। দুর্ঘটনা যেন আমাদের পিছু ছাড়ছে না। তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়। স্বাভাবিক মৃতু্যর গ্যারান্টি কোথায়। আমাদের বিভিন্ন ধরনের যান চালকরা যদি একটু সতর্ক হয়ে গাড়ি চালান তাহলে দুর্ঘটনা কমবে। কিন্তু দেখা যায়, অধিকাংশ চালকরা এ সতর্কতা বা সাবধানতা অবলম্বন করে না। ওভারটেক বা দ্রম্নত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা পতিত হন তাতে বহু মানুষের মৃতু্য ঘটে। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে কেউ আইন মানতে চায় না। আইন না মানার প্রবণতা সড়ক পথে ঝুঁকি বাড়ছে। যানবাহন চালক, পথচারী সবাইকে আইন মেনে চলা উচিত। সবার মনে রাখা দরকার একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। কিন্তু এই কান্না থামছে না।

এ সব দুর্ঘটনার দায় ভার তো কেউ নিতে চায় না- না সরকার, না চালক, না মালিকপক্ষ। সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনগুলো জোরালো কোনো প্রতিবাদ করে না। প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা একেবারে কম নয়, বরং রাজনৈতিক সহিংসতার চেয়েও বেশি। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার কোনো সুষ্ঠু বিচার হয় না। অপরাধী বা দোষীদের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ দৃশ্যমান নয়। যদিও দুই শিক্ষার্থীর মৃতু্যর ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক, চালক ও হেলপারের বিচার শুরু হয়েছে। আমরা পথচারী সাধারণ মানুষ যেন অসহায়। আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের আর কতকাল দুর্বিষহ মৃতু্য যন্ত্রণা ও দুর্ঘটনায় মৃতু্যর বীভৎস দৃশ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে হবে, স্বজনদের আহাজারি শুনতে হবে। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় যে শুধু মাত্র পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা নয়, রাষ্ট্রও আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অ্যাকসিডেন্ট রিসার্স ইনস্টিটিউটের হিসাব মতে, প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়। এর মধ্যে যানবাহন ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। আর্থিক ক্ষতি মোট জিডিপির শতকরা ২ ভাগ। অপর দিকে দেশের স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশ খরচ হয় দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসায়। তাহলে আমরা দেখছি, সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ বহুমাত্রিক। একদিকে দুর্ঘটনায় পতিত পরিবার, রাষ্ট্রের অর্থ অপচয়, অপরদিকে যানবাহন। কিন্তু সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা রোধে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে না। এটা হতে পারে শ্রমিক-মালিকদের স্বার্থের কাছে পথচারী বা সাধারণ জনগণের স্বার্থ গৌণ। অথচ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরাতে আইন করা হয়। কিন্তু সে আইন কেউ মানছে না।

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৯৯৩ জন লোকের বসবাস। জনসংখ্যাও অধিক, প্রায় ১৬ কোটি। ১৬ কোটি লোকের এ দেশে রাস্তাঘাটে প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু প্রচুর যানবাহনের মধ্যে সব যানবাহন যে, চলার উপযোগী তা নয় কিন্তু; এর মধ্যে অনেক ত্রম্নটিপূর্ণ যানবাহনও রয়েছে এবং অদক্ষ চালকও রয়েছে। এ সমস্ত যান ও চালকের দ্বারা দুর্ঘটনা ঘটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কাজেই সড়ক পথে যানবাহন চলার ক্ষেত্রে সুস্থ নিয়ম নীতিমালা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। চালকদের কোনো জবাব দিহিতা নেই। ফলে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে এবং তাতে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৫ হাজার ছোট বড় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আবার সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআরটিএর হিসাব মতে প্রতিদিন সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ৩০ জন। সে হিসাব মতে বছরে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৮শ জন। আবার বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বছরে ১২ হাজার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রেকর্ড অনুযায়ী ২০ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। অন্যদিকে বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্স ইনস্টিটিউট (এআরআই) এবং নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিবছর ১২ হাজার মানুষ নিহত হন। বিভিন্ন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যানে নিহতের সংখ্যা কিছু তারতম্য থাকলেও বছরে ১০-১২ হাজার মানুষ শুধু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার খতিয়ান আমাদের পিলে চমকে দেয়ার মতো। এত মানুষ শুধু সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতু্য হচ্ছে অথচ প্রশাসন বা চালকদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আমরা জানি পৃথিবীর সবদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু বাংলাদেশ এ দুর্ঘটনা ও মৃতু্যর সংখ্যা অনেক। পৃথিবীর উন্নত বা সাধারণ রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশে দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ বা শাস্তির বিধান দৃশ্যমান নয়, বিশেষ করে, সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে। অথচ পৃথিবীর সব রাষ্ট্রে আইন মেনে চলা ও তার সুষ্ঠু প্রয়োগ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে তা নেই। আবার তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তার রিপোর্ট অধিকাংশ ক্ষেত্রে আলোর মুখ দেখে না। ফলে চালকরাও বেপরোয়া। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের মৃতু্য ঘটছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ, সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃতু্য সহজে মেনে নেয়া যায় না। এর প্রতিকার চাই, আমরা দেখতে চাই নিরাপদ সড়ক, সড়ক পথে কোনো প্রাণহানি নয়, দেখতে চাই স্বাভাবিক মৃতু্যর গ্যারান্টি।

সড়ক দুর্ঘটনা একটি জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যাকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। সরকারের টানা ১০ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকার পরও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে না আসার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত।

মালিক, চালক শ্রমিকদের মধ্যে একটি অসুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে। মামলা দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না। এ খাতে জড়িয়ে আছে রাজনীতি, স্বার্থের দ্বন্দ্ব। তাই নির্মোহভাবে ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে মালিক, শ্রমিক,পথচারী সবাইকে আইন মেনে চলা ও মানসিক পরিবর্তন দরকার।

মোহাম্মদ নজাবত আলী: শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<63296 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1