টাকার ওপর কিছু লিখবেন না
টাকার ওপর বিভিন্ন ধরনের অঙ্কন, ঠিকানা, মোবাইল ফোন নম্বর লেখাযুক্ত নোট প্রায়ই আমাদের হাতে আসে। শুধু ঠিকানা বা ফোন নম্বরই নয়। টাকায় অনেকে আজে বাজে মন্তব্যও লিখে থাকেন। আর টাকার নোটের প্রতি অবহেলা তো রয়েছেই। আমরা অনেকেই টাকাকে যেভাবে যত্ন করে রাখা উচিত, সেভাবে রাখি না। আবার ব্যাংকগুলোতে নোট সংরক্ষণের সময় পেরেক দিয়ে গেঁথে করা হয়, যা বিশ্বে কোথাও দেখা যায় না। ফলে আমাদের দেশের একটি নোটের আয়ুষ্কাল খুবই কম হয়ে থাকে।
আমাদের দেশের নোটগুলো শুধু আমরাই ব্যবহার করি তা নয়, দেশে অবস্থানকারী অনেক বিদেশিও করে থাকেন। অনেক বিদেশি আছেন, যারা বাংলা বলতে, পড়তে ও লিখতেও পারেন। তাদের কাছে দেশের টাকার এ বেহাল দশা দেখাতে আমাদের লজ্জা থাকা উচিত। টাকা হলো, চলমান ডায়রি। এটি একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আমাদের মননশীলতার পরিচয় বহন করে থাকে। বিদেশি নোটগুলোতে আমরা কোনো দাগ বা একটির বেশি ভাঁজ দেখতে পাই না। কিন্তু আমাদের দেশের নোটগুলো যেন পাবলিক ক্যানভাস। সেখানে মুক্ত শিল্পচর্চার একটা প্রয়াস দেখা যায়। আমরা যে জাতি হিসেবে কুরুচিপূর্ণ ও নোংরা তার আরেকটি প্রমাণ দিয়ে থাকি টাকার নোটের মাধ্যমে।
বিদেশি সুন্দর ও পরিষ্কার নোটগুলো দেখে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত। যারা টাকায় ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি লিখে থাকেন, তাদের মানসিকতা কুরুচিপূর্ণ, এতে সন্দেহ নেই। তাই আসুন, আমরা আমাদের টাকাকে মূলবান ভাবতে শিখি এবং একে বিকৃত করা থেকে নিজেদের বিরত রাখি। আইন প্রণয়ন করে এটি বন্ধ করা সত্যিই কঠিন। আমরা সচেতন হলেই এটি অনেক সহজে করা সম্ভব।
সাজ্জাদ হোসেন রিজু
ঝিনাইদহ
প্রতিটি স্কুলে গান শেখানোর ব্যবস্থা করুন
এখন সময় অনেক বদলেছে। আমরাও বদলে যেতে চাই। প্রযুক্তির এ যুগে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে তাই আমাদের অনেক বাড়তি কাজ করা প্রয়োজন। অনেক বিষয়েই আমাদের সন্তানেরা বিদেশে সুনামের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদেরও দ্রম্নতগতিতে এগোতে হবে। এজন্য প্রথমে শিক্ষার দিকে আমাদের নজর দিতে হবে।
গ্রাম ও শহরের স্কুলগুলোতে শুধু পাঠ্যবইয়ের পড়া শেখানো ছাড়া বাড়তি তেমন কিছুই শেখানো হয় না। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকার স্কুলগুলোতে লেখাপড়ার পাশাপাশি স্কুলেই শিক্ষার্থীদের অনেক কিছু শেখানো হয়। সেখানকার শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গেই সেখানে অনেক কিছু শেখে। যেমন: সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, শরীরচর্চা, খেলাধুলা, হাতের কাজ ইত্যাদি। আমাদের দেশেও এমনটি চালু করা যেতে পারে সহজেই। স্কুলকে আমরা শুধু লেখাপড়া শেখার জায়গা ভাববো কেন? স্কুল হবে এমন একটি জায়গা, যেখানে একজন শিক্ষার্থী স্বেচ্ছায় আনন্দ উপভোগের মাধ্যমে তার জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই শিখবে।
প্রাথমিকভাবে আমরা গানের মাধ্যমে আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারি। প্রতিটি স্কুলে গান শেখানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে শিক্ষার্থীদের স্কুলের প্রতি যেমন আগ্রহ বাড়বে, তেমনি আমরা পরিবর্তনের একটি ধারা শুরু করতে পারবো।
আইরিন সুলতানা সনজু
চট্টগ্রাম