শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক আইনের ত্রম্নটিতে জড়িতদের শাস্তি প্রয়োজন

দেশে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তার ধারাবাহিকতায় সড়ক পরিবহণ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের অশুদ্ধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এই খাতে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু আইন নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যেহেতু নিজেই স্বীকার করেছেন, বিআরটিএ-তে দুর্নীতিবাজ চক্র ও ভূত আছে। সেহেতু এই চক্রকে উৎখাত করার দায়িত্বও তাকে নিতে হবে। জনগণ এখন আর বক্তব্য নয়, অ্যাকশন চায়। সড়ক পরিবহণ খাতে নৈরাজ্যের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি করে রাখা সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে শাস্তির আওতায় আনাই সেই অ্যাকশনের অংশ। সর্বোপরি আইনটি নিয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি আরও জোরদার করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে বিআরটিএ, ট্রাফিক বিভাগ, সড়ক পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম হওয়াও জরুরি
নতুনধারা
  ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সদ্য বাস্তবায়ন হওয়া সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আশাবাদ লক্ষ্য করা গেলেও নানাবিধ ত্রম্নটির কারণে সঙ্কটও কম নয়। সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়হীনতা এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে এ সঙ্কট তৈরি হয়েছে। ১ নভেম্বর ২০১৯ থেকে সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন হলেও এখন পর্যন্ত আইনটির প্রয়োগ নিয়ে নানা সমস্যা এবং ত্রম্নটির কথা উঠে এসেছে। সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, আইনে বিমা, ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, ড্রাইভিং, পরীক্ষার সিলেবাস, গাড়ি চালনার নিয়মসংক্রান্ত বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ধারা ও বিবরণ বাদ পড়ায় আইনটির প্রয়োগ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। যতটুকু বোঝা যাচ্ছে, এই আইনের বিধিমালা প্রয়োগ না করা পর্যন্ত জোরালো কোনো অভিযানেও যেতে পারছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।

জানা গেছে, নতুন সড়ক পরিবহণ আইনে ইন্সু্যরেন্স বা বিমার বিবরণ থাকলেও তা না মানলে কি শাস্তি হবে সে কথাটি উলেস্নখ করা নেই। বিমার বিবরণে বলা হয়েছে, মোটরযানের মালিক বা প্রতিষ্ঠান বিমা করবেন। ক্ষতি বা নষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ পাবেন। কিন্তু আইনের অপরাধ ও দন্ড বিভাগে বিমা না করার শাস্তির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে নতুন আইনে গাড়ির বিমা না থাকলে কোনো মামলা বা জরিমানা গুনতে হবে না মোটরযান মালিক বা প্রতিষ্ঠানকে। অথচ মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ অনুযায়ী, এ ক্ষেত্রে ৭৫০ টাকা জরিমানা করা হতো। ওই আইনের ১৫৫ ধারা অনুযায়ী ২ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান ছিল।

এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া, ফিটনেস, ড্রাইভিং, পরীক্ষার সিলেবাস, গাড়ি চালনার নিয়মসংক্রান্ত বেশকিছু প্রয়োজনীয় ধারা ও বিবরণ বাদ পড়ায় আইনটি প্রয়োগ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ড্রাইভিং পরীক্ষা, সাইন ও সিগন্যালের বর্ণনাসহ এ পর্যন্ত নতুন আইনে ছয়টি অসঙ্গতি চিহ্নিত হয়েছে। বিআরটিএ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অসঙ্গতির জন্য প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রমেও সমস্যা হচ্ছে। ২০১৮ সালের সড়ক আইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের নির্ধারিত পদ্ধতির তফসিল না থাকায় বিপত্তির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে মোটরযান অধ্যাদেশে গাড়ি রেজিস্ট্রেশনের নির্ধারিত পদ্ধতি হলো প্রদর্শনের জন্য সুস্পষ্ট চিহ্ন বা রেজিস্ট্রেশন মার্ক। এতে নিবন্ধন নম্বর নির্দিষ্ট এলাকার কোন তফসিলে ও বর্ণমালায় হবে তাও উলেস্নখ ছিল। সেখানে সর্বোচ্চ চার অঙ্কবিশিষ্ট একটি নম্বর পাওয়া যেত।

ফিটনেসের মেয়াদ হবে এক বছর এমনটি আগের মোটরযান অধ্যাদেশে বলা থাকলেও নতুন আইনে এ সম্পর্কে কোনো নির্দেশনা নেই। এর ফলে ফিটনেস নবায়ন না করলে এ মুহূর্তে কি শাস্তি হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া গাড়ির রুট পারমিটের ব্যাপারে নতুন আইনে কোনো নির্দেশনা নেই। আর আগের মোটরযান অধ্যাদেশে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল। আগের আইনে ড্রাইভিং পরীক্ষার সিলেবাস তফসিলভুক্ত করে নিয়ে বিস্তারিত বলা থাকলেও নতুন সড়ক পরিবহণ আইনে ড্রাইভিং পরীক্ষার সিলেবাস বা তফসিল নেই। কিন্তু আগের আইনের ১০ম তফসিলে গাড়ি চালনার নিয়ম বর্ণনা আছে। আগের আইনের ধারা ৮৯, ৯১, ৯২ অনুযায়ী ট্রাফিক সাইন ও সিগন্যালের বিবরণ থাকলেও নতুন আইনে তা নেই।

এর পাশাপাশি নতুন সড়ক আইনে বহু জটিলতার কথা জানা যাচ্ছে। এই জটিলতা নিয়ে কেন আইনটি বাস্তবায়ন করা হলো সে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে জ্ঞানসম্পন্ন সরকারি ব্যক্তিরা নিশ্চয়ই তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি। আগের আইনের সঙ্গে এবারের আইনের কোন কোন অংশে সাযুজ্য রয়েছে বা কোন কোন অংশ সাংঘর্ষিক সে বিষয়টি পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনদের জানানো দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উচিত ছিল। সেটি না করায় যে সমস্যা-সঙ্কট, সমালোচনা ও বিতর্ক তৈরি হয়েছে তার দায় কিন্তু সরকারকে বহন করতে হচ্ছে। কিন্তু এটি পূর্বাপর পর্যালোচনার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের। অবশ্য বিআরটিএ-এর সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, ড. কামরুল আহসান সম্প্রতি জানিয়েছেন, আইনের বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি কাজ করছে। কোথাও কোনো অসঙ্গতি থাকলে এর সমাধান হবে। তার এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই। সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, ভুলে বাদ পড়েছে অনেককিছু। কেন ভুল হলো? এই ভুলের পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা সেটি কি ঊর্ধ্বতনরা একবারও ভেবে দেখেছেন? আইনটির প্রজ্ঞাপন জারির আগে বা বাস্তবায়নের আগে দায়িত্ব পালন করেননি কারা এবং কী কারণে তা করেননি সেটি খুঁজে তদন্তসাপেক্ষে শাস্তি হওয়া জরুরি।

একথা কে না জানে, সড়ক পরিবহণের সঙ্গে জড়িত সরকারি বিভাগগুলো ভূতে ভরা। এখানে নিয়মিত অপকর্ম চলে। সে কারণে এর আগে থাকা অধ্যাদেশটিও কোনো কাজে আসেনি। বিআরটিএ বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগে কর্মরতদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সড়ক ব্যবস্থাপনার সঙ্কট বা সড়ক-মহাসড়কে চলমান নৈরাজ্যের জন্য পরিবহণ মালিক-শ্রমিক সংগঠন, বিএরটিএ, ট্রাফিক বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি বিভাগগুলো দায়ী। এরা সবাই মিলে এই সেক্টরকে তাদের মতো করে সাজিয়েছে। আর দিনের পর দিন জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাষ্ট্রও অধিকাংশ সময় সড়ক পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের দাবিকে প্রাধান্য দিয়েছে। বিআরটিএ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের অপকর্ম এড়িয়ে গেছেন ঊর্ধ্বতনরা। ট্রাফিক বিভাগ তো ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনদাবি মাথায় রেখে সড়ক পরিবহণ খাতে নৈরাজ্য বন্ধ করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা বিতর্কিত করতে নানা মহল সচেষ্ট রয়েছে বলে জানা যায়। সেই মহলগুলো চিহ্নিত করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে এ খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে।

আইন নিয়ে এই জটিলতার কারণে সরকারকেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। যা সরকারকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আইনের সঙ্কটের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'এ আইনের শুরুতে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়েছিল। একই কারণে এবার আরও এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হলো।' কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সচেতনতা কি সৃষ্টি হয়েছে? এক কথায় বলা যায় হয়নি। কেন হয়নি এমন প্রশ্ন উঠলে খুব সহজেই বলা যেতে পারে, আইনটি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা 'বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো' কাহিনী করছেন। সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগগুলোতে থাকা দায়িত্বশীলরা হয়তো ভাবছেন, আগের আইনের মতো এটিও একসময় বাক্সবন্দি করবেন। বারবার সময় বৃদ্ধি বা আইনের প্রয়োগ নিয়ে জটিলতা এর জন্য যারা দায়ী তাদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি। রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহণ নতুন আইন কার্যকর নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদেরের মুখে আরও উচ্চারিত হয়, 'বিআরটিএ কর্মকর্তারা যদি দুর্নীতি করেন তাহলে তাদের ছাড় না দিয়ে বাদ দিতে হবে। এ প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে। তার মতে, বিআরটিএর ভেতরেও দালাল আছে, তা না থাকলে বাইরের দালাল থাকে কীভাবে? তাদেরও সরিয়ে দিতে হবে।' সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন মন্ত্রী যখন এভাবে কথা বলেন, তখন মানুষ আশান্বিত হয়। কিন্তু তার বাস্তবায়ন না হলে মানুষের হতাশা দ্বিগুণ হয়। মন্ত্রী যেহেতু নিজেই বিআরটিএর দুর্নীতির কথাটি তুলে এনেছেন সেহেতু জনগণ এই প্রতিষ্ঠানে থাকা দুর্নীতিবাজদের চূড়ান্ত শাস্তি আশা করছে। মন্ত্রীর মতে, বিআরটিএর ভেতরে দালাল আছে। তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। এই মন্ত্রণালয়কে অনেক গতিশীল করেছেন ওবায়দুল কাদের। তারপরও তার অধীন মন্ত্রণালয়ের দালাল থাকে কি করে?

সড়ক পরিবহণ খাত নিয়ে জনগণের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। দেশের এ খাতটি যতটা না সেবা দিচ্ছে তার চেয়ে বেশি সঙ্কট তৈরি করছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করছে সড়ক পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠন। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগ। নতুন সড়ক আইন পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে এদের সবার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে। যিনি আইন ভাঙবেন তিনি যত ক্ষমতাশালীই হোন না কেন রেহাই দেয়া চলবে না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মনিটরিংয়ের দায়িত্বপালনকারী বিআরটিএ ও ট্রাফিক বিভাগে সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আইন প্রয়োগকারীরা নানাভাবে আইন না মানতে উদ্বুদ্ধ করেন জনগণকে। সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাস্তবায়ন হওয়া নতুন সড়ক আইন এরই মধ্যে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোও এ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। কিন্তু যারা এই গ্রহণযোগ্যতা ও আশাবাদে নতুন সঙ্কট তৈরি করেছে তাদের কোনো ছাড় দেয়া যাবে না।

\হদেশে যে শুদ্ধি অভিযান চলছে তার ধারাবাহিকতায় সড়ক পরিবহণ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পর্যায়ের অশুদ্ধ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এই খাতে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু আইন নয়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যেহেতু নিজেই স্বীকার করেছেন, বিআরটিএ-তে দুর্নীতিবাজ চক্র ও ভূত আছে। সেহেতু এই চক্রকে উৎখাত করার দায়িত্বও তাকে নিতে হবে। জনগণ এখন আর বক্তব্য নয়, অ্যাকশন চায়। সড়ক পরিবহণ খাতে নৈরাজ্যের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি করে রাখা সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে শাস্তির আওতায় আনাই সেই অ্যাকশনের অংশ। সর্বোপরি আইনটি নিয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি আরও জোরদার করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে বিআরটিএ, ট্রাফিক বিভাগ, সড়ক পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম হওয়াও জরুরি।

সোহেল হায়দার চৌধুরী: বিশেষ সংবাদদাতা, দৈনিক যায়যায়দিন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<75039 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1