বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রেল দুর্ঘটনা: জবাবদিহিতার বিকল্প নেই

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুধাবন করতে হবে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। যুদ্ধের মতো দুর্ঘটনাও একটি পরিবারকে নিমিষে নিশ্চিহ্ন করতে পারে।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

একজন মানুষ কখনো জানতে পারে না তার মৃতু্য কীভাবে হবে। স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক তা কেউ বলতে পারে না। তবে প্রতিটি মানুষই স্বাভাবিক মৃতু্য কামনা করে। কিন্তু যখন কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা বা অন্য কোনোভাবে অস্বাভাবিক মৃতু্য হয় তখন আমাদের সমাজের কিছু মানুষ আছে সচেতনতার অভাবে তারা বলতে থাকে সবই আলস্নাহর ইচ্ছা। আবার জ্ঞানী-গুণীরা বলে থাকেন, সতর্কতার মার নেই। অর্থাৎ সতর্ক হলে অনেক দুর্ঘটনা থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি।

ব্রাহ্মবাড়িয়ার আখাউড়ার কসবার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের আউটার সিগন্যালে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৬ জনের মৃতু্য এবং আরও শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। সিগন্যাল অমান্যের কারণেই মঙ্গলবার ভোর রাতে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, এমনটিই জানিয়েছে মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার। এঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তিনি জানান, উদয়ন এক্সপ্রেস এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করছিল। এ সময় তূর্ণা নিশীথাকে আউটারে অবস্থান করার জন্য সিগন্যাল দেয়া হয়। কিন্তু সিগন্যাল অমান্য করে ট্রেনটি মূল লাইনে ঢুকে পড়লে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনার পেছনে সিগন্যাল অমান্য করার জন্য তূর্ণা নিশীথার চালককে দায়ী করেছেন জেলা প্রশাসক। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চালক গেটম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ জুলাই সোমবার সিরাজগঞ্জের ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় বর-কনেসহ ১১ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। নিষ্ঠুর ট্রেন কেড়ে নিল তাদের জীবন। দুটি ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষে তাদের করুণ মৃতু্য হলো এর দায়ভার নেবে কে? প্রায় প্রতি বছরই রেল দুর্ঘটনায় বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয় না। যদিও কে কখন কোথায় কীভাবে মারা যাবে তা কেউ জানে না। কিন্তু তবুও সতর্কতা বলে একটি কথা আছে। আমাদের দেশ প্রায় অধিকাংশ রেল ক্রসিংই নিরাপদ নয়। শুধু রেল দুর্ঘটনাই নয়, সড়ক দুর্ঘটনায়ও প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে। দুর্ঘটনা থামছে না।

আবার এমন সব দুর্ঘটনা ঘটে যা একটি পরিবার দেশ, সমাজকে থমকে দেয়। তখনই বলাবলি শুরু হয়, কার পাপে কার অভিশাপে এ দুর্ঘটনা ঘটল। আমাদের জীবন যেন কিছুতেই নিরাপদ নয়। মৃতু্য কখন যে আমাদের প্রিয় প্রাণকে কেড়ে নেবে তা কেউ বলতে পারে না। সব জায়গায় মৃতু্যর ভয়াল থাবা বিস্তার করে আছে। ফাঁদে পড়া মাত্র আর রেহাই নেই। আমাদের জীবনকে তছনছ করে দেয়। একটি সংসারকে নিমিষেই শেষ করে দেবে। তাই আজ স্বাভাবিক মৃতু্য যেন অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কোথাও কোনো নিরাপত্তা নেই। মানুষের জীবনের আজ কোনো মূল্য নেই। জীবন যেন অতি তুচ্ছ। যানবাহনে উঠলেই তবুও ভয় কখন যানি বাসটি উল্টে যায়। রেলে চড়বেন কোনো নিরাপত্তা নেই। লঞ্চে উঠবেন মাঝ নদীতে ডুবে মরবেন। অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? কোনো বাহনই তো আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। কোনো না কোনো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। আর এসব দুর্ঘটনায় বহু লোকের প্রাণহানি ঘটে। আমাদের শুধু দেখতে হচ্ছে স্বজনদের আহাজারি। বাস, ট্রেন, দুর্ঘটনায় মৃতু্য যেন আমাদের পিছু ছাড়ছে না। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না এসব দুর্ঘটনা। আর এসব দুর্ঘটনায় কখনো একই পরিবারের অধিকাংশ, কখনো পিতা, পুত্র, ভাই-বোন আবার কখনো একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃতু্য ঘটে। তখন সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমাদের হারিয়ে যায়। ভয়াবহ সড়ক নৌ, রেলপথ দুর্ঘটনায় শত শত লোকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও তা অনেকটা আমাদের সহনীয় হয়ে গেছে। আবার কখনো কখনো অধিক শোকে পাথর হয়ে যায় আমাদের অনুভূতি। তবে ভোঁতা অনুভূতিগুলো ভয়াবহ দুর্ঘটনায় জেগে ওঠার নিষ্ফল চেষ্টা করে মাত্র।

তবে অতিসম্প্রতিকালে আমাদের দেশে অত্যন্ত ভয়াবহ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় বাহনের ভিন্নতা থাকলেও লাশের কোনো হেরফের নেই। একই বনী আদম সন্তানের লাশ। দুর্ঘটনায় লাশের মিছিল দীর্ঘতর হচ্ছে। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস। মর্মান্তিক মৃতু্য আমাদের বিবেককে প্রচন্ডভাবে নাড়া দেয়। স্বজন হারানোর ব্যথা কি কেউ ভুলতে পারে? তাদের কান্না যেন থামছে না। দুর্ঘটনা আমাদের ভাগ্যের ললাটে গেঁথে গেছে। প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটানা ঘটছে। কখনো বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ কখনো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস রাস্তার পাশে খাদে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আবার কখনো স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী বা বরযাত্রীসহ ট্রেনের ধাক্কায় বাসটি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। প্রতিনিয়ত এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। আর সড়ক দুর্ঘটনা তো প্রতিদিন ঘটে। এক সরকারি হিসাবে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন প্রায় ৩০ জন মানুষ মারা যায়। বেসরকারিভাবে আরও বেশি হতে পারে। তবে প্রতি বছর ট্রেন দুর্ঘটনাও ঘটে। এসব দুর্ঘটনায় প্রতি বছর শত শত লোকের প্রাণহানি ঘটে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- আমরা বাস করছি এক দুর্ঘটনাকবলিত মৃতু্য উপত্যকা রক্তাক্ত জনপদে।

তাই, শুধু রেল দুর্ঘটনাই নয়- বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। দেশের রাস্তাগুলো ক্রমান্বয়ে উন্নত হচ্ছে; কিন্তু সড়ক পথে মৃতু্য থামানো যাচ্ছে না। দুর্ঘটনা যেন আমাদের পিছু ছাড়ছে না। তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়। স্বাভাবিক মৃতু্যর গ্যারান্টি কোথায়। আমাদের বিভিন্ন ধরনের যানচালকরা যদি একটু সতর্ক হয়ে গাড়ি চালান তাহলে দুর্ঘটনা কমবে। কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ চালকরা এ সতর্কতা বা সাবধানতা অবলম্বন করে না। ওভারটেক বা দ্রম্নতগতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয় এবং বহু মানুষের মৃতু্য ঘটে। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে কেউ আইন মানতে চায় না। আইন না মানার প্রবণতা সড়ক পথে ঝুঁকি বাড়ছে। যানবাহনচালক, পথচারী সবাইকে আইন মেনে চলা উচিত। সবার মনে রাখা দরকার একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। কিন্তু এই কান্না থামছে না।

এ সব দুর্ঘটনার দায়ভার তো কেউ নিতে চায় না। না সরকার, না চালক, না মালিকপক্ষ। সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনগুলো জোরালো কোনো প্রতিবাদ করে না। প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা একেবারে কম নয়, বরং রাজনৈতিক সহিংসতার চেয়েও বেশি। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার কোনো সুষ্ঠু বিচার হয় না। অপরাধী বা দোষীদের বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ দৃশ্যমান নয়। যদিও দুই শিক্ষার্থীর মৃতু্যর ঘটনায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক, চালক ও হেলপারের বিচার শুরু হয়েছে। আমরা পথচারী সাধারণ মানুষ যেন অসহায়। আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের আর কতকাল দুঃসহ মৃতু্য যন্ত্রণা ও দুর্ঘটনায় মৃতু্যর বীভৎস দৃশ্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখতে হবে, স্বজনদের আহাজারি শুনতে হবে। তবে সড়ক দুর্ঘটনায় যে শুধু পরিবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা নয়- রাষ্ট্রও আর্থিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অ্যাকসিডেন্ট রিসার্স ইনস্টিটিউটের হিসাব মতে, প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতি হয়। এর মধ্যে যানবাহন ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। আর্থিক ক্ষতি মোট জিডিপির শতকরা ২ ভাগ। অন্যদিকে দেশের স্বাস্থ্য খাতে মোট বরাদ্দের ৩০ শতাংশ খরচ হয় দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের চিকিৎসায়। তাহলে আমরা দেখছি সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ বহুমাত্রিক। একদিকে দুর্ঘটনায় পতিত পরিবার, রাষ্ট্রের অর্থ অপচয়, অন্যদিকে যানবাহন। কিন্তু সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা রোধে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে না। এটা হতে পারে শ্রমিক-মালিকদের স্বার্থের কাছে পথচারী বা সাধারণ জনগণের স্বার্থ গৌণ। অথচ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আইন করা হয়। কিন্তু সে আইন কেউ মানছে না।

দেশে যাত্রী সেবার যে কয়েকটি ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে রেলব্যবস্থা অন্যতম। কিন্তু দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও অরক্ষিত। দুটি ট্রেনের সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়। আহত হয় শতাধিক। নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শুধুই কান্নার রোল। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতু্যতে পুরো এলাকাই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। আর দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। অতিতে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও সব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বা প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। দুর্ঘটনায় প্রাথমিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন একটু নড়ে-চড়ে বসলেও কিছুদিন পর সবকিছু থেমে যায়। কে কার খবর নেয়। আমরাও হয়তো এক সময় এ সব কথা ভুলে যাব তবুও তাদের প্রতি রইল আমাদের সমবেদনা। কারণ স্বাভাবিক মৃতু্যই সবার কাম্য। অস্বাভাবিক মৃতু্য কেউ কামনা করে না। আর অস্বাভাবিক মৃতু্য মানেই দুঃখ, কষ্ট, বেদনা ও অসহনীয় শোক। এর আগে আমরা দেখেছি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় একটি যাত্রীবাহী বাস চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে বহুলোকের মর্মান্তিক মৃতু্য ঘটে। এসব দুর্ঘটনার মূল কারণ অরক্ষিত রেল-ক্রসিং। অরক্ষিত রেল-ক্রসিংয়ে রেল দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া সারা দেশে আড়াই হাজার রেল-ক্রসিংয়ের মধ্যে ৩৭১টিতে গেট ও প্রহরি রয়েছে। অবশিষ্ট অরক্ষিত। তা ছাড়া রেললাইনের দুই পাশে হাট-বাজার অবৈধ স্থাপনা, সাধারণ জনগণের অবাধে চলাচল, অবৈধ ক্রসিং রয়েছে। রেললাইনের উপর দিয়ে সড়ক নির্মাণে রেল কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে যে ক্রসিংগুলো রয়েছে সেগুলো অবৈধ। আবার দেখা যায় অরক্ষিত ক্রসিংয়ে রেলওয়ে সাইনবোর্ডে, পথচারীকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন সাবধানবাণী লেখা থাকে, এখানে কোনো গেটম্যান নাই, নিজ দায়িত্বে চলিবেন ইত্যাদি। অবশ্য সিরাজগঞ্জের দুর্ঘটনায় কোনো রেল-ক্রসিংই ছিল না। আবার দুঃখজনক ব্যাপার হলো- দুর্ঘটনার সময় যথাস্থানে গেটম্যানও থাকে না। গেটম্যানের দায়িত্বহীনতার কারণেও অনেক সময় রেল দুর্ঘটনা ঘটে। ইতোপূর্বে বিভিন্ন রেল দুর্ঘটনায় দায়ী ও দোষী ব্যক্তিরা শাস্তি পান কদাচিৎ। অবহেলা ও অসতর্কতার কারণে আর কত মানুষের প্রাণ যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে সাধারণ যাত্রীদেরও সচেতন হতে হবে। যাতে তারা যেন জীবনের ঝুঁকি না নেন। তা ছাড়া আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ এ ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুধাবন করতে হবে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। যুদ্ধের মতো দুর্ঘটনাও একটি পরিবারকে নিমিষে নিশ্চিহ্ন করতে পারে।

সুতরাং তাদের সংযত হতে হবে। নিজেদের অসতর্কতার কারণেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এভাবে আর কত মানুষের প্রাণ যাবে? ভবিষ্যতে দুর্ঘটনায় আর যেন কোনো প্রাণহানি না ঘটে সে লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন হতে হবে। কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে দুর্ঘটনা রোধে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের পাশাপাশি সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই।

মোহাম্মদ নজাবত আলী: শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<75473 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1