বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশপ্রেমিক সৎ সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠী চাই

ডাক্তাররা যদি রোগীর প্রতি আন্তরিক না হন রোগীরা যাবে কোথায়? ডাক্তারদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। তারা রোগীকে অনেক ওষুধ লিখে দেন যা অপ্রয়োজনীয়। ডাক্তাররা অনেক সময় রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারও করেন না, সব হাসপাতালে একই চিত্র।
আবুল কাশেম চৌধুরী
  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

দেশে শিক্ষিত মানুষ বাড়ছে আর সে সঙ্গে বাড়ছে অনিয়ম এবং দুর্নীতিও। আমলা-নেতারা ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী সিংহভাগ দুর্নীতিগ্রস্ত। সবাই টাকার পেছনে ছুটছে নৈতিকতা ও বিবেক বিসর্জন দিয়ে। টাকা দিয়ে কী হবে? সব ধর্ম বলেছে অবৈধভাবে আয়কৃত টাকার হিসাব দিতে হবে পরকালে। দেশের মানুষ অবৈধভাবে আয় করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোনো ধর্মে অবৈধ আয়কে স্বীকৃতি দেয়নি। অসৎ উপায়ে আয়কৃত অর্থ কোনো উপাসনালয়ে দেওয়া অন্যায়। অবৈধ আয়ের টাকায় মুসলমানরা হজ করতে যায়, তাতে কোনো লাভ নেই। কোরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে, অসৎ লোকের এবাদত কবুল হবে না। অবৈধ আয়ের টাকা দিয়ে হজ করলে মহান আলস্নাহ অখুশি হন। যে শরীরে হারাম প্রবেশ করবে সে শরীর বেহেস্তে প্রবেশ করবে না 'আল হাদিস'। নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে ভোগায় গলাকাটা দাম নেয়, বেশি মুনাফা করতে তাদের কোনো ধর্ম নেই। পৃথিবীর সব দেশে জনমানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য ব্যবসা করা হয় আর বাংলাদেশে মানুষের গলা কাটার জন্য ব্যবসা করা হয়। প্রতি মুহূর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের দাম বাড়িয়ে চলেছে পেঁয়াজ, লবণ ভোজ্য তেল কী? অমানবিক আচরণ করা তো মানুষের কাজ নয়। অফিস আদালতে গেলে ঘুষবাণিজ্য ছাড়া কোনো কাজ হয় না। ঘুষ বাণিজ্য করলে শিক্ষিত হওয়ার কী প্রয়োজন ছিল? লেখাপড়া করে যে সৎ লোক হয় তিনি হবেন শিক্ষিত মানুষ। আমাদের শিক্ষিত সমাজ কেন সে পথে যেতে পারে না? অর্থই কি সব কিছুর মূল? জনমানুষের সেবা করা শিক্ষিত মানুষের দায়িত্ব নয়? আমাদের বারবার বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতে হচ্ছে!! তিনি বলেছেন 'আমার কৃষক ও শ্রমিক দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে শিক্ষিত সমাজ যারা গরিবের ঘাম ঝরা টাকা দিয়ে লেখাপড়া করে শিক্ষিত হয়েছে। তারা মানুষকে সম্মান দেয় না। এ ধরনের শিক্ষিত সমাজ দেশ ও জাতির জন্য কলঙ্ক। শিক্ষিত ও বিত্তবানরা সর্বদা মিথ্যার বেশাতি করে। সারাদেশ দুর্নীতিতে সয়লাব হয়ে গেছে। যদি তাই হবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা/বিজয় অর্জন করার কী প্রয়োজন ছিল? ৩০/১১/১৯ সরকারপ্রধান বলেছেন, দুর্নীতি করে টাকা কামানো একটি রোগ ও নেশা। দেশবাসীকে এ রোগ থেকে মুক্ত করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠী দেশবাসীর প্রয়োজন। টাকা কামানো রোগ ও নেশা। সে নেশার কোনো ওষুধ বা ডাক্তার নেই। টাকা কামানোর রোগ/নেশার ডাক্তারির দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে। টাকা কামানোর নেশা বন্ধ করতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে।

শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দুর্নীতিতে ভরা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের না পড়িয়ে বেতন নেন। ঠিকমতো ক্লাস করেন না। বিশেষ করে সরকারি কলেজের শিক্ষকরা তাই করে থাকেন, স্কুলে তেমন ফাঁকি দেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তি করা মন্দ ব্যবস্থা-কিছু লোক অর্থ কামানো ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করে অযোগ্য লোকদের মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে কিছুদিন পর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামিয়ে দেয় এমপিওভুক্তির দাবিতে। বেশির ভাগ শিক্ষক যথাসময়ে ক্লাস নেন না। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অজুহাতে টাকা প্রদানের জন্য ছাপ প্রয়োগ করতে থাকে। অনৈতিকতা ও দুর্নীতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিখতে থাকে এবং কর্মজীবনে তা প্রয়োগ করতে থাকে। শিক্ষকরা নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করলে হবে না তাদের নৈতিকতা ও সততাকে প্রাধান্য দিয়ে নিয়োগ দিতে হবে। নৈতিকতাসম্পন্ন ও প্রশিক্ষিত দক্ষ শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন অথবা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শিক্ষক গড়ে তোলা দরকার। সরকারিভাবে বিনামূল্যে বই দেওয়া কোনো মতেই সমীচীন নয়। হতদরিদ্রদের সন্তানরা সরকারি খরচে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পেতে পারে। অন্যরা ন্যায্যমূল্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বই কিনে নেবে।

প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। ছোট শিশুদের পাঠদান করা সহজ নয়। শিশুদের আদর-স্নেহ দিয়ে পড়াতে হয়, এটি কষ্টসাধ্য কাজ। প্রাথমিক শিক্ষকদের যথাযথ বেতন-ভাতা দেওয়া প্রয়োজন। কমপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা উচিত। তাহলে তাদের সন্তানদের লেখাপড়া, চিকিৎসা এবং সংসার চলবে। তারা শিক্ষার্থীদের প্রতি পাঠদানে মনোযোগী হবেন। প্রাথমিক শিক্ষার্থীরা সবলভাবে সঠিক পরিচর্চায় গড়ে উঠলে জাতি উপকৃত হবে, শিক্ষার ভিত রচনা হবে। তেমনিভাবে মাধ্যমিক ব্যবস্থায়ও সুনজর দিতে হবে। ভবিষ্যৎকে সুদৃঢ় করতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। সুন্দর বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত সৎ মানুষের এবং মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ আগামী প্রজন্মকে দিয়ে যেতে হবে তাতে সমৃদ্ধ জাতি গড়ে উঠবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়তে হবে। আমরা বলি শিক্ষা মানুষের মেরুদন্ড- মেরুদন্ডহীন/দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক দ্বারা মেরুদন্ডসম্পন্ন শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে না। শিক্ষিত মানুষ মানে সৎ ও ভালো মানুষ-মিথ্যাবাদী প্রতারক হবেন না। বঙ্গবন্ধু কন্যা যে উন্নয়ন করছেন যদি দুর্নীতির ছোঁয়া না লাগত তাহলে দেশ অন্যরকম হতো। শিক্ষিত মানুষ দুর্নীতি করলে দেশ ও জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বিভিন্ন দেশ ও জাতি পেয়েছে তেলের ও সোনার খনি, আমি পেয়েছি চোরের খনি। মেরুদন্ডসম্পন্ন শিক্ষিত জাতি তৈরি করতে হবে। বিগত ৪ যুগে যে শিক্ষিত মানুষ তৈরি করেছি তাদের সিংহভাগ কুশিক্ষিত এবং অদেশপ্রেমিক? শিক্ষিত দেশপ্রেমিকরা দুর্নীতিসহ অপকর্ম করতে পারে না। ২৮/১১/১৯ যুগান্তরের খবর ঋণখেলাপি ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপিরাও তো শিক্ষিত মানুষ। ব্যবসায়ীরা যেমন ঋণখেলাপি তেমন 'কর' ফাঁকি দেয়।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের দুর্নীতির কথা প্রায় পত্রপত্রিকায় সংবাদ হচ্ছে ১৬/১১/১৯ কালের কণ্ঠ সংবাদ দিয়েছে ৩২৫ কোটি টাকা বেহাত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসিসহ অনেক অধ্যাপক দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তারদের আন্তরিকতা নেই বললে চলে দায়িত্বহীনতা চোখে পড়ার মতো। সকাল ৮টায় হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হলেও সিনিয়র ডাক্তাররা সকাল ১১টার আগে আসেন না। ফলে শত শত রোগীর কষ্টের সীমা থাকে না। ডাক্তাররা আন্তরিকতার সাথে রোগী দেখেন না। সিনিয়র ডাক্তাররা রোগী দেখার সময় পান না, খোশগল্পে ব্যস্ত থাকেন। জুনিয়ররা রোগী দেখেন সিংহভাগ রোগী ভালো চিকিৎসা পান না-ভুল চিকিৎসাও কম হয় না। একটি বাস্তব ঘটনা উলেস্নখ করছি- বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি চিকিৎসা করাই ২০১৮ সালে প্রথমদিকে আমার দাঁতের চিকিৎসা করাতে গেলে এক মহিলা ডাক্তার দাঁত দেখে বললেন, এটা ফেলে দিতে হবে। আমি বললাম, রাখা যায় কি না দেখুন, না হলে ফেলে দেব। মহিলা ডাক্তার বললেন, দাঁত রাখতে চাইলে রাখতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে। আমি ডাক্তারের কথামতো টাকা জমা দিলাম। তারপর তিনি আমাকে অন্য এক ডাক্তারের ফোন নম্বর দিয়ে বললেন, ওই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সময় নিতে ডাক্তারের সময়মতো আমি গেলে ডাক্তার আমাকে বলেন, এই দাঁত রাখা যাবে না। আমি টাকা ফেরত চাইলাম, টাকা ফেরত পেলাম না। ২০১৯ সালের জুন মাসে আবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁত দেখাতে গেলাম। একজন জুনিয়র মহিলা ডাক্তার আমাকে এক্সরে করাতে বলেন। তারপর ডাক্তার বললেন নিচের ৪টি দাঁত একসঙ্গে ফেলে দিতে হবে। আজ অবধি আমি দাঁত ফেলিনি। আমার কোনো অসুবিধাও হচ্ছে না। ঢাকা মেডিকেলে কোনো প্রকার টেস্ট করা যায় না- বলা হয়। ক. মেশিন নষ্ট খ. কাজ করার লোক নেই গ. রিপোর্ট ভালো হয় না। সরকারি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা দায়সারা গোছের। ডাক্তাররা আন্তরিকতার সাথে রোগী দেখেন না। সিনিয়র ডাক্তাররা রোগী দেখার সময় পান না। জুনিয়ররা রোগী দেখেন, সিংহভাগ রোগী ভালো চিকিৎসা পান না। ডাক্তাররা রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারও করেন না। ভুল চিকিৎসাও কম হয় না।

ডাক্তাররা যদি রোগীর প্রতি আন্তরিক না হন রোগীরা যাবে কোথায়? ডাক্তারদের আন্তরিক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। তারা রোগীকে অনেক ওষুধ লিখে দেন যা অপ্রয়োজনীয়। ডাক্তাররা অনেক সময় রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারও করেন না, সব হাসপাতালে একই চিত্র।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর কোনো সরকারি হাসপাতালে ডাক্তারের দেওয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হয় না নানা অজুহাতে বাইরে টেস্ট করাতে হয়। চিকৎসা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ও উন্নয়ন করা জরুরি। চিকিৎসা ও রোগী নিয়ে হেলাফেলা কখনও সমীচীন নয়। সততা-নিষ্ঠা ডাক্তারদের দরকার। টাকার পেছনে ডাক্তাররা ঘুরতে পারেন না। চিকিৎসাকে সহজলভ্য করতে হবে দেশের মানুষ যেন চিকিৎসা নিশ্চিতভাবে পেতে পারে সে নিশ্চয়তা অতি প্রয়োজন। কম খরচে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। যত কম ওষুধ রোগীকে দেওয়া যায় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে চিকিৎসকদের। বড় বড় রোগের চিকিৎসা সম্পাদনে কম খরচ যেমন দরকার তেমন রোগ নিরাময়ে ওষুধ আবিষ্কার করা দরকার। ডায়াবেটিস মহারোগ; এই রোগের কোনো ওষুধ আজ পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেননি মেডিকেল বিজ্ঞানীরা। সারা পৃথিবীজুড়ে কোটি কোটি ডায়াবেটিস রোগী যাদের আর্থিক সামর্থ্য নাই তাদের কী অবস্থা হতে পারে? আমার মনে হয়, বর্তমানে গবেষণা করলে ডায়াবেটিস রোগের ওষুধ আবিষ্কার করা অসম্ভব নয়।

আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জাতিকে হতাশ করেছে। অধিকাংশ শিক্ষক/কর্মকর্তা, কর্মচারী অধ্যাপক-ভিসিরা দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ/ওসমানী মেডিকেল কলেজ এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে দেশবাসী সংবাদ পত্রের কল্যাণে জানতে পেরেছে। দর্ভাগ্যজনক সেসব শিক্ষিত দুর্নীতিবাজ লজ্জা বোধ করে না। টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তার বসার চেয়ার কিনেছেন ৬০ হাজার টাকায়, বিল করেছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। অপরদিকে পরমাণু বিদু্যৎ কেন্দ্রের দর্নীতির কথা কে না জানে? চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাগর চুরি। শিক্ষিতরা যদি দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি করে তাহলে শিক্ষার মূল্য কী? ০১/১২/২০১৯ কালের কণ্ঠের সংবাদে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আধুনিক করার প্রকল্পে একটি চেয়ারের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। দেশের শিক্ষিত মানুষের দুর্নীতির চিত্র। শিক্ষায় মানুষকে দায়িত্বশীল ও উন্নত করে-আমাদের দেশে সে চিত্র উল্টো। বিভিন্ন অফিসের শিক্ষিত কর্তাদের দুর্নীতির চিত্র দেশবাসীকে হতাশ করেছে। ০২/১২/১৯ আমাদের সময় পত্রিকায় সংবাদে জানিয়েছে- 'রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কোন কর্তৃত্ববলে ভিসি পদে আছেন, হাইকোর্ট।'

৩০ লাখ মানুষের তাজা প্রাণ বিসর্জন এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে পাকিস্তানিদের আত্মসম্পর্ণ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। সে বীরের জাতি আজ অশিক্ষায় ও কুশিক্ষায় তলিয়ে যাবে তা কি হয়? বিজয়ী জাতির বিজয় ধরে রাখতে হবে শিক্ষিত মানুষের দুর্নীতির কারণে অর্জন নষ্ট হতে পারে না। বিজয় ধরে রাখতে হলে সুশাসন/আইনের শাসনের বিকল্প নেই। আইনের পক্ষপাতহীন প্রয়োগ ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়, আইন মেনে চলতে মানুষকে বাধ্য করতে হবে। অনুরোধ উপরোধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা কারা যায় না। যতদূর জানি বর্তমান সড়ক পরিবহণ আইন অতিচমৎকার আইন। জানা গেছে, পুলিশের একটি অংশ ও মালিকদের প্রভাবে পরিবহণ শ্রমিকদের বিরাট অংশ মিথ্যা গুজবে ভর করে দেশটিকে অচল করে দেয়, সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহণের ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছে পরিবহণ চালকরা তাহলে সাধারণ যাত্রীরা যাবেন কোথায়? চাঁদাবাজিও বেড়েছে। সাধারণ মানুষ শ্রমিকবিরোধী নয়। কিন্তু দেশকে অচল করে দেওয়া কখনো সমীচীন নয়। জনমানুষের উচিত, এই শ্রমিকদের যান চলাচল বন্ধ করে দিলে মানুষের অসুবিধা হলেও মেনে নিয়ে কষ্ট করা, শ্রমিকরা পরিবহণ কতদিন বন্ধ রাখবে? তারা কি খেয়ে বাঁচবে পরিবহণ বন্ধ রাখলে? তাদের সংসার কয়দিন চলবে? মানুষকে কষ্ট দিয়ে কিছু অর্জন করা যায় না। মানুষ মানুষের জন্য একে অপরের সেবক। নেতা সরকারি কর্তা, আমলা, ব্যবসায়ী সবার ক্ষেত্রে একথা প্রযোজ্য।

আবুল কাশেম চৌধুরী: কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<79594 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1