বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জন্মশতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর ঋণ শোধের সুযোগ সবার সামনে

কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন, বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ নিজেদের করে রেখেছে বলে তিনি সবার হতে পারেননি। তাদের কাছে বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা, আপনারা কি বঙ্গবন্ধুর মাহাত্ম্য বা ত্যাগের ইতিহাস কখনো জাতির সামনে তুলে ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন? ১৯৭৫ সালে নির্মম হত্যাকান্ডের পরে ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকার সময়ে আপনারা কি বঙ্গবন্ধুকে মর্যাদা বা সম্মান দানের কাজটি করেছেন? এই ২১ বছর বঙ্গবন্ধু জাতীয়জীবনে নিষিদ্ধ ছিল।
নতুনধারা
  ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

মাত্র ৩ দিন আগে বাঙালি ইতিহাসের অনন্য দিন বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হলো। ক্যালেন্ডারের পাতায় বাঙালি ইতিহাসের জন্য যে কটি মাহাত্ম্যপূর্ণ দিন রয়েছে ১০ জানুয়ারি তার মধ্যে অন্যতম একটি দিন। তারিখ হিসেবে এ দিনটি ফিরে ফিরে আসে। প্রতি বছর নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। তবে এবারে ঐতিহাসিক এ দিবসটি উদযাপন ভিন্নমাত্রা যুক্ত করেছে জাতীয়জীবনে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের প্রাক্কালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ভিন্ন মাহাত্ম্য নিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে এই মহামানবের জন্মশতবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হওয়াও বাঙালি জীবনে এক অসাধারণ উপলব্ধিকে উসকে দিয়েছে। বাঙালি জীবনের অমরগাথা রচয়িতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালন এক নতুন ইতিহাসের জন্ম দেবে নিঃসন্দেহে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য, মানুষের অধিকার সংরক্ষণের জন্য, সাম্যের ভিত্তিতে কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধুর যে লড়াই বা ত্যাগ সেটা যারা দেখেছেন তারাই শুধু উপলব্ধি করতে পারেন। ষাট বা সত্তরের দশকে বা তারপরে জন্ম নেয়া বাংলাদেশিদের অনেকেই এ বিষয়টিকে আবেগ-বিবেক বা অনুভূতি দিয়ে শক্তিশালীভাবে ধারণ করতে পারেন না। বিশেষ করে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে দেশ ও জাতিকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়ার নীলনকশার সঙ্গে যুক্ত চক্রটি বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস ও জনগণের হৃদয় থেকে বিচ্ছিন্ন করার সবরকম চেষ্টা করেছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে নানা উপায়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার সন্তান তারেক রহমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ ক্ষমতায় আসার জন্য বা ক্ষমতায় থাকার জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান অস্বীকার করেছেন বা ইতিহাসের মূল সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা করেছেন। পরে একই কারণে এ অপকর্মটি করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। আর তারেক রহমান সব ধরনের সভ্যতা ছাড়িয়ে পূর্বসূরীদের পথ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করার নগ্ন অপচেষ্টা চালিয়েছেন। সে কারণে প্রায় তিন থেকে চারটি প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পায়নি। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ যে ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ সেটা আবেগ ও বিবেকে ঠাঁই পায়নি অনেকেরই। যদিও শেষ পর্যন্ত উলিস্নখিত ব্যক্তিরা হালে পানি পাননি। বঙ্গবন্ধু স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আছেন।

এটা আমরা সবাই জানি যে, লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের জন্ম। আর এই লড়াই-সংগ্রামের পরতে পরতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পৃক্ত ছিলেন। তার সময়কালে অনেক নেতাই ছিলেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো ধারাবাহিকভাবে সাহসী লড়াই করতে পারেননি বা করণীয় সম্পর্কে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন তারা। লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বা মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাহেন্দ্রক্ষণ অনেকেই ধরতে পারেননি। সেসময় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আন্দোলন নিয়ে যারা দ্বিধায় ছিলেন তারাই একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে তার ডাকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি-তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পরেই বঙ্গবন্ধু সতর্ক হয়ে উঠেছিলেন। তারপর জনগণের কথা ভেবেই তিনি ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করলেন। এরপর ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা, ১৯৬৯ সালে গণঅভু্যত্থান, ১৯৭০ সালে নির্বাচন এই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। এ সময়কালের প্রতিটি পরতে বঙ্গবন্ধু রাজপথে বা কারাগারে থেকে নির্দেশনা, পরিকল্পনা ও নির্দেশ দিয়েছেন। সতীর্থ চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এএইচএম কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর ভূমিকাও জাতিকে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করেছে। সেই মহামানব বঙ্গবন্ধু ও তার সহকর্মী ৪ জাতীয় নেতাকে বিতর্কিত করার প্রয়াস ও পদক্ষেপ জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে, হতাশ করেছে।

স্বাধীনতার ঠিক উষালগ্নে বঙ্গবন্ধু ও তার সতীর্থদের বিতর্কিত করার সম্মিলিত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। তার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পরে গোয়েবলসীয় কায়দায় শুরু হয় ইতিহাস বিকৃতি ও বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার নগ্ন পরিকল্পনা ও অপচেষ্টা। এর অবসান ঘটতে শুরু করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরে। তবুও থেমে নেই ষড়যন্ত্রকারীরা। এখনো নানা কায়দায় বঙ্গবন্ধু ও তার কৃতিত্বকে খাটো করার অপচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক মহল থেকে এ অপচেষ্টা লক্ষণীয়। কিন্তু তারা একবারও ভাবেন না বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব-নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে এই গোষ্ঠী রাজনীতিতে আসতে পারত না বা ক্ষমতায় আসীন হতে পারত না। আর ১৯৪৮ সাল থেকে বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির লড়াই শুরু না হলে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হতো না। স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনীতির মাধ্যমে যারা নিজেদের অবস্থান গড়ে তুলেছেন বা রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছেন অথবা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকেছেন দেশ স্বাধীন না হলে তারা কি সে সুযোগ পেতেন? সেই স্বাধীনতার জন্য যে মানুষটি ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে জাতিকে প্রস্তুত করেছেন তাকে বিতর্কিত বা অবজ্ঞা একমাত্র অকৃতজ্ঞ বা বেইমানরাই করতে পারেন।

যারা প্রত্যক্ষ করেছেন বা যারা ইতিহাস পড়েছেন তারা সবাই কমবেশি জানেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাঙালিরা বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করতে পারেননি। দেশ শত্রম্নমুক্ত হলেও বঙ্গবন্ধুর অবস্থা বা অবস্থান না জানার কারণে বাঙালিরা সেদিন উৎকণ্ঠায় ছিল। বিজয়ানন্দ স্পর্শ করতে পারেনি বাঙালি হৃদয়। কিন্তু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বাঙালির বিজয় আনন্দ উদযাপনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়। বাংলাদেশ শত্রম্নমুক্ত হলেও তিনি না ফেরা পর্যন্ত বিমর্ষ ছিল। তার অবর্তমানে অন্ধকারে ডুবে ছিল বাংলাদেশ। মানুষের হৃদয়তন্ত্রী অধীর অপেক্ষার প্রহরে মাঝেমধ্যে আটকে পড়ছিল। কিন্তু ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ল আনন্দের ফোয়ারা। আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে পড়ল পুরো দেশ, প্রতিটি বাঙালি। সে আনন্দ-আলো হৃদয় থেকে হৃদয়ে তরঙ্গায়িত হয়ে ছড়িয়ে পড়ল বাংলার আকাশে-বাতাসে।

আবারও আমাদের মধ্যে সে আলো ছড়িয়ে দেওয়ার সময় ও সুযোগ এসেছে। বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস যারা চালিয়েছেন তারা এ সুযোগে অন্তত তার ঋণ শোধ করার চেষ্টা করতে পারেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিভেদ-বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা কিন্তু ইতিহাসকে অস্বীকার ও বিতর্কিত করার সূত্র ধরেই। এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আদর্শ ও চেতনাবিরোধী অমানবিক ও অসামাজিক কিছু অপকর্ম দায়ী। এ অবস্থা থেকে মুক্তি ঘটতে পারে শুধু ইতিহাসকে তার আলোয় উদ্ভাসিত করা ও ইতিহাসের মহানায়ককে তার প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা দানের মাধ্যমে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের উচিত হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ সম্মানের সঙ্গে পালন করা। সরকার বা আওয়ামী লীগ এই শুভক্ষণকে স্মরণীয় করে রাখতে যে উদ্যোগ নিয়েছে তার সঙ্গে আজ সব শ্রেণি-পেশার বাঙালি দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে একাত্ম হয়ে যেতে পারলেই বঙ্গবন্ধুর ঋণ শোধের দায় কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন, বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগ নিজেদের করে রেখেছে বলে তিনি সবার হতে পারেননি। তাদের কাছে বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা, আপনারা কি বঙ্গবন্ধুর মাহাত্ম্য বা ত্যাগের ইতিহাস কখনো জাতির সামনে তুলে ধরে দায়িত্ব পালন করেছেন? ১৯৭৫ সালে নির্মম হত্যাকান্ডের পরে ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকার সময়ে আপনারা কি বঙ্গবন্ধুকে মর্যাদা বা সম্মান দানের কাজটি করেছেন? এই ২১ বছর বঙ্গবন্ধু জাতীয়জীবনে নিষিদ্ধ ছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা মুক্তিযুদ্ধের দেশীয় বা আন্তর্জাতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কেউ কি আছেন? তাহলে কেন এই ২১ বছরে বঙ্গবন্ধু তার মর্যাদা দিলেন না? কেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতভাবে তুলে ধরা হয়েছিল? আপনারা কি ইতিহাসকে বিকৃতি থেকে রক্ষা করেছেন বা বিকৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন? আপনারা রাজনীতির মাঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন, আপনারা কি বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ বা তাকে লালনের কথা বলে ইতিহাসকে অস্বীকার করছেন না? সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবেই লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। তার দল তাকে নিয়ে চলবেই। মনে রাখতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললে বা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্ন করে এগিয়ে যাওয়ার সময় বোধ হয় আর নেই।

আজকের এই সময়ে এসে আপন আলোয় চির উদ্ভাসিত বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাঙালি হৃদয়ে নতুনভাবে ঠাঁই নিয়েছেন তাকে অস্বীকার না করে যথাযথ মর্যাদায় আসীন করাটাই রাজনীতির জন্য শুভ হবে। অনেক ষড়যন্ত্র ও ইতিহাসের বাঁক পেরিয়ে আজ নব আনন্দে জেগে উঠেছে জাতি। এই জাগরণের সঙ্গে যারা জড়িয়ে থাকবেন তারাই নতুনভাবে জীবনের জয়ধ্বনি তুলতে পারবেন। সে কারণে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতচক্র ছাড়া দেশের সব কার্যকরী রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন একাত্ম হওয়া প্রয়োজন। জনগণ মনে করে সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে, সরকারের রাজনৈতিক আচরণ নিয়ে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ ও আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু দেশের ইতিহাসকে অমর্যাদা করে কোনো রাজনীতি চলতে পারে না। আর বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস স্বীকার করতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে বিচ্ছিন্ন করার কোনো সুযোগ নেই। যারা সেই অপকর্মটি এতদিন করেছেন তারা নিজেদের শুধরে নেওয়ার সুযোগটি অন্তত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে নিতে পারেন। মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু শুধু একজন মানুষ নন, একটি আদর্শের নাম। এই আদর্শকে অস্বীকার করা মানে নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। জাতিগত জন্মপরিচয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করা। বঙ্গবন্ধুর মতো মহামানব বাংলাদেশের ভূখন্ডে জন্মেছিলেন বলেই এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এই দিনটি শুধু উদযাপন বা আয়োজনের জন্যই নয়, এর মাহাত্ম্য হৃদয়ে ধারণ করা প্রতিটি বাঙালির জন্য নৈতিক কর্তব্য বটে।

সোহেল হায়দার চৌধুরী: বিশেষ সংবাদদাতা, দৈনিক যায়যায়দিন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<84251 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1