শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

ফার্মাসিস্টদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা

নতুনধারা
  ১৮ মে ২০২০, ০০:০০

ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টরা হলেন রোগীর স্বাস্থ্যসেবার বিকল্পহীন অবলম্বন। রোগীর রোগ নির্ণয়ে ডাক্তাররা যেমন- বিশেষজ্ঞ, ঠিক তেমনি ওষুধ নিয়ে বিশেষজ্ঞ হলেন ফার্মাসিস্টরা। একজন ডাক্তারের কাজ হলো রোগীর রোগ নির্ণয় করে একটি প্রেসক্রিপশন বা নির্দেশনা একজন ফার্মাসিস্টের কাছে পাঠানো। আর ফার্মাসিস্টের কাজ হলো প্রেসক্রিপশন পুনঃপরীক্ষণ, ওষুধ তৈরি, রোগীকে বিতরণ এবং ওষুধের ব্যবহারবিধি ও সংরক্ষণ নিয়ে রোগীকে পরামর্শ প্রদান। উন্নতবিশ্বের সব দেশেই ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টদের কাজের এমন সমন্বয়েই রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হয়। ফলে রোগীও পায় মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা। এজন্য উন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্যসেবার মানও হয় অনেক উন্নত। এবার আপনি বাংলাদেশের কোনো হাসপাতালে যান। সেখানে ফার্মাসিস্ট নামের কোনো পেশাজীবীকে খুঁজে পাবেন না! তাহলে ফার্মাসিস্টদের কাজ কারা করছেন? ডাক্তার আর নার্সদের মাধ্যমে জোড়াতালি দিয়ে ফার্মাসিস্টদের কাজ খুবই অল্প পরিসরে চালিয়ে নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। ফলে রোগীরা যেমন সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, তেমনি ডাক্তার-নার্সদের দায়িত্বের বাইরেও প্রক্সি দিতে হচ্ছে ফার্মাসিস্টদের কাজের। ফার্মাসিস্ট একটি ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা অর্থ ওষুধবিদ বা ওষুধ বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশের ১৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৪ বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি এবং এরপর ১ বা ২ বছরের মাস্টার্স অব ফার্মেসি কোর্স পড়ানো হয়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আবার ৫ বছরের ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (প্রফেশনাল) কোর্স চালু করেছে। উচ্চ মাধ্যমিকের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই বেছে নেয় ফার্মেসি বিভাগকে। তারা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ওষুধের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে ওষুধের ব্যবহার পর্যন্ত বিষয়গুলোতে বিশদভাবে জ্ঞানার্জন করে। বিশ্বজুড়ে কেবল ফার্মেসি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েটরাই 'ফার্মাসিস্ট' হিসেবে স্বীকৃত হন। যারা মাধ্যমিকের পর ফার্মেসি বিষয়ে ৩-৪ বছরের ডিপেস্নামা কোর্স সম্পন্ন করেন, তাদের পরিচয় হলো 'ফার্মেসি টেকনিশিয়ান'। অথচ অদ্ভুত নিয়ম চালু করে বাংলাদেশের ফার্মেসি কাউন্সিল ডিপেস্নামা টেকনিশিয়ানদের 'বি গ্রেড ফার্মাসিস্ট' বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। এতে জনমনে আসল ফার্মাসিস্টদের নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি বিচারপতি এনায়েতুর রহিম ও মোস্তাফিজুর রহমানের একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ 'ডিপেস্নামা টেকনিশিয়ান' ও 'স্বাস্থ্য সহকারী'দের 'ডাক্তার' পরিচয় না দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। ডিপেস্নামাধারী স্বাস্থ্য সহকারীরা যদি ডাক্তার পরিচয় না দিতে পারেন, তবে ফার্মেসি বিষয়ে কেবল ডিপেস্নামা করেই কেউ কি করে 'ফার্মাসিস্ট' পরিচয় দিতে পারেন? একই যুক্তিতে বাংলাদেশেও ফার্মেসি বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন না করলে কেউ 'ফার্মাসিস্ট' পরিচয় দেয়া উচিত নয়। ফার্মেসি কাউন্সিলকেও এ ব্যাপারে স্পষ্ট ভূমিকা নিতে হবে। বিশ্বজুড়ে চলা নিয়মের বিপরীতে বাংলাদেশে কেন বিভ্রান্তি থাকবে? এবার গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের কর্মপরিধি নিয়ে কথা বলা যাক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে, বিশ্বের ফার্মাসিস্টদের ৫৫% কাজ করবেন 'কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট' হিসেবে। ৩০% ফার্মাসিস্ট কাজ করবেন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায়। ৫% কাজ করবেন সরকারি সংস্থায়, ৫% শিক্ষা কার্যক্রমে এবং ৫% কাজ করবেন কোম্পানির ওষুধ প্রস্তুতিতে। অথচ বাংলাদেশের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ফার্মাসিস্টরা কাজ করছেন ওষুধ কোম্পানিতেই! নেই কোনো হাসপাতাল বা কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট! দেশের ফার্মাসিস্টরা সফলভাবে ওষুধ প্রস্তুত করলেও সরাসরি রোগীর সেবায় ভূমিকা রাখতে পারছেন না। ফলে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন 'পুনঃপরীক্ষণ' হচ্ছে না। এটি করা গেলে ওষুধ-ওষুধ বিক্রিয়া, ডোজিং, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিবেচনা করে চিকিৎসককে ওষুধ পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠাতে পারতেন ফার্মাসিস্টরা। এতে রোগীর সঠিক ও কার্যকর চিকিৎসা হতো। 'হসপিটাল ফার্মাসিস্ট' নিয়োগ হলে রোগীদের সঠিক ওষুধ বিতরণের পর ওষুধের ব্যবহারবিধি ও সংরক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দিতে পারতেন ফার্মাসিস্টরা। তাতে ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত হতো। 'হসপিটাল ফার্মাসিস্ট'রা ওষুধের যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য ও প্রয়োগ নিয়ে ডাক্তার ও নার্সদের জানাতে পারতেন। ফার্মাসিস্টদের মাধ্যমে বাজারে নতুন আসা ওষুধগুলো নিয়ে ডাক্তাররাও ধারণা পেতে পারতেন। বয়স, ওজন, লিঙ্গ ও শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রত্যেক রোগীর জন্য উপযুক্ত ডোজে ওষুধ ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে পারেন কেবল হাসপাতাল ফার্মাসিস্টরাই। এর বাইরে রিটেইল ফার্মেসি চালু হলে প্রেসক্রিপশনবিহীন ওষুধগুলোর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ করা যেত। এভাবে রোগীরা পেত নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা। বাংলাদেশে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে 'হসপিটাল ফার্মাসিস্ট' চালু করার একটি সরকারি গেজেট প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেখানে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের প্রথম শ্রেণির নবম গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। এরপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে শূন্যপদের তালিকা সরকারি কর্মকমিশনে প্রেরণের নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু পরবর্তী কার্যক্রম আর কারও দৃষ্টিগোচর হয়নি। আমলাতান্ত্রিকতার নিয়মে কোনো এক টেবিলে হয়তো আটকা পড়েছে 'হসপিটাল ফার্মাসিস্ট' নিয়োগের ফাইল! স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের অসহায় রোগীদের জন্য এখনো বন্দোবস্ত হয়নি 'হসপিটাল ফার্মাসিস্ট'দের সেবা। ফলে রোগীর স্বাস্থ্যসেবা আজও অবহেলিত। বাংলাদেশের ফার্মাসিস্টরা কেবল ওষুধ কোম্পানিতে ওষুধ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে তারা রাখছেন তাদের মেধা ও দক্ষতার স্পষ্ট স্বাক্ষর। এজন্যই আজ বাংলাদেশের ৯৮% ওষুধের চাহিদাই মেটাচ্ছে দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো। বর্তমানে বাংলাদেশের ২৫৭টি ওষুধ কোম্পানিতে প্রতি বছর ২৪ হাজার ব্রান্ডের ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে। বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধ ও কাঁচামাল উৎপাদন করছে কোম্পানিগুলো। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ১৮২টি ওষুধ কোম্পানি এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। শুধু ২০১৮-১৯ অর্থবছরেই ঔষধশিল্প থেকে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে। দেশের এই বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্রে কারিগর হলেন আমাদের ফার্মাসিস্টরা। দেশের এই দক্ষ ফার্মাসিস্টদের উন্নত দেশগুলোর মতো সরাসরি স্বাস্থ্যসেবায়ও যুক্ত করা গেলে চিকিৎসাসেবার মান দ্রম্নতই উন্নত করা সম্ভব। পৃথিবীর বর্তমান করোনা দুর্যোগেও উন্নত বিশ্বের ফার্মাসিস্টরা রাখছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন করোনা থেকে সুস্থ হয়েই হাসপাতালে কর্মরত 'ওয়ান্ডারফুল ফার্মাসিস্ট'দের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাতে ভোলেননি। তাছাড়া পৃথিবীতে কোভিড-১৯সহ অন্য যে কোনো রোগের ওষুধ বা ভ্যাকসিন আসলে তার পরীক্ষামূলক ব্যবহার থেকে শুরু করে রোগীর মনিটরিং পর্যন্ত সব ধাপে কেবল ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্টরাই নিশ্চিত করতে পারেন নিরাপদ ও কার্যকর প্রয়োগ। সেজন্য করোনা দুর্যোগেও ফার্মাসিস্টদের রয়েছে বিশেষ ও স্বতন্ত্র ভূমিকা। ফার্মাসিস্টদের অংশগ্রহণ ছাড়া এই দায়িত্বটি অন্য কোনো পেশাজীবীরা সঠিকভাবে পালন করতে পারবেন না। তাই করোনা দুর্যোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধেও ফার্মাসিস্টরা হতে পারেন প্রথম সারির সৈনিক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে প্রতি ১ হাজার মানুষের জন্য চাই ১ জন করে ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন ৭০ হাজারেরও বেশি ডাক্তার কর্মরত রয়েছেন। অথচ একজনও ফার্মাসিস্ট নেই! তাহলে স্বাস্থ্যসেবার দুর্গতি হবে না কেন? সরকার ফার্মাসিস্টদের কাজে লাগাতে যত দেরি করবে, রোগীর সেবা এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্য খাত ততো পিছিয়ে থাকবে। ২০১৮ সালে যেহেতু 'হসপিটাল ফার্মাসিস্ট' নিয়োগের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, তাই আর দেরি না করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা সরকারি কর্মকমিশনের মাধ্যমে দেশের ফার্মাসিস্টদের দ্রম্নত নিয়োগ দিতে হবে। তবেই রোগীর স্বাস্থ্যসেবা হবে নিরাপদ ও কার্যকরী। অন্যথায় বাংলাদেশের রোগীরা কেবল বঞ্চিতই হবেন!

মো. ইমরান হোসেন

শিক্ষার্থী, ফার্মেসি বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মহামারি করোনা থেকে বাঁচাতে অসহায় প্রবীণদের পাশে থাকা দরকার

মানুষের গড় আয়ু বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবীণদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৯০ সালে বিশ্বে প্রবীণদের সংখ্যা ছিল ৫০ কোটি। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১০ কোটিতে। ২০৩০ সালে এর সংখ্যা হবে ১৫০ কোটি এবং ২০৫০ সালে প্রবীণদের সংখ্যা ২০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমান বাংলাদেশে প্রবীণদের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। এর প্রায় ৫০ লাখ প্রবীণ অসুস্থ, অসহায়, অবহেলিত, নিঃসঙ্গ ও সেবাহীন জীবনযাপন করছেন যাদের কারোরই করোনার ধাক্কা সামলানোর মতো শারীরিক, মানসিক বা অর্থনৈতিক সামর্থ্য নেই। মহামারি করোনার আক্রান্তের মৃতু্যর হার প্রবীণদেরই বেশি। ডড়ৎষফঙগবঃবৎং -এর তথ্য মতে, পৃথিবীর মোট মৃতু্যর প্রায় শতকরা ৭০ ভাগই প্রবীণ। এই দুঃসময়ে তাদের জীবন বাঁচানোর দায়িত্ব নেবে কে? প্রবীণ সংখ্যা দ্রম্নত বেড়ে যাচ্ছে, এর ফলে একসময় শিশুর চেয়ে প্রবীণের সংখ্যাই হবে বেশি। এসময় পরিচর্যাহীন বার্ধক্যই দেশের একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। বর্তমান সমাজে সবচেয়ে অবহেলার শিকার এখন অসহায় প্রবীণরাই; কিন্তু ক্রমবর্ধমান বার্ধক্যের অসহায়ত্ব মোকাবিলা করার মতো দরকারি প্রস্তুতি আমাদের নেই। ভবিষ্যতে করোনার মতো বিপর্যয় আসলে তার জন্য প্রবীণদের উন্নয়নে প্রয়োজন। এখন থেকেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি নীতিনির্ধারকদের এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন। অসহায় প্রবীণদের কল্যাণের বিষয়ে এখনই আমাদের উদ্যোগী হওয়া জরুরি। কেননা বার্ধক্য হচ্ছে মানুষের অবধারিত সমস্যা। আজকের নবীনই আগামী দিনের প্রবীণ। তাই শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রবীণদের দেখভাল করতে হবে। আর এখন থেকেই নিজেদের স্বস্তিময় বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিতে হবে। দয়া-দাক্ষিণ্য বা করুনার দৃষ্টিতে নয়- মানবাধিকারের ভিত্তিতে এবং প্রাপ্য মর্যাদার যুক্তিতে প্রবীণদের চাওয়া-পাওয়া সমাধান করা প্রয়োজন। এর জন্য দরকার গণসচেতনতা, আর এই গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রবীণদের অবহেলা, অযত্ন, দুর্ব্যবহার, নির্যাতনের ঘটনা এবং সবার করণীয় বিষয়গুলো সব শিক্ষা পাঠ্যসূচিতে এবং গণমাধ্যম কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে প্রবীণদের প্রতি কিছুটা হলেও সম্মান প্রদর্শন করা হবে। যে প্রবীণ যৌবনে তার মেধা, মনন, দক্ষতা দিয়ে সমাজের অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন, জীবনের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের মানুষ করেছেন, মানবকল্যাণে অবদান রেখেছেন, বৃদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই মানুষটি অযত্ন অবহেলার আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। আপাতদৃষ্টিতে সমাজের বা সরকারের নূ্যনতম দায়িত্ব তাদের উপর বর্তায় না। শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সুন্দর জীবন গড়ার জন্য পিতা-মাতা ও সরকারের যেমন দায়িত্ব আছে অনুরূপভাবে প্রবীণদের জন্য সন্তান, সমাজ ও সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রবীণদের এই অসহায় দুর্দশা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এর সমাধান না করলে প্রত্যেককেই বৃদ্ধ বয়সে এই অবহেলা ও কষ্টের স্বাদ নিতে হবে।

এম এ কাদের

কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<99826 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1