প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বিজ্ঞান থেকে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নোত্তর
অধ্যায় : ২
প্রশ্ন. কলকারখানা, বিড়ি-সিগারেট ও রান্নাঘরের ধেঁায়া দ্বারা কী দূষণ হচ্ছে? এ দূষণ রোধে তোমার করণীয় ৪টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : কলকারখানা, বিড়ি-সিগারেট ও রান্নাঘরের ধেঁায়া দ্বারা বায়ু দূষণ হচ্ছে। নিম্নলিখিতভাবে বায়ু দূষণ রোধ করা যেতে পারেÑ
১. কালো ধেঁায়া উৎপাদন করে এমন যানবাহন ব্যবহার বন্ধ করা।
২. কলকারখানায় কম জ্বালানি ব্যবহৃত হয় এমন উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা।
৩. ধূমপান না করা, বিশেষ করে অন্য মানুষের কাছে বা বদ্ধস্থানে ধূমপান না করা।
৪. উন্নত চুলা ব্যবহারের পাশাপাশি রান্নাঘরে বায়ু চলাচলের ভালো ব্যবস্থা তৈরি করা।
প্রশ্ন. পরিবেশ দূষণ কী? বায়ু ও পানি দূষণ রোধে করণীয় সম্পকের্ তোমার পরামশর্ ৪টি বাক্যে উপস্থাপন কর।
উত্তর : আমাদের চারপাশের পরিবেশকে আমরা নানাভাবে ব্যবহার করি, যার ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবতর্ন ঘটে। এসব পরিবতর্ন যখন আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয় তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।
সুপরিকল্পিতভাবে বাসগৃহ নিমার্ণ, শিল্পকারখানা স্থাপন, যানবাহন চালনা করলে বায়ু দূষণ রোধ করা সম্ভব। এ ছাড়াও বেশি করে গাছ লাগালে বায়ু দূষণ রোধ হয়।
জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে, পুকুর বা জলাশয়ের ওপর কঁাচা পায়খানা তৈরি না করে বাড়ির এক কোনায় পাকা পায়খানা তৈরি করে, কলকারখানা ও বাড়ির বজর্্য পরিশোধনের ব্যবস্থা করলে পানি দূষণ রোধ হবে।
প্রশ্ন. শব্দ দূষণ রোধে তুমি কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পার সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর : শব্দ দূষণ রোধে আমি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি তা হলোÑ
১. কোনো অনুষ্ঠানে উচ্চৈঃস্বরে গান বাজাব না।
২. আতশবাজি বা পটকা ফুটাব না।
৩. উচ্চৈঃস্বরে আওয়াজ বা গোলমাল করব না।
৪. মাইক বাজানো থেকে বিরত থাকব।
৫. যারা শব্দ দূষণ করে তাদের এর ক্ষতিকর দিক বোঝানোর চেষ্টা করব।
প্রশ্ন. পরিবেশে পানি দূষণের প্রভাবে কী কী ঘটতে পারে লেখ।
উত্তর : পানি দূষণের প্রভাবে পরিবেশে যেসব ঘটনা ঘটতে পারে তা হলোÑ
১. দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। যেমনÑ ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস ইত্যাদি।
২. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃত্যু ঘটবে।
৩. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
প্রশ্ন. পরিবেশ সংরক্ষণের পঁাচটি উপায় লেখ।
উত্তর : পরিবেশ সংরক্ষণের পঁাচটি উপায় হলোÑ
১. অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও কলকারখানা তৈরি না করা।
২. বনজঙ্গল কাটাসহ নদীনালা ভরাট বন্ধ করা।
৩. কলকারখানার বজর্্য পরিশোধনের ব্যবস্থা নেয়া।
৪. প্লাস্টিক ও পলিথিন যেখানে সেখানে না ফেলা।
৫. মৃত জীবজন্তু ও জৈব আবজর্না মাটিতে গতর্ করে মাটিচাপা দিয়ে রাখা।