শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি বাংলা দ্বিতীয়পত্র

শাদমান শাহিদ, প্রভাষক আওলিয়ানগর এমএ ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। য়
নতুনধারা
  ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয়পত্র থেকে বাক্য নিয়ে আলোচনা করা হলো

বাক্য

১। বাক্য কাকে বলে? একটি সাথর্ক বাক্যের কী কী গুণ থাকা উচিত? আলোচনা কর।

উত্তর : সুবিন্যস্ত অথর্যুক্ত শব্দগুলোর দ্বারা বক্তার মনের ভাব সম্পূণর্রূপে প্রকাশ পেলে তাকে বাক্য বলে।

বাক্যের বৈশিষ্ট্য তিনটি। যথা :

১। আকাক্সক্ষা

২। আসত্তি

৩। যোগ্যতা

আকাক্সক্ষা : বাক্যের অথর্ বোঝার জন্য কোনো পদ শোনার পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা জন্মে, তাকেই আকাক্সক্ষা বলে।

যেমনÑ রোজ সকালে শাহানা...’ বললে আরো কিছু শোনার ইচ্ছা থাকে। কারণ বাক্যটিতে মনের ভাব সম্পূণর্ হয়নি। যদি বলা হয়Ñ রোজ সকালে শাহানা কোরআন পাঠ করে। তাহলে বাক্যটির আকাক্সক্ষা পূণর্ হয়।

আসত্তি : বাক্যকে অথর্পূণর্ করতে যে শব্দটির যেখানে থাকা উচিত সেখানে থাকাকেই আসত্তি বলে।

যেমন: কলম লিখছেন তিনি দিয়েÑবললে বাক্যটিতে আসত্তি পূণর্ হয় না। যদি বলা হয়Ñতিনি কলম দিয়ে লিখছেন। তাহলে বাক্যটি সাথর্ক হয়ে ওঠে।

যোগ্যতা : বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত শব্দগুলোর অথর্সঙ্গতিকেই যোগ্যতা বলে।

যেমন : বরফ খুব গরমÑবললে বাক্যটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। যদি বলা হয়Ñ বরফ খুব ঠাÐা। তাহলে শ্রোতার আর কোনো প্রশ্ন থাকে না। বাক্যটি সাথর্ক হয়ে ওঠে।

এ ছাড়া কোনো বাক্যে গুরু-চÐালী দোষ, দুবোর্ধ্যতা, উপমাÑঅলঙ্কারের ভুল প্রয়োগ, বাগধারার শব্দের পরিবতর্ন, বাহুল্য দোষ ইত্যাদি থাকলে তা বজর্ন করা বাঞ্ছনীয়।

২। বাক্য কাকে বলে? গঠনগত অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী? আলোচনা করো।

উত্তর : সুবিন্যস্ত অথর্যুক্ত শব্দগুলোর দ্বারা মনের ভাব সম্পূণর্রূপে প্রকাশ পেলে তাকে বাক্য বলে।

গঠনগত অনুসারে বাক্য তিন প্রকার।

যথা :

ক. সরল বাক্য

খ. জটিল বাক্য

গ. যৌগিক বাক্য

ক. সরল বাক্য : যে বাক্যে একটি মাত্র উদ্দেশ্য ও একটি মাত্র বিধেয় থাকে, তাকে সরল বাক্য বলে।

যেমন : সায়মা হাসে। (এখানে সায়মা উদ্দেশ্য আর হাসে হচ্ছে বিধেয়)

খ. জটিল বাক্য: যে বাক্যে একটি প্রধান বাক্য এবং তার ওপর নিভর্রশীল এক বা একাধিক অপ্রধান বা খÐবাক্য থাকে, তাকে জটিল বাক্য বলে।

যেমন : যিনি পরের উপকার করেন, তাকে সবাই শ্রদ্ধা করে। এখানে ‘যিনি পরের উপকার করেন’ এটি খÐ বাক্য আর ‘তাকে সবাই শ্রদ্ধা করে’ হচ্ছে প্রধান বাক্য।

গ. যৌগিক বাক্য : যখন পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা জটিল বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূণর্ বাক্য গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলে।

যেমন : লাকী সুন্দরী কিন্তু বুদ্ধিমতী নয়।

৩। বাক্য কাকে বলে? অথর্গত দিক থেকে বাক্য কত প্রকার ও কী কী? আলোচনা করো।

উত্তর : সুবিন্যস্ত অথর্যুক্ত শব্দগুলোর দ্বারা বক্তার মনের ভাব সম্পূণর্রূপে প্রকাশ পেলে তাকে বাক্য বলে।

অথর্গত দিক থেকে বাক্য সাত প্রকার।

যথা :

১. বিবৃতিমূলক : এ ধরনের বাক্যে সাধারণত কোনো কিছুর বিবৃতি বা বণর্না নিদেির্শত হয়। যেমন : আমি বই পড়েছি, সে স্কুলে যায়নি।

২। প্রশ্নবোধক : এ শ্রেণির বাক্যে প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা করা হয়। যেমন : তোমার নাম কী? তুমি কি গান গাইতে পারো?

৩। আদেশসূচক : এ শ্রেণির বাক্যে আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, অনুরোধ ইত্যাদি বোঝায়। যেমন : স্কুলে যাও। মারামারি করো না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<25636 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1